মিজানুর রহমান আজহারী পেশা

 তরুণ ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী কে আমরা কমবেশি সবাই চেনে সুমধুর কন্ঠে অসুন্দর চেহারার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় অতি অল্প সময়ে তিনি বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন আমাদের দেশের  অন্যদের তুলনায় রহমান আজহারী একটু ভিন্ন কারণ তার শিক্ষাজীবন পুরোটাই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হয়েছে এছাড়াও তিনি রাজনৈতিকভাবে কোন কোন দলের সাথে যুক্ত হন নি তাই সব ধরনের শ্রেণী-পেশার মানুষ তার বক্তব্য শুনেন এবং তাকে ভালোবাসি মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না।

 আজকের ব্লগে আমরা মূলত মিজানুর রহমান আজহারীর পেশা মিজা রহমান আজহারীর বাল্যজীবন শিক্ষাজীবন পারিবারিক জীবন বর্তমানে কোথায় আছেন স্থানীয় সম্পূর্ণরূপে আপডেট দেয়ার চেষ্টা করব আশা করছি আজকে ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।

• আরো পড়ুন – বাচ্চা নেওয়ার উপযুক্ত বয়স – প্রথম বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময়

জন্ম ও বাল্যকাল

মিজানুর রহমান আজহারীর জন্ম হাজার ১৯৯০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি ঢাকার অন্তর্গত ডেমরায় হয়েছে। মা-বাবা ও একভাইয়ের সাজানো গোছানো এবং মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের মিজানুর রহমান আজহারীর জন্ম হয়। আজহারী পরিবারটি আগে থেকে যথেষ্ট ধার্মিক এবং ইসলামিক মনস্ক ছিলেন কেননা তাঁর বাবা পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক। বাল্যকালের প্রাথমিক শিক্ষা তিনি ডেমরাতেই করেছেন এবং পরবর্তীতে ডেমরার নামকরা একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা কন্টিনেও করেন। মিজানুর রহমান আজহারীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের পরমতলা। এলাকাতেও তাদের যথেষ্ট নামডাক ও সম্মান রয়েছে।

মিজানুর রহামান আজহারী শিক্ষাজীবন

মিজানুর রহমান আজহারী পেশা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে তার শিক্ষাজীবন নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করে নেয়া যায়। যেমনটা আমরা উপরে বলেছিলাম মিজানুর রহমান আজহারী ডেমরাতেই তার শৈশবের প্রাথমিক শিক্ষা  নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৪ ডেমরায় অবস্থিত দারুন্নাজাত কামিল মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক সমমান দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পড়াশোনায় তিনি বরাবরের মতই ভাল ছিলেন এবং সবসময় ক্লাসে প্রথম সারির ছাত্র হিসেবে শিক্ষকদের খুবই আদরের ছিলেন।এরপর ২০০৬ সালে একই মাদ্রাসা অর্থাৎ দারুন্নাজাত কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন এবং সে পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে .২০১২ সালে। ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি  আওতায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্রকে মিশরে পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়া হয়। মিজানুর রহমান আজহারী ২০১২ সালের শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে এবং আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়  আন্ডারগ্রাজুয়েশন অর্থাৎ অনার্স করার সুযোগ পান। সেখানে তাফসীর এন্ড কুরানিক সাইন্স  ডিপার্টমেন্ট থেকে ৮০ শতাংশ সিজিপিএ পেয়ে অনার্স সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে আরো উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ বছরের লম্বা পড়াশুনা শেষে গার্ডেন অফ নলেজ  খ্যাত মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি  তে পোস্ট গ্রাজুয়েট অর্থাৎ মাস্টার্স করার জন্য পাড়ি জমান এবংডিপার্টমেন্ট অব কোরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ  থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ।

পিএইচডি ও এমফিল

২০১৬ সালে পোস্টগ্রাজুয়েশন অর্থাৎ মাস্টার সম্পন্ন করার পর একই বছর ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে এমফিল করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং ‘হিউম্যান এম্ব্রায়োলজি ইন দ্য হোলি কুরআন’  এর ওপর এমফিল সম্পন্ন করেন। এমফিল সম্পন্ন করার পর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তার পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে খুব সহজে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন তার পিএইচডি করার টপিক ছিল ‘হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারেল ক্যারেক্টারইসটিক্স ইন দ্য হোলি কুরআন অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’  এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টা অ কঠিন পরিশ্রমের ফলে সর্বশেষ ২০২০ সালে পিএইচডি রিসার্চ এর ফাইনাল পেপার জমা দেন এবং সফলতার সাথে পিএইচডি পর্ব সম্পন্ন করেন। 

 এছাড়াও মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ মাহফিলে কিংবা সেমিনারে ইংরেজি বলে দেখে অনেকে অবাক হন তিনি এত ভাল কথা বলেন কিভাবে। বলে রাখা ভালো তার পিএইচডি এবং এমফিলের ভাষা ছিল ইংলিশ। এছাড়াও তিনি আইএলটিএস এর পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ৭.৫ স্কোর করেছেন যা খুবই ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

মিজানুর রহমান আজহারী পেশা

মিজানুর রহমান আজহারী পেশা নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়না কেননা এই ব্যাপারে তিনি খোলাখুলি কথা বলতে পছন্দ করেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিজানুর রহমান আজহারী একটি ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজ রয়েছে এছাড়াও ২০২০ সালের শ্রোতাদের অনুরোধে কারনে তিনি ইউটিউবে চ্যানেল করেন যা মাত্র একদিনে দেড় মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জন করে বাংলাদেশের রেকর্ড অর্জন করে। তবে তিনি ফেসবুক ইউটিউব থেকে কোনরকম ইনকাম করে না অর্থাৎ ফেসবুক এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন এবং অ্যাড দেখানো সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছেন। যদিও তিনি চাইলে ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে মিজানুর রহমান আজহারী পেশা আসলে কি? বর্তমানে মালয়েশিয়ান একটি ইসলামিক ইন্সটিটিউশনে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন এছাড়াও তিনি পড়াশোনা এবং গবেষণার পাশাপাশি সময় পেলে অনলাইনে এবং অফলাইনে বিভিন্ন রকম সভা-সেমিনার করে থাকেন। এবং মাঝে মাঝে বাংলাদেশেও ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন। তবে তিনি ওয়াজ মাহফিলে নির্দিষ্ট কোন টাকার চুক্তি করেন না, হাদিয়া হিসেবে ওয়াজ আয়োজক কমিটি যা দেন তিনি গ্রহণ করেন। এর বাইরে মিজানুর রহমান আজহারী সম্বন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না তবে অনেকের ধারণা দেয় গবেষণা এবং চাকরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত ব্যবসা রয়েছে।

• আরো পড়ুন – সৌদি ভিসার মেয়াদ শেষ হলে করণীয় – সৌদি আরবের ভিসার মেয়াদ চেক

মিজানুর রহমান আজহারী পরিবার ও স্ত্রী সন্তান

পরিবার বলতে মিজানুর রহমান আজহারী হুজুরের আরেকজন ভাই আছেন এবং বাবা মায়ের ছোট পরিবার। ২০১৪ ২৯ জানুয়ারি তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাই স্ত্রীর পৈতৃক নিবাস কুমিল্লাতেই এবং মিজানুর আজহারী শশুর গোলাম সারোয়ার সাঈদী  এলাকায় খুবই প্রসিদ্ধ একজন আলেম এবং সম্মানিত একজন ব্যক্তি। বর্তমানে মিজানুর রহমান আজহারী হুজুরের দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

মিজানুর রহমান আজহারী ফোন নাম্বার ও যোগাযোগের নিয়ম

অনেকেই মিজানুর আজহারী হুজুরকে মাহফিলে আনার জন্য কিংবা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার জন্য তার নাম্বার অনলাইনে খোঁজ করে থাকেন তবে বাস্তবতা হচ্ছে মিজা রহমান আজহারী তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার কখনো অন্য কারো সাথে শেয়ার করে না তবে হুজুরকে মাহফিলে আনতে চাইলে তার সাথে কোনো অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আলোচনা করতে চাইলে তার ব্যক্তিগত সেক্রেটারি হিসেবে যোগাযোগ করতে পারেন তার ব্যক্তিগত ছবির নাম

মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত সেক্রেটারি

• নাম – মোঃ মোশাররফ হোসেন
• ফোন নাম্বার – 01912409281

মিজানুর রহমান আজহারীকে কিভাবে ওয়াজে আনবেন

অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান কিভাবে মিজানুর রহমান আজহারী কে ওয়াজের জন্য আনবেন। মিজানুর রহমান আযহারি ২০২০ সালের দিকে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে ওয়াজে অংশগ্রহণ করেছিল। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি খারাপ খারাপ হওয়ার কারণে  এবং রাজনৈতিক কিছু সমস্যার কারনে বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে আছেন এবং দেশের কোন ওয়াজ মাহফিল কিংবা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে না। মিজানুর রহমান আজহারী পেশা কিন্তু ওয়াজ করা না তবুও দেশের মানুষের অনুরোধে তিনি বিভিন্ন ওয়াজে অংশ নেন।

 তবে তিনি কখনো যদি পুনরায় মাহফিল করা শুরু করেন সেক্ষেত্রে উপরে আমরা কি তার সেক্রেটারি নাম্বার দিয়ে রেখেছি সে নাম্বারে যোগাযোগ করে মিজানুর আজহারী ওয়াজের জন্য দাওয়াত দিতে পারেন। মিজানুর রহমান আজহারী ব্যক্তিগত সেক্রেটারি নাম মোঃ মোশাররফ হোসেন এবং তার নাম্বার হচ্ছে 01912409281

মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজের জন্য কত টাকা নেন

মিজানুর রহমান আজহারী পেশা হচ্ছে তিনি একজন গবেষক। অবসর পেলে দেশে আসলে মানুষের ভালোবাসার কারনে মাহফিলে অংশ নিয়ে থাকেন। তিনি মাহফিলের জন্য কোন নির্দিষ্ট অংকের টাকা নেন না। অর্থাৎ মাহফিলের পূর্বে টাকার কোন চুক্তি থাকে না। মাহফিল শেষে আয়োজক কমিটি খুশি হয় যে হাদিয়া দেয়ার সামর্থ থাকে তিনি সেটুকুই নিয়ে থাকেন। তাই যারা আমাদের কাছে জানতে চান মিজানুর রহমান আজহারীকে ওয়াজে আনতে কত টাকা লাগে সে ব্যাপারে আমরা পরিষ্কার ধারনা দিতে পারছি না। 

তবে অনেকেই মনে মিজানুর রহমান আজহারীকে সাধারনত ১ ঘন্টা ওয়াজের জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাদিয়া দিয়ে থাকে মাহফিলের আয়োজক কমিটি। যেমনটা আমরা বার বার বলেছি মিজানুর রহমান আজহারী পেশা কিন্তু মাহফিল করা নয় তাই ওয়াজের টাকা নিয়ে হুজুরের কোন পূর্ব শর্ত নেই।

মিজানুর রহমান আজহারী পেশা

উপরে আমরা মিজানুর রহমান আজহারী পেশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমরা নিয়মিত ওয়েবসাইটে এই ধরনের পোষ্ট করে থাকি। ভালো লাগলে আমাদের অন্যান্য পোষ্ট গুলো পড়ুন। ধন্যবাদ

• আরো পড়ুন – সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা 2022 (নতুন আপডেট)