সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা
আসসালামু আলাকুম। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য আবার খুলে দেয়া হলো সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে লোক নেয়া বন্ধ ছিলো কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য পুনরায় সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চালু করা হয়েছে। আজকের ব্লগে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম ও সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা মোট খরচ সহ বিস্তারিত জানবো জানবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সৌদি আরবে মূলত কত রকম ভিসা দিয়ে থাকে এবং ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম কি? এখন আমরা জানবো সৌদি ভিসার ধরন ও আবেদনের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে। সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা ছাড়াও আরো বেশ কিছু ভিসা দিয়ে থাকে যেমন ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, হজ ভিসা ও সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে আনুমানিক ২০ হাজার রিয়াল যা বাংলা টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। সাধারনত আমাদের দেশে থেকে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করা হয় বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এক্ষেত্রে ওই এজেন্সিকে কিছু অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় কিন্ত আপনি চাইলে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
উপরের বাটনে ক্লিক করলে আপনি একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। সঠিকভাবে ওই ফর্ম টি পূরনের মাধ্যমে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক বিশ্বস্থ মিডিয়া আছে যারা স্বল্প মূল্যে আপনাকে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা প্রোসেসিং এর জন্য সহযোগিতা করতে পারেন। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সাজেশন থাকবে এমন কোন একটি মিডিয়ার মাধ্যমে ভিসা আবেদন করুন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে হলে সৌদি ভিসা প্রোসেসিং খরচ সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারনা থাকা উচিৎ। আজকের ব্লগে আমরা সৌদি ভিসা বিশেষ করে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা প্রোসেসিং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। বাংলাদেশ থেকে সাধারনত কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। যেমন
- আমেল মঞ্জিল ভিসা ও সাখাওয়াত আকাশ সাওয়াখাছ এ আপনার মোট খরচ হবে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ।
- খাদ্দামা ভিসার ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ।
- ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং এর খরচ হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং আমেল ভিসা প্রসেসিং এর খরচ হবে প্রায় ৬৫ হাজার থেকে 65 হাজার টাকার মতো।
উপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের ভিসা সম্পর্কে এবং ভিসার খরচ সম্পর্কে। এক এক ধরনের ভিসার কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধা রয়েছে। তাই ভিসা আবেদনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ভালো করে জানতে হবে আপনি কি ধরনের ভিসায় বাইরে যাচ্ছেন।
সৌদি আরবের ভালো কিছু কোম্পানির তালিকা
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কোন কোম্পানিতে সুবিধা কেমন। এবং সৌদি আরবে ভালো কোম্পানি কোনগুলো। কারন কোম্পানি যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি ভালো বেতন ভাতা ও সিকিউরিটি পাবেন না। তাই এখন আমরা সৌদি আরবের কিছু নামকরা কোম্পানির লিস্ট দিবো। এর মধ্যে থেকে আপনি কয়েকটি কোম্পানি টার্গেট করে তাদের ভিসা কবে ছাড়ে সে ব্যাপারে খবর রাখতে পারেন।
- আল মারাই কোম্পানি: আল মারাই কোম্পানি শুধু সৌদি আরব ই নয় বরং পুরো পৃথীবিতে নাম করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই কোম্পানিতে মানুষ কাজ করতে আসে তবে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ এখানে কাজ করতে যায়। এই কোম্পানির বেতন হয় ১০০০ থেকে ১২০০ রিয়াল এবং বাসস্থান ও আকামা কোম্পানি দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রতি দুই বছরে দুই মাসের ছুটি ও ওভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ ওভারটাইম ডিউটি করে আপনি অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
- আরামকো কোম্পানি: আরামকো হচ্ছে তেল সৌদি আরবের তেল পরিশোধনের কোম্পানি। এটি শুধু সৌদি আরব ই নয় বরং পৃথীবির সবচেয়ে ধনী কোম্পানি। আরামকো প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই কোম্পানির মূল সুবিধা হচ্ছে এখানে বেতন অন্যান্য কোম্পানি গুলোর চেয়ে তুলনা মুলোক বেশি।
এছাড়াও সৌদি আরবের বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি আছে যারা প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক নিয়ে থাকে।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশ থেকে সাধারনত শ্রমিক ভিসা ও ফ্রি ভিসায় প্রতিবছর প্রচুর লোক সৌদ আরবে যায়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান আপনার আগে ভালো করে জানা উচিৎ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি। সৌদি আরবে মুলত নির্মান শ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তারপর হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইলেক্টিক টেকনিশিয়ান যেমন টিভি, এসি এইসব ঠিক করে এমন লোক, পাইপ ফিটার এই সব কাজের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি যদি বাইরে যেতে চান তাহলে আপনাকে এখন থেকে ই যেকোন একটা নির্দিষ্ট কাজ শিখে রাখা উচিৎ।
সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা নিয়ে বিস্তারিত
ফ্রি ভিসা বলতে আপনার নির্দিষ্ট কোন কোম্পানি ভিসা নেই। আমাদের দেশ থেকে সাধারনত সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নিয়ে মানুষ সেদেশে যায়। কিন্তু আপনি যদি কোন সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নিয়ে যান তাহলে সেটিকে বলা হবে ফ্রি ভিসা। ফ্রি ভিসা দুই ধরনের হয়ে থেকে প্রোফেশনাল আর নন প্রোফেশনাল।
প্রোফেশনাল এর ক্ষেত্রে আপনার আকামা খরচ হবে প্রায় ১০ হাজার টাকা আর নন প্রোফেশনাল এর ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ১ হাজার টাকা। ফ্রি ভিসার কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধা রয়েছে। আপনি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বা ফ্রি ভিসা নিয়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই বিস্তারিত জেনে ভুঝে তারপর যাবেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা: শেষ কথা
বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক প্রতারক চক্র বের হয়েছে যারা আপনাকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা খেয়ে নেয়। অথবা আপনাকে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা দিবে বলে অন্য কোন ভিসা ধরিয়া দেয়। তাই আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে সব ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে তাই কারো কোন কথা বিশ্বাস করার আগে অনলাইনে এর সত্যতা যাছাই করে নিন। ধন্যবাদ
[email protected]
আমার মনে হচ্ছে আপনি পাগল হয়ে গেছেন।
আর্টিকেলের কোন অংশটি আপনার ভালো লাগেনি? আমরা নিয়মিত আপডেট তথ্য দেয়ার চেষ্টা করি। কোথাও ভুল হলে অবশ্যই আমরা নিজেদের সুধরে নিবো।