বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায়

বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায়

চকলেট বর্তমানে ছোট থেকে তরুণ তরুণে বয়স্কদেরও পছন্দের একটি খাবার। দেশীয় চকলেটের পাশাপাশি বর্তমানে সবাই বিদেশি চকলেটের প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতারা দেশীয় চকলেটের পাশাপাশি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশী চকলেট আমদানি করে থাকে। এসব চকলেটের দাম একটু বেশি হলেও এর স্বাদ এবং গুণগতমান খুবই উন্নত।

আজকে আমরা বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশ চকলেটের পাইকারি বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।

আরো পড়ুন – ইন্ডিয়া থেকে চকলেট আমদানি নিয়ম

বিদেশি চকলেটের বাংলাদেশি মার্কেট

বাংলাদেশে বিভিন্ন পাইকারি এবং খুচরা চকলেটের বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বিদেশি চকলেট পাওয়া যায়। এই পর্যায়ে আমরা বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায় তার একটি তালিকা দেয়ার চেষ্টা করবো। যেহেতু ভেজাল চকলেটের পরিমান অনেক বেড়ে গেছে তাই নিচের এই মার্কেট গুলোতে গেলে তুলনামূলক ভালো চকলেট কমদামে পাবেন। 

গুলশান ডিসিসি মার্কেট

দেশে যত ধরনের বিদেশি চকলেট আমদানি করা হয় তার সবগুলো চকলেট গুলশান ডিসিসি মার্কেট এ পাইকারি এবং খুচরা পাওয়া যায়। এগুলো ভারত চায়না আমেরিকা শহর বিভিন্ন ধরনের চকলেট বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। জন্মদিন বিয়ে ও প্রিয় মানুষকে গিফট দেওয়ার জন্য গুলশান ডিসিসি মার্কেট থেকে বিভিন্ন ধরনের বিদেশী চকলেট কেনা যেতে পারে।

চকবাজার

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট হলো চকবাজার। এখানে পাওয়া যায় না এমন জিনিস খুব কমই রয়েছে চকলেট তো অবশ্যই পাওয়া যায়। চকবাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ভালো দামি কম দামি বিভিন্ন ধরনের চকলেট পাওয়া যায়। চক বাজারে গিয়ে চকলেট দোকানের গলিতেই পাওয়া যাবে অনেকগুলো চকলেটের পাইকারি ও খুচরা দোকান যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দিবে।

সুপার শপ

বর্তমানে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুপার সবগুলো দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে দেশের চকলেট পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিদেশি চকলেট চকলেট সহ সব ধরনের চকলেট পাওয়া যায়। সুপার শপ গুলোতে চকলেট স্বাভাবিক পণ্যের ভ্যাট নেওয়া হলেও উন্নতমানের চকলেট সুপার সবগুলো সরবরাহ করে থাকে। বাংলাদেশের সুপার সবগুলো মধ্যে স্বপ্ন অন্যতম।

দারাজ বাংলাদেশ ডট কম

দারাজ বাংলাদেশের অনলাইন মার্কেট গুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে দেশি বিদেশি সব ব্রান্ড এর চকলেট পাওয়া যায়। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই এই ওয়েবসাইট থেকেই কিনতে পারা যায়। এখানে নকল চকলেট থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে শিপিং চার্জ ছাড়াই সরাসরি কম্পানি থেকে অর্ডার করা যায়।

বাংলাদেশের বিদেশী চকলেটের পাইকারি বাজার

বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায় এই পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশে বিদেশি চকলেট এর পাইকারি বাজার তালিকা প্রকাশ করব। যারা মূলত ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিদেশি চকলেট কিনতে চান তাদের জন্য এই মার্কেট গুলো ভালো হবে।

বেগম বাজার

রাজধানীর ঢাকাতে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি চকলেটের অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। চকলেটের পাইকারি কাঁচামাল কিনতে বেশিরভাগ মানুষ বেগম বাজার যাতায়াত করে। যদি চকলেটের ব্যবসা করতে চান সে ক্ষেত্রে চকবাজারে পার্শ্ববর্তী বেগম বাজার অনেক জনপ্রিয় একটি চকলেটের মার্কেট। সেখান থেকে দেশি বিদেশি চকলেট বা চকলেট এর বিভিন্ন কাঁচামাল কেনা যেতে পারে।

চকবাজার

ঢাকার চকবাজার চিনেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। যে কোন ব্যবসার কাঁচামাল কিংবা কেনাকাটা সবকিছুর জন্যে সকলের নিকট সমানভাবে পরিচিত এই চকবাজার। লালবাগে অবস্থিত এই বৃহত্তম পাইকারি বাজারে বিভিন্ন ধরনের চকলেট পাওয়া যায়। পাইকারি ও খুচরা চকলেট কিনতে হলে চকবাজার যাওয়া যেতে পারে।

শামীম সুপার মার্কেট

ঢাকার চকবাজারের চকলেটের পাইকারি বাজার হিসেবে অত্যাধিক পরিচিত হলেও চকবাজারের পার্শ্ববর্তী শামীম সুপারমার্কেটে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। এই মার্কেটে পাইকারি কাঁচামাল হিসেবে চকলেট কিনতে চাইলে অনেক দোকান পাওয়া যাবে। চকবাজারের ১১০/২ মুকিম কাটারা ১০ নাম্বার গলিতে এই মার্কেটটি অবস্থিত।

আরো পড়ুন – ইন্ডিয়া থেকে চকলেট আমদানি নিয়ম

বিদেশি চকলেটের নাম

বাংলাদেশের যেসব বিদেশি চকলেট খুব বেশি জনপ্রিয় তাদের মধ্যে কিছু হল-

  • কিটক্যাট
  • ডেইরি মিল্ক
  • কিন্ডার জয়
  • ডার্ক চকলেট
  • হারসে
  • স্নিকার্স
  • টুইস্ট
  • মিলকি ওয়ে
  • বাউল টি

ভালো বিদেশি চকলেট চেনার উপায়

বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নকল এবং চিনি যুক্ত বিদেশি চকলেট তৈরি করা হয় যার প্যাকেজিং দেখতে একদম আসল মনে হলেও মূলত তা নকল। যেমন- কিন্ডার জয় নকল বের হয়েছে কিংস জয়। এছাড়াও দেশি চকলেট গুলো বেশিরভাগ চিনি দিয়ে বানানো হয়। কিন্তু বিদেশি চকলেট বলে বিক্রি করে। তাই বিদেশি চকলেট গূলো নামকরা মার্কেট বা সুপার শপ থেকে কেনা উচিত। ছোট খাটো দোকানে বিদেশি চকলেটগুলো কে নকল দেশি চকলেট দিয়ে বিক্রি করে থাকে।

বিদেশি চকলেটের দাম কত?

বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিদেশি চকলেট পাওয়া যায়। এই চকলেট গুলো বিভিন্ন কোম্পানির এবং বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে। সাধারণ বিদেশি চকলেট গুলো ৮০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ডার্ক টাইপের চকলেট গুলোর র দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। এটা বা প্যাকেট জাতীয় চকলেট গুলো লোকাল দোকানে পাওয়া যায় এগুলো সুপার সব বা চকলেটের মার্কেট থেকে কিনতে হয়।

বিশ্বের সেরা চকলেট কোম্পানির নাম

এমএজেড

চকলেট মানুষের পাঁচটি এনজয় তে তোলপাড় ফেলে দেয়। এই চকলেটটি তাই সেই হিসেবে বানানো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও করমুর শব্দটাও যেন শুনতে ভালো লাগে। এই চকলেট বেশিরভাগ কোকোয়া পাউডার দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।

লিওনিডাস

এই চকলেট এর নির্মাতাদের স্লোগান ডেমোক্রেসি ইন চকলেট। তাদের চকলেট সবার জন্য সমান সুস্বাদু। ইতিমধ্যে বিশ্বের দেড় হাজার চকলেটের দোকানে লিওনিডাস পাওয়া যাচ্ছে। এই রেসিপিতে ৭০ শতাংশই থাকে ককোয়া যা চকলেট তৈরির মূল উপাদান।

ব-ভিটি

ইতালীয় প্রতিষ্ঠানটি বিচিত্র সাধের মোট ১৫০ ধরনের চকলেটবার তৈরি করে। তাদের সিক্রেট রেসিপি চকলেট এর তালিকায় ধনিয়া রয়েছে। ধনিয়ার সুভাস চকলেটে একটি ভিন্ন স্বাদ আনে বলে তাদের চকলেট গুলো অন্যান্য চকলেট এর চাইতে আলাদা হয়ে থাকে।

 ডালনারোনা

একে বলা হয় চকলেটের জগতের রাজা। এটি ১৯২২ সাল থেকেই চকলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সফলতার সঙ্গে এই চকলেটটি তৈরি করে আসছে। গত ৯০ বছর ৭/৮ গন্ধ নিয়ে নানান গবেষণা চালিয়ে মজাদার সব চকলেট তৈরি করেছে এই ফরাসি প্রতিষ্ঠান।

মিশেল ক্লোজেল

চকলেট মিসেল ক্লোজেলের পরিবার বহু বছর ধরেই পেস্ট্রি তৈরি করা আসছে। এটি তাদের পারিবারিক বিজনেস। পাশাপাশি তাদের বানানো চকলেট ও বিশ্বে অনেকগুলো দেশে খুবই জনপ্রিয়। ক্যারামেল মাশরুম আর ক্যাপাচিনোর সাদ তাদের চকলেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

সার্ফেন বার্গার

এই চকলেট বার তৈরি করে একটি বিখ্যাত আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি কামড়েই এর দুধ আর কিছুটা লবণাক্ত বাদামের স্বাদ মুখে লাগার মত। সার্ফেন বার্গার বছর পর বছর ধরে কোয়ালিটি এবং স্বাদের চকলেট উপহার দিয়ে আসছে।

রিপাবলিকা ডেল কাকাও

জীবনে একবার অন্তত এই চকলেটের স্বাদ চোখে দেখা বাধ্যতামূলক। এমনটাই মনে করছে চকলেট-প্রেমীরা। কোকুয়া চিনি এবং প্রচুর পরিমাণে কোকুয়া বাটার দেওয়া এই চকলেট কিছুটা তিতকুটে মনে হলেও এটাই চকলেটের আসল স্বাদ।

লিনতো এন্ড ইসপ্রংলি

বহু বছর আগে চকলেট খাওয়া হত পানীয় হিসেবে। সে সময় থেকে লিপ্ত এন্ড ইস প্রংলির যাত্রা শুরু হয় এই চকলেটে বার গুলোতে কিছুটা কমলার স্বাদও উপভোগ করা যায় এবং বিভিন্ন ফ্লেভারে চকলেট তৈরি করা হয়ে থাকে।

সোমা

সোমা কোম্পানিটি নিবাস কানাডায় ১৯২৩ সালে যাত্রা শুরু হলেও ইতিমধ্যেই চকলেট প্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে। এই কোম্পানিটি চকলেট দিয়ে তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় বেশিরভাগই নতুন এবং সিক্রেট রেসিপি।

ঘোষ

ঘোষ তালিকায় ১০ নম্বর হলেও দামের দিক থেকে মোটেও ছোট নয়। এই চকলেট বা সাধারণত আমরা যে ধরনের চকলেট সব সময় খেয়ে থাকি এর টেস্ট তাড় থেকে কিছুটা ভিন্ন। এটি মুখে না দিলে বোঝা যাবে না তবে এটি তৈরিতে চকলেটের পরিমাণ অনেক বেশি দেওয়া হয় বলে কিছুটা তিতকুটে মনে হতে পারে ডার্ক চকলেটের মত।

বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায়

মন্তব্য

আজকে আমরা বিদেশি চকলেট কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। এবং আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য অথবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।

আরো পড়ুন – 

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

Leave a Reply