মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো 2023

মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো

বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও কর্মক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে। তবে চাকরির পাশাপাশি সংসার সামলানো অনেক সময় মেয়েদের জন্য কিছুটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই চাকরি সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন চাকরি বেছে নিতে হবে যাতে করে সংসারেও যথেষ্ট পরিমাণ সময় দেয়া যায় এবং তুলনামূলক অল্প পরিশ্রণে ভালো বেতন পাওয়া যায়।

আজকে আমরা ২০২৩ সালে এসে মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি যেসব মেয়েরা চাকরি করতে চাই তাদের জন্য আর্টিকেলকে উপকারে আসবে।

আরো পড়ুন – অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়, কি ভাবে অনলাইনে আয় করা যায়

মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো – (সরকারি চাকরি)

বর্তমানে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়। বিশেষ করে স্কুল কলেজে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে মেয়েদের অনেক প্রাধান্য দেয়া হয়। এ পর্যায়ে আমরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের কোন কোন সেক্টরে বেশি সুবিধা রয়েছে তা আলোচনা করার চেষ্টা করব।

শিক্ষকতা – বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষকতা সেক্টরের মেয়েদের যথেষ্ট পারেনা। বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষক হিসেবে মেয়েদের প্রাধান্য বেশি। এছাড়া শিক্ষকতা করলে চাকরির পাশাপাশি পরিবার সামলানো অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি এমন একটি চাকরি সন্ধান করেন যে চাকুরীর পাশাপাশি পরিবার ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবেন তাহলে শিক্ষকতা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে।

হাসপাতালে নার্স হিসেবে – সরকারি কিংবা বেসরকারি হসপিটালে সেবিকা বা নার্স হিসেবে মেয়েদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়। যদিও শিক্ষকতার তুলনায় নার্স পেশায় পরিশ্রম বেশি এবং সময় দিতে হবে বেশি। তবে বেতন ও তুলনামূলক বেশি পাওয়া যায়। তুলনামূলক ভালো হসপিটাল গুলোতে নার্সদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।

আইনজীবি হওয়ার চেষ্টা করুন – সাধারণত পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টার পরীক্ষার পর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে LLB ডিগ্রী নিতে হয়। সংসার পরিচালনার পাশাপাশি বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ক্লাস করা সম্ভব হয় না। তাই আপনি চাইলে ল’কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারেন। সাধারণত ল’কলেজগুলোতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন নিয়মিত ক্লাস বা পরীক্ষা দিতে হয় না। এতে করে চার বছর পর সংসার সামলানোর পাশাপাশি আপনার একটি ল’ডিগ্রি হাতে থাকবে এবং আপনি চাইলে আইনজীবী হিসেবে চাকরি করতে পারবেন।

সিভিল সার্ভিসেস – সিভিল সার্ভিস বললেই আমাদের মাথায় শুধুমাত্র বিসিএস আসে। যদিও বিসিএস এর পাশাপাশি মেয়েদের জন্য বিভিন্ন নন ক্যাডার / বেসরকারি চাকরি সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের বিভিন্ন কোটা সিস্টেমের কারনে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সিভিল সার্ভিসে চাকরি পাওয়া বেশি সহজ।

আরো পড়ুন – মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ক্রিম – মুখের লোম তোলা কি হারাম

মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো – (বেসরকারি)

টিউশন করে আয় করুন – আপনি হয়তো জেনে অবাক হবে টিউশন বা বাসায় গিয়ে ছাত্র পড়ানোর ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি বেতন পেয়ে থাকে। কারন ছেল টিউটর এর অভাব নেই কিন্তু সে তুলনায় মেয়ে টিউটর এর পরিমান কম তাই চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি।

শিক্ষক – যেমনটা আমরা উপরে বলেছি সরকারি সরকারি উভয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য শিক্ষকতা সবচেয়ে উপযুক্ত প্রেসার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল যেমন বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেন কিংবা বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ন্যূনতম HSC পাশেই ভালো স্কুলে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। তবে অনার্সের সার্টিফিকেট থাকলে ভালো চাকরি পেতে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়।

অফিস সহকারী – বেসরকারি প্রায় সকল অফিসে অফিস সহকারী একটা পদ থাকে যেখানে সাধারনত মেয়েদের নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে আইটি সেক্টরে নতুন যেসব নতুন অফিস হচ্ছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারে। শুরুতে বেতন কিছুটা কম হলেও সময়ের সাথে এবং অভিকতার সাথে সাথে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এই ধরনের চাকরি গুলোতে কাজের চাপ নেই বললেই চলে।

পার্লারে চাকরি – বেসরকারি সেক্টরে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি পার্লারে চাকরি করে থাকে। বর্তমানে পার্লারে অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ান এর চাহিদা অনেক বেশি। শুরুতে অল্প বেতনে বা ফ্রিতে কোন একটি পার্লারে চাকুরী করতে পারে। সময়ের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে পরবর্তীতে বেশি বেতনে চাকরি করতে পারেন অথবা চাইলে নিজেই পার্লার দিতে পারেন।

ব্যাংকে ও ইন্সুরেন্স কোম্পানি চাকরি – বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরি সেক্টরে ব্যাংকের চাকরি সবচেয়ে বড় সেক্টর। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকে চাকরি করার চেষ্টা করে তাহলে খুব সহজেই চাকরি পাওয়া সম্ভব। তবে মাথায় রাখতে হবে ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে বেতনের তুলনায় অফিস টাইম কিছুটা বেশি।

কাস্টমার কেয়ায় চাকরি – বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানি বা প্রাইভেট কোম্পানি গুলোতে কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি হিসেবে মেয়েদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়। কেননা মেয়েরা তুলনামূলক বেশি ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী। যদিও কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিদের বেতন শুরুতে কম থাকে তবুও আপনার যদি ইমারজেন্সি চাকরির প্রয়োজন হয় তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির কাস্টমার প্রতিনিধি হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারে। অন্যান্য বেসরকারি চাকরির মতো এখানেও সময় ও অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেতন বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুন – ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি, ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়

মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো – মেয়েদের জন্য অনলাইন জব

উপরে আমরা মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো এই ব্যাপারে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় সেক্টরে নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পর্যায়ে আমরা দেখব মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়। যেহেতু অনলাইনে আয় করতে প্রথমে কিছু স্কিল এর প্রয়োজন হয় তাই শুরুতেই ইনকাম নাও হতে পারে তবে স্ক্রিন বৃদ্ধি করলে আস্তে আস্তে আয় করা সম্ভব।

ব্লগিং ও কন্টেন্ট রাইটিং – আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটি একজন কনটেন্ট রাইটারের লিখা। আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে অথবা আপনি চাইলে অন্য কারো ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অনলাইনে হাজারো ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ভালো কনটেন্ট রাইটারদের হায়ার করে থাকে। কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং কিভাবে আয় করতে হয় তা ভালোভাবে জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ফেসবুকে প্রোডাক্ট সেল করুন – বর্তমানে ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করা যায়। আপনি চাইলে হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিস ফেসবুক পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে সেল করে আয় করতে পারেন। ফেসবুকে এমন অনেক গ্রুপ রয়েছে যেখানে নিজেদের হাতে তৈরি জিনিস বিক্রি করা যায়। হাতের তৈরি জিনিসের পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনে যেমন পোশাক, গয়না, মেকআপ ইত্যাদি কেনাবেচা করা যায়।

অনলাইনে পড়ানোর মাধ্যমে আয় করুন – বর্তমানে ফেসবুক ইউটিউবে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও পাবলিশ করার মাধ্যমে আয় আয় করা যায়। ভিডিও থেকে এড এর মাধ্যমে ইনকাম তো হবে পাশাপাশি ভিডিও দেখে বিভিন্ন স্টুডেন্ট আপনার কাছে সরাসরি পড়তে চাইবে। তখন ব্যাচ করে গুগল মিট বা জুম কলের মাধ্যমে পড়িয়ে টাকা টাকা আয় করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন – ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করতে হয় বর্তমানে এটি সবারই ভালোভাবে জানা হয়ে গেছে। যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে দক্ষতা অর্জন করার পরে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক ইত্যাদিতে অ্যাকাউন্ট খুলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে সার্ভিস সেল করার মধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।

বর্তমানে ডিমান্ডিং কিছু ফ্রিল্যান্সিং টপিক হচ্ছে –

  • ওয়েব ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • মোশন ভিডিও
  • এড ক্যাম্পেইন
  • লোগো ডিজাইন ইত্যাদি

উপরের পছন্দমত যে কোন একটি টপিক সিলেক্ট করুন এবং সেই বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলেন। কাজ শেখা হয়ে গেলে মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে কাজ করার চেষ্টা করুন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করুন – ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে আয় করতে হয় এই ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নাই। আপনি যদি কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সে টপিকের উপর ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়তে পারেন। লম্বা সময় ইনকাম সোর্স খুঁজলে ইউটিউব চ্যানেল ভালো একটি অপশন হতে পারে। ৬ মাস থেকে ১ বছর পরিশ্রম করলে মাসে ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

আরো পড়ুন – অনলাইন ক্যাসিনো কিভাবে খেলে । ক্যাসিনো একাউন্ট খোলার নিয়ম

মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো

মন্তব্য

আজকে আমরা চেষ্টা করেছি মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো 2023 সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে। মেয়েদের চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। কেননা অনেক সময় খবর না নিয়ে চকরি করতে গিয়ে মেয়েরা বিপদে পড়ে। আর অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে কাউকে টাকা দেয়া যাবে না।

অনলাইনে আয়ের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন বা মতামত জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্য উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ

আরো পড়ুন – অনলাইনে ভিডিও দেখে আয় করার অ্যাপ ১০০%

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

Leave a Reply