ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়
পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে চাকরির বাজার অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে ছাত্র অবস্থা থেকেই প্রযুক্তি নিয়ে ভালো ধারণা রাখা উচিত। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে ছাত্র অবস্থা থেকেই কাজ করলে ইনকাম এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে ওই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
আজকে আমরা ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি, ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। নিচে আমরা ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার উপায় গুলো বলবো তা থেকে আই এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সুযোগ থাকবে। এছাড়াও যারা চাকরি করে তারা চাকরির পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য এই কাজগুলো করতে পারেন।
অনলাইনে আয় কি হালাল
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি হালাল কি না। এর উত্তর হচ্ছে হ্যা, অনলাইনে আয় করা সম্পূর্ন হালাল। অনলাইনে হালাল-হারাম দুই রকম কাজে রয়েছে আপনাকে হালাল কাজটি বেছে নিতে হবে।
সাধারনত চাকরির ক্ষেত্রে যেমন হালাল-হারাম দুই রকমের কাজ রয়েছে ঠিক একইভাবে অনলাইনে ও হালাল হারাম দুই রকম কাজ ই রয়েছে। নিচে আমরা যে কাজগুলো নিয়ে আলোচনা করব তার প্রত্যেকটি হালাল। এছাড়া কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার নৈতিকতা ঠিক রাখতে হবে। সততা ও নৈতিকতা না থাকলে হালাল কাজ ও হারাম হিসেবে হিসেবে গণ্য হবে।
ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি
এই পর্যায়ে আমরা ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করছি এর যেকোন একটি নির্দিষ্ট টপিক ভালোভাবে শিখলে অনলাইনে আয় এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে চাকরির ও সুযোগ থাকবে।
১। Content Writing – কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করুন
যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে রিসার্চ করে লেখালেখি করাকে কন্টেন্ট রাইটিং বলে। কনটেন্ট রাইটিং বাংলা ও ইংলিশ উভয় ভাষাতেই হতে পারে। বর্তমানে ছোট বা বড় যেকোনো ধরনের কোম্পানির ওয়েবসাইট থাকে। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সার্ভিস কিংবা প্রডাক্ট ডেস্ক্রিপশন লেখার প্রয়োজন হয় আর এটি প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার লিখে থাকেন।
কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য রিসার্চ করার স্কিল এবং রাইটিং স্কিল থাকতে হবে। অর্থাৎ কন্টেন্ট রাইটিং এর পূর্বে এসইও নিয়ে মোটামুটি ধারনা থাকতে হবে। এসইও নিয়ে ধারণা নেয়া হয়ে গেলে কিভাবে প্রফেশনাল লিখতে হয় সে ব্যাপারে ভালো ধারণা থাকা লাগবে। বর্তমানে ইউটিউবে কিংবা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে খুব সহজেই কন্টেন্ট রাইটিং এর গোপন টিপস গুলো শিখে নিতে পারেন।
প্রোফেশনালভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করতে চাইলে কি কি লাগবে
- এসিও সম্পর্কে ভালো আইডিয়া থাকা লাগবে। অর্থাৎ কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে।
- ব্লগিং সম্পর্কে আইডিয়া থাকা লাগবে।
- ইংরেজিতে কন্টেন্ট রাইটিং করতে চাইলে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা থাকতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চাইলে মার্কেটপ্লেস নিয়ে আইডিয়া থাকতে হবে।
ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং করে মাসে ১০,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। ইংরেজিতে মোটামুটি ভালো দক্ষতা থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন এছাড়াও দেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার দের বেতন দিয়ে হায়ার করে।
বাংলায় বিভিন্ন ব্লগিং সাইট এ লেখালেখি করে মাসে ৬,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। আপনার স্কিল যত ভালো হবে আয়ের পরিমান ও তত বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে বাংলায় কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করতে চাইলে [email protected] এই ইমেইলে যোগাযোগ করুন।
২। নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট খুলতে পারেন
আপনি যেহেতু এখন আমার লেখাটি পড়ছেন তার মানে আপনার ব্লগিং নিয়ে কিছুটা ধারণা থাকার কথা। যে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ওয়েবসাইটে লেখালেখি করাকে ব্লগিং বলে। এই যেমন আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটি একটি ব্লগ পোস্ট।
আপনি চাইলে ছাত্র অবস্থা থেকেই নিজের ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করতে পারেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি বা অনলাইনে আয়ের একটি উপায় হতে পারে ব্লগিং।
বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই ব্লগিং করতে পারেন। ব্লগিং করে মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে।
যেহেতু আমরা ব্লগ ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি তাই আপনাদের কোনো হেল্প লাগলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন [email protected] এই ই-মেইল।
আরো পড়ুন – ব্লগিং থেকে আয় করার উপায়
৩। Data Entry – ডাটা এন্ট্রি
ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজটি হল ডাটা এন্ট্রি। যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য উপাত্ত কালেক্ট করা কি ডাটা এন্ট্রি বলা হয়। এই কাজ শিখে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। এছাড়াও বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানিতে ডাটা এন্ট্রি পদে লোক নিয়োগ হয়ে থাকে। পড়াশোনা শেষ করে আপনি চাইলে চাকরিও শুরু করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে করতে চাইলে মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
৪। Online tutor – অনলাইন টিউটর
বর্তমানে টেন মিনিট স্কুলের মত অনলাইন প্লাটফর্মে পাঠদান অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান এর উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে পড়াতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি যেকোন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন টেন মিনিট স্কুল, অন্যরকম পাঠশালা, শিখো, ইনস্ট্রাক্টরি এইরকম প্ল্যাটফর্মগুলোতে টিউটর হিসেবে একাউন্ট খুলে পড়িয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি ভুদার মধ্যে এটিই ভালো একটি অপশন হতে পারে।
৫। YouTubing – ইউটিউবিং
বর্তমানে যে কোন জিনিস মানুষ ইউটিউবে আগে সার্চ করে। সেটা পড়াশোনা হোক কিংবা যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য হোক। মানুষ এখন ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। আপনার যদি কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে সে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায় তার ধারণা পাওয়ার জন্য নিজে আমরা বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন আয়কারী ইউটিউবার এর নাম এবং তাদের ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে মোট ইনকাম উল্লেখ করার চেষ্টা কর করছি।
- Dude Perfect – 25 million us dollar
- Mr. Beast – 24 Million Dollar
- Blippi – 20 Million us Dollar
৬। ফেসবুক পেজ খুলে আয় করুন
বর্তমানে ইউটিউব এর মত ফেসবুকেও কনটেন্ট আপলোড করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এশিয়ান কান্ট্রি যেমন বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল এর মতো দেশগুলোতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
ফেসবুক পেজ খুলে নিজের মত করে কনটেন্ট আপলোড করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে চাইলে আয় করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে লম্বা সময়ের জন্য কাজ করা উচিত। ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি ফেসবুক নিয়ে কাজ করলেও ভালো ইনকাম করা সম্ভব।
আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে আয়
উপরে আমরা যে কয়টি ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি কথা বলেছি তার প্রত্যেকটি চাইলে নিজে নিজে করতে পারবেন। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে অন্য কারো আন্ডারে কাজ করতে হবে না বা ফ্রিল্যান্সিং ও করতে হবে না। তবে যারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এই পর্যায়ে তাদের জন্য কিছু সাজেশন দেয়া হবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন বিষয়টি শিখলে দ্রুত কাজ করতে পারবেন এই ব্যাপারে কিছুটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।
১। Web Design – ওয়েব ডিজাইন
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যে কয়টি কাজের সবচেয়ে বেশি ডিমান্ড রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। ডিমান্ড এর পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য বর্তমানে অনেক ভালো ইউটিউব চ্যানেল এবং ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চাইলে খুব সহজেই শিখতে পারবেন।
ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার এই ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েবসাইট ডিজাইন এর যথেষ্ট কাজ রয়েছে। আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন শিখুন সহজে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন শিখা ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে মাসে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে। মাসিক ইনকাম বরাবরই আপনার স্কিল এবং এডুকেশন এর উপর নির্ভর করে। আমরা শুধু একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।
ওয়েব ডিজাইন নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন
২। Graphic Design – গ্রাফিক ডিজাইন
এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর এই ধরনের সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা নামেই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ডিমান্ড লোকাল মার্কেট এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস উভয় জায়গাতেই সমান। অর্থাৎ আপনি যদি একজন ভাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন সেক্ষেত্রে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এবং লোকাল মার্কেটে জব করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে মাসে আপনার স্কিল এডুকেশন এর উপর নির্ভর করে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
৩। Video editing – ভিডিও এডিটিং
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার আরও বড় একটি সেক্টর হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। বর্তমানে যে কোন কোম্পানি তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের জন্য এন্ড তৈরি করে থাকে এবং এর বেশির ভাগেরই ভিডিও এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ভিডিও এডিটর এর চাহিদা ব্যাপক বেশি।
এছাড়া ওয়েব ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর তুলনায় ভিডিও এডিটিং এর কাজের বেতন অনেক বেশি। অর্থাৎ একই পরিমান কাজ করে গ্রাফিক ডিজাইন এর তুলনায় ভিডিও এডিটিং এ বেতন বেশি পাবেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে।
৪। Google ads setup – গুগল এড সেটাপ
ইতোপূর্বে জীবন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর অ্যাড টিভি কিংবা প্রচার করত। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বর্তমানে গুগোল এ এড দিয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন কোম্পানির যদি নতুন কোন প্রোডাক্ট লঞ্চ করে তাহলে তারা টিভিতে এড দেয়ার যে গুগলের অ্যাড দিয়ে থাকে। আর এই অ্যাডগুলো সেটআপ করে দেয়ার কাজ করে থাকে কিছু প্রফেশনাল লোকজন।
আপনি চাইলে গুগল এডসেন্স অথবা ফেসবুক অ্যাপ সেট আপ এর মত কাজগুলো শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। বর্তমানে এই ধরনের কাজের যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
গুগোল সেট আপ করে মাসে ৫০ হাজার টাকার মত আয় করা সম্ভব। তবে আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী এই পরিমাণ আরো অনেক বেশি হতে পারে।
৫। Drop Shipping – ড্রপ শিপিং
যারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে মোটামুটি জানেন তাদের অনেকেই হয়তো ড্রপ শিপিং এর নাম শুনেছেন। তবে আমাদের দেশে ড্রপশিপিং এর ফ্রীলান্সিং এখনো অতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠে নি।
ড্রপ শিপিং হচ্ছে বড় বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন অ্যামাজন বা আলিবাবা থেকে কম দামে প্রোডাক্ট কিনি বেশি দামে বিক্রি করার মত একটি বিজনেস। আপনি চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের একাউন্ট খুলে নিজেই ড্রপ শিপিং করতে পারেন অথবা ক্লায়েন্টকে এই সার্ভিসের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
ড্রপ শিপিং করে মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এছাড়া নিজে একটা ড্রপ শিপিং স্টোর দিতে পারলে সেখান থেকে সারাজীবন ইনকাম হবে।
সহজে অনলাইনে আয়ের উপায়
উপরে আমরা ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি, ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় নিয়ে অনেকগুলো উপায় আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এর মধ্যে যেকোনো একটি টপিক আপনার পছন্দ হয়ে গেছে।
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান সহজে অনলাইনে আয়ের উপায় আছে কিনা। সত্যি বলতে সহজে এবং শর্টকাটে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এ পর্যায়ে আমরা এমন কয়েকটি বিষয় এর নাম উল্লেখ করবো যেগুলো শিখলে তুলনামূলক কম সময়ে অনলাইনে আয় করা সম্ভব।
- ডাটা এন্ট্রি
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং
- ব্লগিং
- অনলাইন টিউটর
- ড্রপ শিপিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- এসইও
উপরের কাজ শেখা তুলনামূলক সহজ এবং কাজ শেখার পর কাজ পাওয়া কিছুটা সহজ। তবে যেকোন বিষয়ের উপরে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে গেলে যথেষ্ট পরিমানে সময় দিতে হবে। যত বেশি সময় দিবেন সে বিষয়ে ততো বেশি দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বেতন বাড়বে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
উপরে আমরা আমরা ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে কাজ শিখার পর কাজ কিভাবে খুজে পাবো অর্থাৎ কোথায় কাজ করবেন। কাজ শেখার পর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে ওয়েব সাইটগুলোতে কাজ করা হয় সেগুলো কে মার্কেটপ্লেস বলে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পাঁচটি মার্কেটপ্লেস।
ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি
উপরে আমরা ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি, ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে এসেছে। যেহেতু আমরা নিজেরাও ফ্রিল্যান্সিং করি এবং ব্লগিং করে টাকা আয় করছে তাই আপনাদের কোন প্রশ্ন বা সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অথবা ব্লগিং করে টাকা আয় এর বিষয়ে জানতে চাইলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। অথবা যোগাযোগ করুন [email protected] এই ই-মেইলে।
আরো পড়ুন – অনলাইন ক্যাসিনো কিভাবে খেলে । ক্যাসিনো একাউন্ট খোলার নিয়ম । কেসিনো খেলে আয় করুন