সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু ২০২৩

Table of Contents show

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর সরকারিভাবে অনেক লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার প্রতিবছর এক লক্ষ ৯৫ হাজার স্থায়ী অভিবাসী নিয়ে থাকে। কোন ধরনের দালাল ছাড়াই ভিসার সকল প্রক্রিয়া পারমিট সহ সরকারিভাবে কিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। তাছাড়া অনেকেরই ধারণা নেই কিভাবে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়।

এবং সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন  তারিখ কবে। আজকের আর্টিকেলে সেসব তথ্যই বিস্তারিত শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।

আরো পড়ুন – ইউরোপ স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ – আবেদনের নিয়ম যোগ্যতা

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার নতুন বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ার নতুন লেবার সরকার এই বছর অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। ২০২৩ সালে লেবারের এন্থনী নতুন সরকার ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতিতে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছে। গত মে মাস থেকে নির্বাচনে জয়ের পর থেকে ভিসা পেগলগ কমাতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে আরো বেশি পরিবর্তন আসতে পারে।

সরকার পুরনোদক্ষ পেশার তালিকা হালনাগাদ করে আরো কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর পরে সরকার ২০২২ সালে স্থায়ী মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এক লাখ ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার করার ঘোষণা দেয়। অক্টোবর বাজেট থেকে দেখা যায় দক্ষ ভিসার সংখ্যা ৯৭ হাজার ৬০০ থেকে বেড়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ হবে।

৪৮২ ভিসাতেও সরকার পরিবর্তন ঘোষণা করেছে এই বিষয়ে আবেদনকারীরা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করতে পারবে। ৪৯৭ ভিসাতে সীমাবদ্ধতা থাকবে না এবং ৪৬২ মারকিং হলিডে মেকার ভিসার জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রটেকশন ভিসা ১৯ হাজার এর বেশি শরণার্থীকে অবশেষে অস্ট্রেলিয়া স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন- অস্ট্রেলিয়া অনার্স খরচ কেমন ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ভিসা ক্যাটাগরি

সাধারণত সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হয়।

১। প্রবাসী

২। শিক্ষিত শ্রেণী

৩। স্টুডেন্ট ভিসা

প্রবাসী – যারা বিভিন্ন দেশে পুর্বে বসবাস করেছেন এবং ভালো ইংরেজিতে কথা বলতে পারে তারা এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারেন।

শিক্ষিত শ্রেণী – যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছো অর্থাৎ সমমান পাস এবং ভালো ইংরেজি লিখতে কথা বলতে পারেন তারাই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারেন।

স্টুডেন্ড ভিসা –  বর্তমানে অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া পড়তে যাচ্ছে তারা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে পারেন।

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন করার সুযোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার ৬ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। চাইলেই ক্যাটাগরিগুলোতে আবেদন যে কেউই অনলাইনে করতে পারবে। যে সকল ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যাবে তা হলো-

  1. সেফ
  2. ওয়েলডার
  3. বয়লার মেকার
  4. পাইফ ফিটার
  5. নার্স
  6. স্টন মেসন

সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগবে

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • অস্ট্রেলিয়ান ভিসা ফরম
  • প্রদত্ত ভিসা
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • পুলিশ সার্টিফিকেট
  • পারিবারিক প্রশ্নপত্র
  • আর্থিক উপায়ের প্রমাণ
  • স্বাস্থ্য বীমা
  • অনুমোদিত প্রাপক ফরম
  • অস্থায়ী থাকার প্রমাণ
  • বিস্তারিত যাত্রাপথ
  • বাসস্থান সংরক্ষণ
  • নিয়োগকর্তার ঠিকানা
  • আমন্ত্রণ পত্র

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন পদ্ধতি

১। পছন্দমত জব ও কোম্পানি খুঁজে সিভি জমা দিতে হবে।

২। সিভিতে আপনার সকল সঠিক তথ্য অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করতে হবে। কোন প্রকার অসত্য তথ্য প্রদান করা যাবে না।

৩। যেই জবের জন্য আবেদন করবেন ওই জবের কোম্পানির ঠিকানা থেকে ইমেইল নাম্বার সংগ্রহ করে আপনার কভার লেটার এবং সিভি পিডিএফ ফরমেটে আপলোড করে কোম্পানির মেইলে সাবমিট করুন।

৪। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কাজের জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা দেয়া হয়েছে ১৮ থেকে ৩০ বছর এবং অবিবাহিত হতে হবে।

৫। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য যে জব খোঁজা হয়েছে সেই কোম্পানির ঠিকানা থেকে ইমেইল নম্বর বা ঠিকানাটি সংগ্রহ করতে হবে এবং উক্ত ই-মেইল এড্রেসের নিচে মতো করে কপালে লেটার লিখতে হবে এবং যেভাবে সিভি ফরম্যাট তৈরি করার কথা বলা হয়েছে তাই পিডিএফ সংযুক্ত করে কয়েকটি কোম্পানি ইমেজ সাবমিট করার মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে।

৬। কয়েকটি কোম্পানিতে আবেদন করার মাধ্যমে পরবর্তী অভিজ্ঞতা আরো বাড়বে।

অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ

অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে ভিসার জন্য খরচ করতে হবে।

১। Sponsor ed cost- AUD 2770

২। Visa cost- AUD 325

৩। Police clearance + medical+ others

এখানে স্পন্সর খরচ হবে অস্ট্রেলিয়ান ২৭৭০ ডলার এবং ভিসার জন্য খরচ করতে হবে অস্ট্রেলিয়ান ৩২৫ ডলার। এর সাথে থাকবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেডিকেল ও অন্যান্য খরচ। সব মিলিয়ে ধরা যায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন ওয়েবসাইট

সাধারণত অস্ট্রেলিয়া কাজের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে কোন ধরনের কাজ দেয়া হবে এবং কতজন লোক কখনো নিয়োগ হবে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটের লিংক হল-  https://immi.homeaffairs.gov.au/visas/working-in-australia এই লিংকটি হলো অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য।

অস্ট্রেলিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। সাধারণত এখান থেকেই টেম্পোরারি ভিসা ক্যাটাগরিতে আপনি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারবেন। তবে অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই জব খুঁজে নিতে হবে।জব খোঁজার জন্য আরেকটি সরকারি ওয়েবসাইটের লিংক হলো- https://www.seek.com.au/

এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রয়োজন এবং পছন্দমত জব অনুসন্ধান করতে পারেন। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরবর্তীতে যে খালি ঘর আসবে সেখানে জব বা কোম্পানির নাম লিখে সার্চ করতে হবে। দ্বিতীয় অপশনে বিভিন্ন ধরনের বিবরণ দেওয়া আছে এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত জব সিলেক্ট করতে পারবেন। যেমন- কল সেন্টার এবং কাস্টমার সার্ভিস, সিইও এন্ড জেনারেল ম্যানেজমেন্ট, কন্সট্রাকশন কনসাল্টিং এন্ড স্ট্রাটেজি ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার এডুকেশন কমিউনিটি সার্ভিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি অপশন থাকবে।

সেখানে নিজের পছন্দ মত অপশন চুজ করতে হবে। এরপরে যেই দেশে বা যে শহরে চাকরি সার্চ করতে চান পরবর্তী খালে জায়গায় তার নাম লিখে সিক অপশনে ক্লিক করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কি কাজ করা যায়?

উপরে আমরা যে ৬ ধরনের ভিসার কথা বলেছি এর বাইরেও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন করে ফিক্সড জবের পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। যেমন –

  • নার্সারি সুপারভাইজার
  • গাড়ি পরিচালনা
  • ট্রাক চালক
  • ক্লিনার
  • যান্ত্রিক ইলেকট্রনিক্স কারিগর
  • কোয়ালিটি ম্যানেজার
  • বিভিন্ন হোটেলে

এছাড়াও আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হন যেমন ডাক্তার, নার্স, প্রকৌশলী, চার্টার অ্যাকাউন্ট তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় সে নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন খরচ

অনেকেই অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চায় তবে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা নেই বা সঠিকভাবে কেউ তথ্য দিতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার খরচ মূলত হয় কোন ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে। এখন যদি কাজের জন্য ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে নয় থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। আর যদি পড়ালেখার জন্য যা হয় তাহলে পাঁচ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে।

অস্ট্রেলিয়ায় কাজের বেতন কেমন?

বাংলাদেশের থেকে অনেকেই কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া যায়।তাই অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করে কত টাকা আয় করতে পারে বা কোন কাজের জন্য বেতন কত হতে পারে তা নিয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। একজন বাংলাদেশী কর্মী অস্ট্রেলিয়া কাজ করে প্রতি ঘন্টা অস্ট্রেলিয়ান বিশ ডলার আয় করতে পারবে।

যা বাংলাদেশি টাকায় ১৩০০ টাকা অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া দৈনিক এক ঘন্টা কাজ করে বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৩০০ টাকা আয় করা যায়। এভাবে যদি নিয়মিত কাজ করেন তাহলে প্রতি মাসে বাংলাদেশের টাকা আনুমানিক ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা যাবে। এছাড়াও লেখা পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি স্টুডেন্ট ভিসা

বাংলাদেশ অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট আছে যারা বিদেশ গিয়ে পড়ালেখা করার তাদের জন্য অন্যতম হতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়াতে জীবন যাত্রার মান উন্নত সে কারণে এখানে লেখাপড়ার খরচ একটু ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা স্কলার্শিপ নিয়ে পড়তে পারবে। আর আপনি চাইলে সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বসে বসে কাজও করতে পারবেন।

তবে এজন্য অনলাইনে ইংরেজিতে পরীক্ষা দিতে হবে। স্টুডেন্টরা শিক্ষার্থী ভিসার জন্য বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনি বৈধ নাগরিক কিনা সেটা পরীক্ষা করা হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট হিসেবে পড়াশুনার জন্য আপনার যথেষ্ট অর্থ রয়েছে কিনা। নির্দেশনা পালন করার পর আপনি ভিসা পাওয়ার পর যে কোন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ ভিসা বা ট্যুরিস্ট সরকারি ভিসা

বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক টুরিস্ট স্পেশালি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। বা অনেকে নতুন করে টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে চায়। তাদের জন্য ভ্রমণ বা ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করার নিয়ম গুলো হল অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। সদ্য তোলা এক কপি ছবি প্রয়োজন হবে। তারপর অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ওয়েবসাইটে লগইন করে টুরিস্ট ভিসা নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে।

তাছাড়া আপনার বিএসএফের ওয়েবসাইটে গিয়ে টুরিস্ট আবেদন ফরটি পূরণ করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়া কোন নিকট আত্মীয়-স্বজন থাকলে তার কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটার গ্রহণ করতে হবে। যদি আপনার পরিচিত কেউ না থাকে তাহলে অস্ট্রেলিয়া যেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাছাড়া আপনাকে আপনার ব্যাংক হিসেবে বিবরনি দিতে হবে।

ব্যাংক হিসেবে ছয় মাসের বিবরনী গ্রহণ করে জমা দিতে হবে এবং সাধারণত ব্যাংক সলভেন্সি নামক প্রত্যয়ন বা সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। আপনার কভার লেটারি পরিষ্কারভাবে তা উল্লেখ করতে হবে। কভার লেটার লিখতে সমস্যা হলে একজন অভিজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে লিখে নিতে হবে। এরপর আপনি যে হোটেল বুকিং বা যে হোটেলের রিজার্ভেশন নিয়েছেন সেখানের কপি জমা দিতে হবে।

যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার বিজনেসম্যান অ্যাকাউন্টটা জমা দিতে হবে। যদি চাকরিজীবী হন তাহলে আপনাকে এনওসি পত্রের কপি জমা দিতে হবে এবং আপনি কতদিনের ছুটি অনুমোদন পেয়েছেন আপনার জিও এর কপি জমা দিতে হবে। আর যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটির আবেদনের কপি জমা দিতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া সরকারি বিভিন্ন কাজের ভিসা ২০২৩

২০২০ সালের আগস্ট এর আগে; অস্ট্রেলিয়া তে কাজ করার জন্য সরকারিভাবে তেমন বেশি লোক নেওয়া হতো না। কিন্তু বর্তমানে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এ কারণে বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য জনবল নিয়োগ দিচ্ছ। অস্ট্রেলিয়া সরকার এ কারণে বিভিন্ন কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে সরকারি ভাবে ভিসা দিচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ক্লিনার ভিসা

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ক্লিনার এর ভিসায় যাওয়া যায়। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের পাশাপাশি কাজের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। এই ভিসা পেতে হলে প্রথমেই যা করতে হবে তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েবসাইট গুলো থেকে একটা ক্লিনারের ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে হবে। তাহলে সেখানে ক্লিনার হিসেবে কাজ করা যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা

কৃষি ভিসা দেওয়া হয় মূলত সিজনে অস্ট্রেলিয়াতে যখন ফসল উৎপাদন করা হয় তখন কৃষকের দরকার হয় এ কারণেই সিজনে বাংলাদেশ কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া লোক নেওয়া হয় তবে আপনার অবশ্যই যোগাযোগ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের থেকে সনদপত্র নিতে হবে

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন সিভি লিখার নিয়ম

অস্ট্রেলিয়ায় জবের জন্য অভিজ্ঞতার আলোকে সিভি তৈরি করতে হবে। যে কাজের জন্য সিভি তৈরি করবেন প্রাসঙ্গিকভাবে সে সকল কাজের অভিজ্ঞতা এখানে উল্লেখ করতে হবে। সিভিতে নিজের এডুকেশনাল লাইফ এবং কোন কোন কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং নিজের পছন্দ এবং হার্ডওয়ার্কিং সম্পর্কে সামারি, কোন কোন ভাষায় পারদর্শী, ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা এবং রেফারেন্স থাকলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন

মন্তব্য

আজকে আমরা সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেল্টি ভালো লেগেছে। আর্টিকেল থেকে কোনভাবে উপকার পেলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন। এবং আর্টিকেলটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

তাছাড়া বিভিন্ন আর্টিকেল সম্পর্কে বা অন্য কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।

আরো পড়ুন – 

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।