দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভিসায় মানুষ কাজের জন্য যাতায়াত করে থাকে। তবে দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা বেশি প্রয়োজন হয় অথবা রিস্কও থাকে অনেক বেশি। এক্ষেত্রে অনেক সময় টাকা হাতছাড়া হয়ে যায়। তাই আজকে আমরা দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায় এবং দালাল ছাড়া কোন কোন দেশে খুব সহজেই ভ্রমণ করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন – অনলাইনে মেয়েদের সাথে কথা বলা অ্যাপস ১০০% কার্যকরী
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার সহজ পদ্ধতি
বর্তমানে দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করা। কেননা সাধারণত বেসরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে দালালের চক্রান্ত বেশি হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে আমরা দালালের ঝামেলা ছাড়া সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৩
কোন দালাল বা মধ্যস্বত্ব ভোগে ছাড়াই সরকারি ভাবে বিদেশে যেতে আগ্রহে দক্ষ স্বল্পদক্ষ ও পেশাজীবী নারী পুরুষের নিবন্ধন শুরু হয়েছে রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি। দেশে ৬১ জেলার নিবন্ধন শুরু হয় হয়েছে। বিদেশ যেতে ইচ্ছুকরা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিকাশ নগর শিওর ক্যাশ বা রকেটে ২০০ টাকা পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। সম্পত্তির জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয় সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক বছরে প্রতি উপজেলা থেকে এক হাজার কর্মী বিদেশ পাঠানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে মোতাবেক সরকারিভাবে বিদেশ-বিদেশে কর্মী পাঠাতে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ঢাকা জেলায় নিবন্ধন শুরু হয়। পরে ২৭ অক্টোবর শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর জেলায় এই পদ্ধতিতে বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈশ্বিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান ব্যুরোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ নিবন্ধন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
যোগ্যতা- আগ্রহীদের যোগ্যতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি থেকে উল্লেখ করা হয়েছে-
- নিবন্ধনকারী কর্মীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে
- তাদের মধ্যে নারী কর্মী হিসেবে যেতে ইচ্ছুক এর বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সে মধ্যে হতে হবে
- নিবন্ধনকারীর অন্তত ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট ও নিজস্ব মুঠোফোন থাকতে হবে
নিবন্ধনের আপডেট তথ্য- নিবন্ধনের আপডেট তথ্য মাঝে মাঝে তাকে খুঁদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেবে কর্তৃপক্ষ। নিবন্ধন সম্পর্কে যেকোনো সময় সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি দপ্তর বা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে। নিবন্ধনের সময় সব যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা স্বনান ডাটা ব্যাংকে সংযোজন করতে হবে। তবে ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন কোনভাবেই নিবন্ধনকারীর বিদেশ যাওয়া নিশ্চিত করবে না।
নিবন্ধনের মেয়াদ- সরকারি এই নিবন্ধনের মেয়াদ হবে দুই বছর বলে উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে। তাই এ সময়ের মধ্যে কোন যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা অর্জিত হলে তা ডাটা ব্যাংকে সংযোজন এর সুযোগ রয়েছে। নিবন্ধনকারী যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকার কাজের ব্যবস্থা করবে এবং কোন দেশে পাঠানো যায় তা নির্ধারণ করবে।
আরো পড়ুন – অনলাইনে মেয়েদের সাথে কথা বলা অ্যাপস ১০০% কার্যকরী
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার ধরন
বিনামূল্যের বিদেশ যাওয়ার জন্য দালাল ছাড়া সরকারিভাবে তিনভাবে বিনামূল্যে বিদেশে যাওয়া যেতে পারে।
১। চাকরিপ্রার্থী হিসেবে
২। শিক্ষার্থী হিসেবে
৩। শ্রমিক হিসেবে
দালাল ছাড়া চাকরির জন্য সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
যদি চাকরি করার জন্য বিদেশে যেতে চান তাহলে আপনি যে চাকরি করতে চান সে দেশে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে কোন সেক্টরের জন্য চাকরির নিয়োগ দিয়েছে তা ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে। যেহেতু বিদেশের চাকরি গুলো বেশিরভাগ দক্ষতা নির্ভর আপনি যে কাজের উপর সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সে বিষয়ে আপনাকে বিদেশে চাকরি করতে হবে।
সরকারি এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে বিনামূল্যে চাকরি-বাকরি সরকারি ভাবে বিদেশ পাঠায়। আপনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে রেফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোন দেশে কর্মী হিসেবে যেতে পারবেন।
দালাল ছাড়া শিক্ষার্থী হিসেবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
শিক্ষার্থীদের দালাল ছাড়াই সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। তাদের বিদেশ যাওয়ার জন্য সকল প্রক্রিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ফলাফল ভিত্তিক। কেননা সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিদেশ যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীর মেধা যোগ্যতা এবং বিভিন্ন ফলাফলের মাধ্যমে সঠিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করে বিদেশে পাঠানো হয়ে থাকে।
দালাল ছাড়া শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
যদি কেউ শ্রমিক হিসেবে দালাল ছাড়া বিদেশ যেতে চায় তাহলে সর্বপ্রথম তাকে শ্রমিক নিয়োগের দৈনিক পত্রিকা গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তারা প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগ করে থাকে। তাদের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করানোর জন্য। তবে আমাদের দেশের অধিকাংশ শ্রমিক না বুঝে না জেনে দালাল চক্রের কাছে লাখ লাখ টাকা দেয়।
কিন্তু মাসের পর মাস বছরে পর বছর পার হয়ে গেলেও তারা বিদেশ যেতে পারে না। এক সময় দালাল চক্র তাদের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে পালিয়ে যায়। তাই যারা শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তারা সরকারিভাবে বিদেশে যেতে পারেন।
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার যোগ্যতা
- দালাল ছাড়াই সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে হলে নিবন্ধন করার সময় নিবন্ধন কার্ডের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে
- বিদেশ যেতে হলে বিভিন্ন দেশের যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বয়স হতে পারে
- দালাল ছাড়া সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে যিনি নিবন্ধন করবেন তার নিজস্ব মোবাইল থাকতে হবে
- এবং সেই মোবাইল নাম্বারে সকাল আপডেট জানানো হবে
- যেহেতু নিবন্ধনকারী যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি ভাবে কি কাজ করবেন তা নির্ভর নির্ধারণ করা হবে তাই তার সকল ডকুমেন্ট যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা ডাটা ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।
- বিদেশে অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানি তার কাজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার উপর নির্ভর করে নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিদেশ যাওয়ার জন্য যখন আপনি নিবন্ধন করবেন তখন আপনি চেষ্টা করবেন সকল তথ্য নির্ভুল দেয়ার জন্য
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দালাল ছাড়া যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনাকে আগে থেকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে রাখতে হবে। যে সকল ডকুমেন্ট ছাড়া কোনভাবে বিদেশ যেতে পারবেন না তা হলো-
- ভিসা
- পাসপোর্ট
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
- দূতাবাসের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার
- চাকরির চুক্তিপত্র
- মেডিকেল রিপোর্ট
- টিকেট
- টাকা প্রদানের রশিদ
- জনশক্তি বুরোর একটি ছাড়পত্র
এ ছাড়পত্রের জন্য কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয় তা হলো-
১। জেলা কর্মসংস্থানে জনশক্তি অফিস থেকে নিবন্ধনকৃত কার্ড
২। ভিসার পৃষ্ঠা সহ পাসপোর্ট এর প্রথম ছয় পৃষ্ঠার ফটোকপি
৩। মূল ভিসার এডভাইস এন্ট্রি পারমিট ওয়ার্ক পারমিট এন্ড ওসি ও ফটোকপি
৪। ১৫০/০০ টাকা মূল্য মানের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ব্যক্তিগত অঙ্গীকার নামা
৫। পেশাজীবিদের ক্ষেত্রে সরকারি স্থায়িত্বশাসিত রাস্তার প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদেরকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ করতে হতে রিলিজ অর্ডার বা ফ্যাশন পত্র
৬। একক ভিসার বিদেশ গামী মহিলার ক্ষেত্রে আইনান ও অভিভাবক থেকে ১৫০/০০ টাকার নন জুডিশার স্ট্যাম্পে অনাপত্তি পত্র
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল খরচ
বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে মেডিকেল টেস্ট করতে হয়। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে প্রার্থীর মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট খুবই প্রয়োজন। প্রার্থী শারীরিক সুস্থতা যাচাই করার জন্য সাধারণত এই মেডিকেল টেস্ট করা হয়ে থাকে। অনেকেই জানতে চাই বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করতে হয় তা করতে কত টাকা লাগে এবং কোথা থেকে টেস্ট করা যায়।
মেডিকেল টেস্ট করতে একেক হাসপাতালে একেক ধরনের টাকা লেগে থাকে। তবে সার্বিক অর্থে মেডিকেল টেস্ট করতে ৫০০০ টাকার সামান্য বেশি খরচ হতে পারে। আর মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য ঢাকা মেডিকেল রাজশাহী মেডিকেল এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল টেস্ট করানো যায়। তবে মেডিকেল টেস্ট শেষে অবশ্যই মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট সাথে করে আনতে হবে।
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে
দালাল বা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য যে টাকা দরকার হয় তার থেকে সরকারিভাবে বিদেশ গেলে তুলনামূলক অনেক কম টাকা খরচে বিদেশ যাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নাও থাকে তাহলে বিদেশ যাওয়া যায়। সেখানে ব্যক্তিগত খরচ আছে তা সীমিত থাকবে দালাল ছাড়াই সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসা পাসপোর্ট এজেন্সির সাথে যোগাযোগ জনশক্তি বুড়োর ছাড়পত্র টিকেট রশিদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কিছু খরচ হয়।
তবে সরকারিভাবে যেতে হলে বিমান ভাড়া নিজের বহন করতে হয়। তবে দালাল ছাড়াই সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অধিকাংশ সময় ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যেই যাওয়া যায়। তবে যদি দালাল বা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ যেতে হয় তাহলে কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কিছু বিষয়
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কিছু বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। যেমন-
১। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আপনার কাছে রয়েছে কিনা। যেমন- পাসপোর্ট
২। ভিসা
৩। জনশক্তি বুড়োর ছাড়পত্র
৪। চাকরি পত্র
৫। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার কাগজপত্র
৬। দূতাবাসের ঠিকানাও ফোন নাম্বার
৭। টিকেট
৮। মেডিকেল রিপোর্ট
৯। টাকা প্রদানের রশিদ
১০। বিদেশের চুক্তিপত্র
চুক্তিপত্রে যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করে নিতে হবে-
- চাকরির নাম
- কোম্পানি বা চাকুরিদাতার নাম
- ঠিকানা
- কর্মক্ষেত্র চাকরির মেয়াদ বা চুক্তির মেয়াদ
- মাসিক বেতন
- ছুটি ও সামাজিক নিরাপত্তা
- যাওয়া-আসা বিমান ভাড়া
- নিয়মিত কর্মঘন্টা এবং সাপ্তাহিক ছুটি
- ওভারটাইম
- বাৎসরিক ছুটি
- বেতন সহ ছুটি নাকি বেতন ছাড়া ছুটি
- অসুস্থতার ছুটি
- মেডিকেল বা স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা
- কর্ম ক্ষেত্রে সম্পর্কিত অসুখ
- মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণের অংক
- যাতায়াত ভাড়া
- খাবার ভাতা
- বাসস্থান ভাতা
- মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা ইত্যাদি
দালাল ছাড়া যেসব দেশে যাওয়া যায়
অনেকেই জানতে চায় সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। কেননা এ বিষয়টি জানা থাকলে বিদেশ প্রার্থী তার পছন্দমত সে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া, কুয়েত, কানাডা, ইতালি, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, সৌদি আরব, ওমান, বাহারাইন, জাপান, চীন, ভারত, মালদ্বীপ, রোমানিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ ১৭২ টি দেশের সরকারিভাবে যাওয়া যায়।
যেসব কারণে কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়
- ওয়ার্ক পারমিট না থাকা
- ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া
- নিয়োগকর্তার সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকলে
- মেডিকেল পরীক্ষায় জন্ডিস যক্ষা হাঁপানি এইচআইভিবা এর পজেটিভ বিভিন্ন যৌনরোগ ধরা পড়লে
- বেআইনিভাবে চাকুরী পরিবর্তন করা বা কর্মস্থল থেকে পলায়ন করলে
বিদেশে সমসামুক্ত থাকার জন্য করণীয়
- যে দেশে কাজ করছেন সে দেশের শ্রম আইন সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে
- বাংলাদেশী দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে
- নিজস্ব তথ্য পাসপোর্ট টাকা পয়সা অন্যের হাতে দেওয়া যাবে না
- হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুলিশ স্টেশনের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে
- অন্য দেশে অভিবাসী শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে
- তাদের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার রাখতে হবে
- বিদেশে বাংলাদেশী ব্যাংক সমূহের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে
- এবং নিজ নামে ব্যাংকে টাকা রাখতে হবে
- বিদেশে আপনার কর্মস্থলে ঠিকানা ও ফোন নাম্বার এবং নিয়োগকর্তার বিস্তারিত তথ্য দেশে পরিবারকে জানিয়ে রাখতে হবে
মন্তব্য
আজকে আমরা দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আর্টিকেলটা সম্পর্কে কোন মন্তব্য অথবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন – অনলাইনে বিদেশে চাকরির আবেদন করার নিয়ম