ভালো মানের চার্জার ফ্যান
বর্তমানে গরম এর মাত্রা পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এরসাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং এর সমস্যা। লোডশেডিং এর সমস্যা কারনে সারাদেশেই বেড়েছে চার্জার ফ্যানের চাহিদা কিন্তু কমদামের মধ্যে ভালো মানের চার্জার ফ্যান কোনটি তা অনেকেই বুঝতে পারেন না আর এই সুযোগ টা ই নেয় বাজারের দোকানদার রা। আপনি সঠিকভাবে ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিয়ে ধারনা না নিয়ে গেলে তারা বিভিন্ন কমদামি চার্জার ফ্যান চাইনিজ কোম্পানির চার্জার ফ্যান বলে দিয়ে দিবে। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশী অনেক কোম্পানি যেমন ওয়ালটন, ভিশন, ক্লিক এর মত কোম্পানিগুলো খুব কমদামে ভালো মানের চার্জার ফ্যান দিচ্ছে ওয়ারেন্টি সহ।

আশা করছি আমাদের আজকের ব্লগটি পড়লে খুবই কমদামে ভালো মানের চার্জার ফ্যান কিনতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করবো দেশী এবং চাইনিজ ভালো মানের ফ্যানের দাম নিয়ে আলোচনা করতে। এবং যেসকল চার্জার ফ্যানের ওয়ারেন্টি আছে আমরা মূলত ওইসকল চার্জার ফ্যান নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আশা করছি আজকের আলোচনা ভালোভাবে পড়লে কমদামে চার্জার টেবিল ফ্যান কিনতে আর কোন সমস্যা হবে না।
কোন কোম্পানির চার্জার ফ্যান ভালো
অনেকেই সস্থায় ভালো মানের চার্জার ফ্যান কিনতে চান কিন্তু বুঝতে পারেন না কোন কোম্পানির চার্জার ফ্যান ভালো হবে। বর্তমানে বাজারে বাংলাদেশী, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের চার্জার টেবিল ফ্যান পাওয়া যায়। আপনার বাজেট যদি কিছুটা কম হয় সেক্ষেত্রে আপনি দেশীয় কোম্পানি যেমন ওয়ালটন, ক্লিক কিংবা ভিশনের মত চার্জার ফ্যান নিতে পারেন। আর বাজেট যদি আরেকটু বেশি হয় সেক্ষেত্রে চাইনিজ বিভিন্ন কোম্পানির চার্জার ফ্যান পাওয়া যায় সেগুলো নিতে পারেন। তবে আপনার বাজেট যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে ভারতীয় ও পাকিস্তানি কোম্পানির বিভিন্ন ফ্যান নিতে পারেন। তবে বাজার থেকে কমদামে চার্জার টেবিল ফ্যান কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারন দোকানীরা অনেক সময় খারাপ ও কমদামী নাম না জানা চার্জার ফ্যান চাইনীজ ফ্যান বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
চার্জার টেবিল ফ্যানের দাম
বাজারে মূলত দুই ধরনের চার্জার ফ্যান পাওয়া যায়। ব্র্যান্ডেড ও নন-ব্র্যান্ডেড চার্জার ফ্যান। আপনি যদি ব্র্যান্ডেড চার্জার ফ্যান অর্থাৎ কোন দেশীয় বা বিদেশী কোম্পানির চার্জার টেবিল ফ্যান নিতে চান সেক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি পড়বে এবং সাথে আপনি ওয়ারেন্টি পাবেন। বাজার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড টেবিল ফ্যান কিনতে গেলে আপনার খরচ পড়বে ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা। ফ্যানের কোয়ালিটি ও ব্যাটারির ক্যাপাসিটি অনুযায়ী দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
আর আপনার বাজেট যদি কিছুটা কম হয় সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন নন ব্র্যান্ডেড ফ্যান ক্রয় করতে পারেন। নন ব্র্যান্ডেড ফ্যান গুলো মূলত চাইনিজ বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যান যা বাংলাদেশের বিভিন্ন মার্কেটে কমদামে কিনতে পাওয়া যায়। চাইনিজ ফ্যানগুলো ৭০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা এর মধ্যে পেয়ে যাবে। তবে এই ধরনের ফ্যান এর সমস্যা হচ্ছে বেশি লম্বা সময় ব্যবহার করা যায় না। ১ বছর ব্যবহার করার পর বেশিরভাগ সময় ফ্যানের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার ৪০০ টাকা দিয়ে ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হয়। তাই আমাদ্র সাজেশন থাকবে যদি সম্ভব হয় তাহলে একবারে ভালো ব্র্যান্ডেড একটি ফ্যান কিনুন যাতে লম্বা সময় ব্যবহার করতে পারেন। নিচে আমরা ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ওয়াল্টন চার্জার ফ্যানের দাম
ওয়ালটন বরাবর ই কমদামে ভালো মানের পন্য দেয়ার জন্য দেশব্যাপী জনপ্রীয়। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোম্পানিটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পন্য ও হোম এপ্লায়েন্স বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের বেশ কয়েকটি কমদামে চার্জার টেবিল ফ্যান রয়েছে। চার্জারফ্যানগুলোর দাম ৩৪০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে। নিচে ওয়ালটনের উল্লেখযোগ্য কয়েকতি চার্জার ফ্যানের মডেল এর নাম দেয়া হলো।

- মডেল ডিটেইলস
- মডেল – WRTF12A
- দাম – 3400 taka
- ওয়াট – 18w
- মোট কালার – Maroon, Green, White, Yellow, Purple
- সাদা এল ই ডি লাইট
- স্পিড – 1500 RPM
- ফ্রিকোয়েন্সি – 50Hz
- এয়ার ডেলিভারি – 10 M³/Min
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
- ফুল চার্জ হতে ১০ ঘন্টা সময় লাগে।
- ফুল স্পিডে চালালে টানা ৪ ঘন্টা চলবে
- নরমাল স্পিডে চালালে টানা ৬ ঘন্টা চলবে।

- মডেল ডিটেইলস
- মডেল – WRTF14A
- দাম – 3600 taka
- ওয়াট – 20 w
- মোট কালার – Maroon, Green, White, Yellow, Purple
- সাদা এল ই ডি লাইট
- স্পিড – 1500 RPM
- ফ্রিকোয়েন্সি – 50Hz
- এয়ার ডেলিভারি – 10 M³/Min
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
- ফুল চার্জ হতে ১০ ঘন্টা সময় লাগে।
- ফুল স্পিডে চালালে টানা ৩ ঘন্টা চলবে
- নরমাল স্পিডে চালালে টানা ৫ ঘন্টা চলবে।

- মডেল ডিটেইলস
- মডেল – W17OA-MS
- দাম – 4600 taka
- ওয়াট – 30 w
- মোট কালার – Stand-Blue, Base-Blue, Stand-Blue, Base-White, Stand-White, Base-Blue
- সাদা এল ই ডি লাইট
- স্পিড – 1385 RPM
- ফ্রিকোয়েন্সি – 50Hz
- এয়ার ডেলিভারি – 10 M³/Min
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
- ফুল চার্জ হতে ১০ ঘন্টা সময় লাগে।
- ফুল স্পিডে চালালে টানা ৩ ঘন্টা চলবে
- নরমাল স্পিডে চালালে টানা ৩.৫ ঘন্টা চলবে।
ক্লিক চার্জার ফ্যান
ক্লিক চার্জার ফ্যান হচ্ছে কমদামে ভালোমানের ফ্যান বাজারে আনার জন্য খুবই প্রসিদ্ধ একটি কোম্পানি।বির্তমানে ক্লিক চেষ্টা করছে ওয়ালটনের মত কমদামে ভালোমানের প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌছে দিতে আর এই ক্ষেত্রে তারা অনেক টাই সফল। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনকে বেশ ভালোভাবেই টেক্কা দিচ্ছে ক্লিক চার্জার ফ্যান। তাই আপনি যদি ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিতে চান ক্লিক আপনার জন্য ভালো একটি অপশন হতে পারে। নিচে আমরা ক্লিকের নামকরা কয়েকটি মডেল এর দামসহ দেয়ার চেষ্টা করেছি।
- মডেল ডিটেইলস
- মডেল – Rechargeable Table Fan 12′ USB Charger
- দাম – 2800 taka
- ওয়াট – 24 w
- মোট কালার – Blue
- স্পিড – 1400 RPM
- ফ্রিকোয়েন্সি – 50Hz
- এয়ার ডেলিভারি – 10 M³/Min
- ওজন – 2.9 kg
- ওয়ারেন্টি – 6 months
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
- ফুল চার্জ হতে ১০ ঘন্টা সময় লাগে।
- ফুল স্পিডে চালালে টানা ৩ ঘন্টা চলবে
- নরমাল স্পিডে চালালে টানা ৩.৫ ঘন্টা চলবে।
- মডেল ডিটেইলস
- মডেল – Rechargeable Table Fan 12′ Blue
- দাম – 3100 taka
- ওয়াট – 24 w
- মোট কালার – Blue
- স্পিড – 1400 RPM
- ফ্রিকোয়েন্সি – 50Hz
- এয়ার ডেলিভারি – 10 M³/Min
- হোয়াইট এল ই ডি লাইট
- ওজন – 2.9 kg
- ওয়ারেন্টি – 6 months
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
- ফুল চার্জ হতে ১০ ঘন্টা সময় লাগে।
- ফুল স্পিডে চালালে টানা ৪ ঘন্টা চলবে
- নরমাল স্পিডে চালালে টানা ১৫ ঘন্টা চলবে
ভিশন চার্জার ফ্যানের দাম
ভিশন হচ্ছে আর এফ এল কোম্পানির একটি সাব ব্র্যান্ড। সাব ব্র্যান্ড হলেও এটি বর্তমানে পরিপূর্ন ব্র্যান্ডের মত ই বাজারে দাপট দেখাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে যেসকল কোম্পানি ইলেকট্রনিক্স ও হোম এপ্লায়েন্স বাজারজার করে ভিশন তাদের মধ্যে অন্যতম একটি কোম্পানি। ভালো মানের চার্জার ফ্যানব হিসেবে ভিশন কোম্পানির একটি চার্জার ফ্যান আমরা সিলেক্ট করেছি। চলুন মডেলটি নিয়ে বিস্তারিত দেঝে নেয়া যাক।

- মডেল – VISION Rechargeable Table Fan 12″ White USB charger
- ব্র্যান্ড – ভিশন
- দাম – 3290 taka
- ওয়াট – 24 w
- মোট কালার – Sky Blue
- স্পিড – 1400 RPM
- ফ্রিকোয়েন্সি – 50Hz
- এয়ার ডেলিভারি – 10 M³/Min
- হোয়াইট এল ই ডি লাইট
- ওজন – 2.9 kg
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
- ফুল চার্জ হতে ১২ ঘন্টা সময় লাগে।
- ফুল স্পিডে চালালে টানা ৪ ঘন্টা চলবে
- নরমাল স্পিডে চালালে টানা ১৫ ঘন্টা চলবে
কেনেডি চার্জার ফ্যানের দাম

ওয়ালটন কিংবা ভিশন কোম্পানির ফ্যানগুলো তুলনামূলক কমদামে ভালো প্রোডাক্ট দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আপনি যদি একটু বেশি দামের মধ্যে ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিতে চান সেক্ষেত্রে কেনেডি ব্র্যান্ডের ফ্যানগুলো নিতে পারেন। বর্তমানে বাজারে ৩০০০ টাকা থেকে ৭০০০ হাজার টাকার বিভিন্ন মানের কেনেডি ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে। যেকোন কেনেডি ব্র্যান্ডের ফ্যানের সাথে পেয়ে যাবেন ১ বছর রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্ট ও ৩ বছরের পার্টস সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি। এছাড়াও কেনেডি ফ্যানের কোয়ালিটি বাজারে একই দামে অন্য যেকোন ব্র্যান্ডের ফ্যানের তুলনায় অনেক ভালো। তাই আপনি যদি কিছুটা বেশি দামের মধ্যে ভালো মানের চার্জার ফ্যান কিনতে চান তাহলে কেনেডি চার্জার ফ্যান আপনার জন্য ভালো একটি পছন্দ হতে পারে।
বর্তমানে অনলাইন ও অফলাইন উভয় যায়গা থেকেই কেনেডি ব্র্যান্ডের ফ্যানগুলো কিনতে পেয়ে যাবেন। অনলাইন থেকে নিলে দারাজ থেকে কিনতে পারেন আর অফলাইন থেকে কিনতে চাইলে ঢাকার নিউমার্কেট থেকে তুলনামূলক কিছুটা দামাদামি করে কমদামে কিনতে পারবেন।
চার্জার ফ্যান কোথা থেকে কিনবেন
উপরে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। কিন্তু অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন ভালো মানের চার্জার ফ্যান তো চিনলাম কিন্তু চার্জার ফ্যান কিনবো কোথা থেকে। প্রথমত যেহেতু বর্তমান অনলাইনের যুগ তাই আপনি চাইলে পিকাবো, দারাজ কিংবা অথবা ডট কমের মত অনলাইন শপ গুলো থেকে ভালো মানের চার্জার ফ্যান খুজে নিতে পারেন। তবে আপনি যদি আসলেই ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিতে চান সেক্ষেতে আমরা সাজেস্ট করবো অনলাইন থেকে না কিনে অফলাইন থেকে নেয়ার।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফ্যানের পাইকারি ও খুচরা বাজার হচ্ছে ঢাকার নবাবপুরে। তাই ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিতে হলে আপনাকে নবাবপুর আসতেই হবে। তবে নবাবপুর না আসলে যে ভালো ফ্যান পাবেন না ব্যাপারটা এমন নয়। ঢাকার নিউ মার্কেট ও কমদামে ভালো মানের চার্জার ফ্যান বিক্রির জন্য বিখ্যাত। তবে দেশের অন্য যেকোন যায়গার তুলনায় নবাবপুর ফ্যানের দাম কিছুটা কম এবং এখানে আপনি প্রায় সকল ধরনের ফ্যান কিনতে পেয়ে যাবেন এবং নকল পড়ার সম্ভাবনা ও নেই বললেই চলে।
ভালো চার্জার ফ্যান কোনটি
এতক্ষন আমরা ভালো মানের চার্জার ফ্যান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অনেক সময় আমরা বাজারে গিয়ে বুঝে উঠতে পারি না ভালো চার্জার ফ্যান কোনটি। তাই আমরা চেষ্টা করছি ভালো মানের একটি চার্জের ফ্যানের কি কি জিনিস দেখে নিতে হয় তা সংক্ষেপে বর্ননা করার। আশা করছি এই কয়েকটি দিক দেখে নিলে আপনি খুব সহজেই ভালো মানের চার্জার ফ্যানটি সিলেক্ট করতে পারবেন।
- ওজন – ভালো মানের চার্জার ফ্যান গুলো সাধারনত একটু ভারি হয়। তাই ফ্যান কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন ফ্যানের ওজন ও কোয়ালিটি কেমন।
- বিল্ট কোয়ালিট – ভালো মানের চার্জার ফ্যান এর বিল্ট কোয়ালিটি শক্ত ও মজবুত হবে। অন্য দিকে সাধারন টেবিল ফ্যান গুলো হালকা ও নড়বড়ে ডিজাইনের হবে।
- ওয়ারেন্টি – চার্জার ফ্যান কিনার পূর্বে ওয়ারেন্ট আছে কি না চেক করে নিন। ভালো মানের চার্জার ফ্যানের সাথে ৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্ট পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে খারাপ চার্জার ফ্যানের সাথে কোন ওয়ারেন্ট থাকে না।
- ব্যাটারি – চার্জার ফ্যানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দিক হলো এর ব্যাটারি। তাই চার্জার ফ্যান কেনার পূর্বে এর ব্যাটারি কত বোল্টের তা চেক করে নিন এবং ভালো ব্যাটারি গুলো একটু ভারি হয় তাই আপনার ফ্যানের ব্যাটারি কেমন তা চেক করুন।
চার্জার ফ্যান ব্যবহারের নিয়ম
অনেকেই কিনে আনার পর চার্জার ফ্যান ব্যবহারের নিয়ম সঠিকভাবে মেনে না চলার কারনে ফ্যান খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা চেষ্টা করবো নিচে চার্জার ফ্যান ব্যবহারের নিয়ম সংক্ষেপে বলতে যাতে করে আপনার ফ্যানটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- চার্জার ফ্যান এসি ও ডিসি দুই ভাবেই চালানো যায়। অর্থাৎ সরাসরি বিদ্যুত কানেকশন দিয়ে চলে আবার ব্যাটারি কানেকশন দিয়েও চলে। কিন্তু লম্বা সময় কারেন্ট এর লাইন দিয়ে চালালে ব্যাটারি ওভার চার্জড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করবেন লম্বা সময় সরাসরি কারেন্টের লাইনে না চালানোর।
- চার্জ সম্পূর্ন শেষ করা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। অর্থা ব্যাটারিতে কিছু পরিমান চার্জ থাকা অবস্থায় আবার চার্জ দেয়ার চেষ্টা করুন এতে করে ব্যাটারি ভালো থাকে ও লম্বা সময়ের সার্ভিস দেয়।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চার্জার ফ্যান নষ্ট হয় ব্যবহার না করলে। অনেক সময় দেখা যায় শীতের সময় অনেক দিনের জন্য ফ্যান অব্যবহার্য অবস্থায় পড়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ফ্যান ব্যবহার করা না লাগলেও চেষ্টা করবেন কিছুদিন পর পর ফ্যান কিছুক্ষনের জন্য ব্যবহার করতে ও চার্জ দিতে।
সস্থায় ভালো মানের চার্জার ফ্যান
উপরে আমরা বেশ কয়েক ধরনের ভালো মানের চার্জার ফ্যান ইয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি ব্লগটি আপনাদের কিছুটা হলেও কাজে আসবে। যদি আজকের আলোচনা সংক্ষেপে বলি তাহলে আপনি মোটামুটি নন ব্র্যন্ডড চার্জার ফ্যান কিনতে গেলে ৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর ওয়ালটন, ভিশনের মত দেশীয় ব্র্যন্ডের চার্জার ফ্যান নিতে গেলে ৩০০০ টাকার মত লাগবে। আর কেনেডির মত ভালো কোম্পানির চার্জার ফ্যান কিনতে গেলে ৫০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা বাজেট রাখতে হবে।