শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডেঙ্গু একটি মহামারী আকার ধারণ করেছ। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও যথেষ্ট পরিমাণে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা সচেতনতা অবলম্বন করলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা কিছুটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। অভিভাবক হিসেবে তাই শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজকে আমরা শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ডেঙ্গু জ্বর কী?
ডেঙ্গু একটি এডিস মশা বাহিত রোগ। গরমের সময় অর্থাৎ শীত এর পূর্বে এই ডেঙ্গুজ্বর বেশি লক্ষ্য করা যায়। ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত এডিস মশা কামড়ের ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়।
সাধারনত ডেঙ্গু জ্বর এর লক্ষণ প্রকাশ হওয়ার পর সঠিক চিকিৎসা করলে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে যায়। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নিলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা শোচনীয় হয়।
ডেঙ্গু টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
যেহেতু বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু খুব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অনেকে টাকার অভাবে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে পারেন না। তাই সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্ট এর খরচ ১০০ টাকা নির্ধারিত করেছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু টেস্ট এর জন্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
সরকারী ও বেসরকারী হসপিটাল এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ডেঙ্গু টেস্ট করানো যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকারভেদ
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে।
- ডেঙ্গু ক্লাসিকাল
- ডেঙ্গু হেমোরেজি
- ডেঙ্গু শক সিনড্রোম
ডেঙ্গু ক্লাসিকাল – ডেঙ্গু ডেঙ্গু ক্লাসিকাল হলে সাধারণত দুই থেকে সাত দিন থাকে এবং জ্বরের তাপমাত্রা থাকে ১০৪ থেকে ১০৬। সাথে মাথা ব্যাথা থাকে শরীর ব্যথা ও লক্ষ্য করা যায়। ডেঙ্গুজ্বরের এই প্রথম স্তরের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনা তেমন ঘটে না। এই জ্বরে হসপিটালে ভর্তি হতে হয় না।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক – এই ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা মারাত্মক হতে পারে। দ্বিতীয় স্তরের ডেঙ্গু জ্বর কমার পরবর্তীতে শরীরে লাল লালচে বর্ন দেখা যায়, শরীরের প্লাটিলেট কমতে থাকে, বমি হয়, খাওয়ার রুচি কমে যায়। শরীরে বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত বের হতে পারে। মলত্যাগের সাথে রক্ত যেতে পারে।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম – তৃতীয় স্তরের ডেঙ্গু অর্থাৎ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম খুবই ভয়ঙ্কর হয়। এক্ষেত্রে রোগীর প্রাণ নাশের আশঙ্কা থাকে। যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন।এই ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। রোগীর হাত পা নিস্তেজ হয়ে আসে অনেক সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের কারণ
প্রাপ্ত বয়স্কদের ডেঙ্গু রোগ থেকে শিশুদের ডেঙ্গু রোগ হলে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে শিশুরা খুব বেশি দুর্বল হয়ে যায়। সাধারণত শিশুর ডেঙ্গু রোগের কারণ হলো এডিস মশা। এডিস মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে কামড়ানোড় পর অন্য কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে তার ডেঙ্গু হতে পারে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা ছাড়াও অন্য মশা কামড়ালে তার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস থাকবে এবং ঐ মশা যে ব্যক্তিকে কামড়াবে তারে ডেঙ্গু হবে। সুতরাং শিশুদের মশা থেকে সাবধান রাখতে হবে।
ডেঙ্গু হওয়ার সময়কাল
সাধারণত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু হওয়ার সময় থাকে। এ সময়টাতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। কিন্তু এবছর ডেঙ্গুজ্বরে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই দেখা যায়। সে জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন না করায় ডেঙ্গু জ্বরের অনেক মৃত্যু ঘটে।
এছাড়া ভোরবেলা ও বিকেলবেলায় এডিস মশার প্রভাব বেশি দেখা যায়। অর্থাৎ ফজরের পরে এবং মাগরিবের নামাযের পূর্বে যে মশাগুলো থাকে সেগুলোই ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই এই সময় বাচ্চাকে সাবধানে রাখতে হবে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এর মতই তবে শিশুদের ক্ষেত্রে আরো বেশি দেখা যায়। সেজন্য শিশুদের জ্বর হলে তার গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- জ্বরের সাথে সাথে শরীর ব্যথা
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছকছক লাল দাগ দেখা দেওয়ায়
- ১০৪ ডিগ্রি থেকে১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর থাকা
- শরীরের বিভিন্ন হাড়ের জোড়া ও মেরুদন্ডে ব্যথা থাকে
- বমি হওয়া
- খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া
- নাকে ও মলদ্বারে রক্ত দেখা যাওয়া
- রক্তচাপ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
- রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া
- শিশু নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
- খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেওয়া
- সারাক্ষণ কান্নাকাটি করা
- পাতলা পায়খানা
শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ মিলে যাওয়ার পর প্রথম করণীয় কাজ হল শিশুকে চিকিৎসকের শরনাপন্ন করা। কেননা বড়দের তুলনায় শিশুরা নুইয়ে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত সহজে বাচ্চাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায় না। তবে শিশুদের প্রতিকার হিসেবে প্রাথমিক কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন।
- শিশুর ডেঙ্গু জ্বর হলে পরিপূর্ণভাবে বিশ্রাম নিতে হবে
- বেশি বেশি করে তরল খাবার খাওয়াতে হবে (ডাব, ফলের জুস, স্যুপ, ইত্যাদি)
- যদি বাচ্চার বয়স দুই বছর এর কম হয় তাহলে ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
- নিয়মিত প্লাটিলেট টেস্ট করতে হবে।
- জ্বর কমার জন্য প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে।
- বেশি বেশি পানি পান করাতে হবে পুষ্টিকর খাওয়া খাওয়াতে হবে বমি বা মাথা ব্যথা হলে দ্রুত হসপিটালে ভর্তি করাতে হব।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগের কোন ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। অর্থাৎ এমন কোনো চিকিৎসা এখনও বের হয়নি যার সাহায্যে ডেঙ্গু রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো করা যায়। তাই শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
তরল খাবার খাওয়ানো- শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে বারবার তরল খাবার খাওয়ানো উচিত। ডাবের পানি ডাবের পানি, ফলের রস, চিড়ার পানি, স্যালাইন, ভেজিটেবল সুপ, চিকেন সুপ ঘনঘন তাকে এসব খাবার দিতে হবে।
বিশ্রাম নেওয়া- শিশুর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শিশুকে সব সময় বিশ্রামে রাখতে হবে। কি করে শরীরের এনার্জি লস হবে না। এবং শিশু দুর্বল হয়ে পড়বে না।
প্লাটিলেট বাড়ানো- ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবার পর শিশুর রক্তে প্লাটিলেট কমে যায়। তাই শিশুর রক্তে প্লাটিলেট বাড়ানোর জন্য বেশি করে তরল খাবার স্যালাইন ডাবের পানি পেঁপে ব্রোকলি, ফল , মিষ্টি দই, বাদাম, ক্যাপসিকাম আদা রসুন হলুদ বেশি করে খাওয়াতে হবে। এসব খাবার খেলে রক্তে প্লাটিলেট বাড়ে।
পেয়ারার শরবত- পেয়ারা শরবত শরীর অনেক সতেজ রাখে। ডেঙ্গুতে ভিটামিন-সি প্রচুর পরিমাণে দরকার যার ফলে পেয়ারার শরবত শিশুকে খাওয়ানো প্রয়োজন।
লেবু- ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে লেবু, লেবুর শরবত বেশি করে খাওয়ানো প্রয়োজন কারণ ভিটামিন সি এর প্রথম উৎস হচ্ছে লেবু। যা সহজে হাতের কাছে পাওয়া যায়।
পেপে ও পেপে পাতা- কাঁচা পেপে ও পেপে পাতা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে ফলে ডেঙ্গু রোগের সাথে লড়াই করতে পারে। পেঁপে পাতার চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য ও অনেক উপকারী।
কখন হসপিটালে ভর্তি করাবেন
সাধারণত প্রথম দুই স্তরের ডেঙ্গু জ্বর হলে বাসায় চিকিৎসা প্রদান করে সুস্থ করে তোলা যায় কিন্তু তৃতীয় স্তরের ডেঙ্গু খুবই ভয়াবহ হয়। ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো ডেঙ্গু জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল এবং তরল খাবার খাওয়ানো। কিন্তু নিচের লক্ষণ গুলো দেখলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান –
- শরীর অতিরিক্ত ব্যথা হলে
- নাক বা মলদ্বার দিয়ে রক্ত নির্গত হলে
- অতিরিক্ত বমি হলে
- রোগীর প্লাটিলেট এর পরিমান ৫০ হাজারের নিচে নেমে গেলে
- ৩দিনের বেশি খাবার না খেয়ে থাকলে হাসপাতালে নিয়ে স্যালাইন দিতে হবে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে করণীয়
যেমনটা আমরা এতগুলো বলেছি ডেঙ্গু রোগের কোন চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই শুরু থেকেই কিছু বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত বিশেষ করে বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে
- শিশুকে মশারির মধ্যে রাখা
- বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা
- বাড়ির আশপাশে নালা পুকুর পরিষ্কার রাখা
- কোথাও বৃষ্টির পানি জমতে না দেওয়া
- ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা
- বাড়ির জানালা বারান্দায় নেট লাগিয়ে দেওয়া
- বিকেলের পর দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া
- সন্ধ্যার পর মশার কয়েল ব্যবহার করা
- বাড়ির বাইরে গেলে মশা বিতাড়ক লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা
- ফুল হাতার জামা ও প্যান্ট পরা
শিশুর ডেঙ্গু হলে কি কি খাওয়ানো উচিত
শিশুদের ডেঙ্গু ডেঙ্গু হওয়ার চাইতে মারাত্মক হয় বেশি। তবে সময় শিশুরা খেতে চায় না। খাওয়ার রুচি চলে যায় বলে তাদেরকে জোর করে খাওয়াতে হয়। তবে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন এ সময় কি খাওয়াবেন।
- শিশুর ডেঙ্গু হলে শিশুকে বেশি বেশি তরল খাবার দিতে হবে।
- ভিটামিন সি জাতীয় খাবার লেবু মাল্টা পেয়ারা দিতে হবে
- ভেজিটেবল সুপ দেওয়া যেতে পারে
- শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ঘন ঘন খাওয়াতে হবে
- শিশুদের স্যালাইন খাওয়াতে হবে
- ডাবের পানি ফলের রস খাওয়াতে হবে
ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায়
সাধারণত এডিস মশা ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। তাই যখন এডিস মশার উদ্ভব ঘটে তখন ডেঙ্গু রোগ প্রকট আকার ধারণ করে। একজন ডেঙ্গু রোগী কে যে কোন মশা কামড় দিলে সে মশা ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত হয়। সেই ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত মশা যতবার কামড় দিবে তাদের সবারই ডেঙ্গু হওয়ার সুযোগ থাকে।
সুতরাং বাসায় বাসার আশেপাশে কোন ডেঙ্গু রোগী থাকলে যথাসম্ভব মশার কামড় থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
এডিস মশা কখন কামড়ায়
গবেষণায় দেখা যায় এডিস মশা সূর্য উঠার সময় এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে অর্থাৎ ভোরে সন্ধ্যার সময় মানুষকে কামড় দেয়। দিনের অন্যান্য সময়ে মশা কামড়ানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু সকালে এবং সন্ধ্যায় এডিস মশা বের হয়। দিনের বেলায় এডিস মশা ঠিকভাবে দেখতে পায় না।
ডেঙ্গু হলে কি কি করবেন না
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ মিলে গেলে অনেকগুলো সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত । যাতে করে ডেঙ্গু রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ না করে। ডেঙ্গু হলে এমন অনেকগুলো কাজ ডাক্তাররা করতে নিষেধ করেন সেগুলো হলো-
- জ্বর হলে সাথে সাথে এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না
- ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না
- মশারির বাইরে থাকা যাবে না
- ভারি কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়
- রোগীর অবস্থা মারাত্মক হলে বাসায় থাকা যাবেন
শিশুর ডেঙ্গু হলে কি কি খাওয়ানো উচিত নয়
শিশুর ডেঙ্গু হলে সময় কোন ভারী খাবার খাওয়ানো উচিত নয় কেননা ভারী খাবার খেলে বারবার তরল খাবার খেতে পারবে না। শিশুকে কোন খাবার নিয়ে জোর করা উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ধরনের ঔষধ খাওয়ানো উচিত নয়। এতে শিশুর অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য
আজকে আমরা শিশুদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে একটি আর্টিকেল শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকুক এটাই আমাদের কাম্য। আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত অথবা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আরো পড়ুন –