উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো
এইচএসসি রেজাল্টের পর অনেকেই উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য দেশের বাইরে যেতে চায় তবে উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। আজকে আমরা উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো
এছাড়া কোন দেশে স্কলারশিপ পাওয়া যায় এবং স্কলারশিপ ছাড়া পড়ার খরচ কেমন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য তুলে ধরব। তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আরো পড়ুন – আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
কোন দেশ উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে বিদেশি ছাত্রদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তবে হাতেগোনা কয়েকটা দেশ রয়েছে যেখানে পড়াশোনা করার পর অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। আমরা উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো এই আলোচনার শুরুতেই এমন কয়েকটি দেশের তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করেছি যেখানে স্কলারশীপ পাওয়া তুলনামূলক সহজ ও খরচ ও তুলনামূলক কম।
- কানাডা
- অস্ট্রেলিয়া
- জার্মানি
- যুক্তরাষ্ট্র
- যুক্তরাজ্য
- অস্ট্রিয়া
- নরওয়ে
- ফ্রান্স
- হাঙ্গেরি
- গ্রীস
- মালয়েশিয়া
- তুরস্ক
- পোল্যান্ড
এই দেশগুলো সবচেয়ে ভালো। প্রতিটি দেশের খরচ ভিন্ন এছাড়াও কম খরচে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশ রয়েছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথমে নিজের জন্য একটি সুইটেবল দেশ খুঁজতে হবে।
আরো পড়ুন – প্রধানমন্ত্রীর গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষা সহায়তা তহবিল পিএইচডি বৃত্তি আবেদন
বিদেশে উচ্চশিক্ষার খরচ
এই পর্যায়ে আমরা বিশ্বের নামকরা কয়েকটি দেশে পড়াশুনার খরচ কেমন এই ব্যাপারে একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো। যদিও পড়াশুনার খরচ নির্ভর করে স্কলারশীপের ধরন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি ও কোন ধরনের ডিগ্রি নিতে চাচ্ছেন তার উপর।
নরওয়েতে পড়াশোনার খরচ
নরওয়েতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ফি দিতে হয় যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি ২৮৯০ থেকে ৫৭৯০ টাকা। এর মধ্যে পাবলিক পরিবহন জাদুঘর পরিদর্শন সংস্কৃতি অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং স্বাস্থ্য সেবা সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
নরওয়েতে প্রত্যেক স্টুডেন্টদের জন্য প্রায় প্রতিমাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১৪০০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি ৭৭০০০ থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে বড় শহরগুলোর তুলনায় ছোট শহরগুলোতে কম টাকায় থাকা খাওয়া হয়ে যায়।
জার্মানিতে পড়াশোনার খরচ কেমন
বিদেশ উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষেত্রে ইউরোপে দেশগুলো বেশি পছন্দ হয়ে থাকে তাদের মধ্যে জার্মানি অন্যতম। সে দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় খরচে চলে। ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোন ফি নেওয়া হয় না। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি রয়েছে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক পরিবহন ক্রিয়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসনিক খরচ এসব ফি বহন করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউর অর্থাৎ বাংলাদেশি 9650 থেকে 33 হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এবং থাকা খাওয়ার খরচ মিলিয়ে প্রায় মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা প্রয়োজন হয়।
ফ্রান্সে পড়াশোনার খরচ
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ফ্রান্স। সেই ক্ষেত্রে বিদেশের উচ্চশিক্ষা লাভের পর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ফ্রান্স অন্যতম সুযোগ দিয়ে থাকে। স্নাতক পড়তে গেলে এখানে বছরে ২৭০ ইউর অর্থাৎ ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এবং মাস্টার্স পড়তে গেলে খরচ হয় ৩৭০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
সাধারণত প্যারিস, লীন সহ বড় বড় শহরগুলোতে থাকতে গেলে খরচের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং ছোট শহরগুলোতে এর চেয়ে কম টাকায় থাকা খাওয়া হয়ে যাবে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রেয়া যেকোন শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্ন পূরণে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। ইউরোপের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি। কিন্তু নন ইউ ই বা ইইএ দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টার বা ১৯২৭ টাকা ছাড়াও টিউশন ফি ৭২৬ বা ৭০ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
তবে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রইয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত। এ তালিকায় রয়েছে-
- ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়
- ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- ইন্স গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়
- জোহানে এস কেপলার ইউনিভার্সিটি
- লিঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয়
- লাইবেন বিশ্ববিদ্যালয়
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের জীবনযাত্রার খরচ কম প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১০০০৩০০ ইউরো প্রায় ৮৬ হাজার থেকে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা প্রতি মাসে খরচ হতে পারে ।
তাইওয়ান পড়াশুনার খরচ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি ইতিহাস সংস্কৃতি ভাষা প্রাকৃতিক বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এই দ্বীপ দেশ তাইওয়ান অন্যতম। এখানে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ইংরেজি পড়ছে। তাইওয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়ার খরচ প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজার টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা লাগতে পারে। এখানে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৬৫ হাজার থেকে ৮৪ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
তুরষ্কে পড়াশুনার খরচ কেমন?
এশিয়া এবং ইউরোপ কে স্পর্শ করে গড়ে ওঠা তুরস্কের স্থাপত্য খুবই বিখ্যাত। এখানকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের খুব সুযোগ সুবিধা পড়াশোনার ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে। তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ডিপ্লোমা বা অন্যান্য ডিগ্রী ইউরোপে স্বীক্রিত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ২৪০ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে ।
এবং এখানে পড়তে গেলে প্রতি মাসে থাকা খাওয়ার খরচ ৩৮ হাজার থেকে ৬২০০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে।
পোল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
সাড়ে ৪০০ এর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ বলে ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কে ধারণ করে আছে পোলেন্ড। এ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা থাকে না। বছরে টিউশন ফি প্রায় দুই লাখ ২৮ হাজার টাকার মত খরচ হয়। শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৩ হাজার থেকে ৫৩ হাজার টাকা। শহর ভেদে এর তারতম্য হয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১০০০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এখানকার পাবলিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাচেলর ডিগ্রিতে প্রতিবছর খরচ হয় দুই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৯২ হাজার থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর জন্য প্রতিবছর প্রায় ৪৮ হাজার থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এখানে থাকা খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকা থেকে ৭৭ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হয়।
গ্রিস পড়াশুনার খরচ
বর্তমানে গ্রিস ই ইউ এবং ই ই ইউ শিক্ষার্থীদের জন্য খুব ভালো হয় পড়াশোনার ক্ষেত্রে। এখানে বেশিরভাগ ব্যাচেলর এগুলো স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর জন্য শিক্ষাবর্ষে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার ইউর অর্থাৎ ১ লাখ থেকে 1 লাখ 92 হাজার টাকার মত টাকা খরচ করতে হয় এবং গ্রিসের পরিবেশের প্রতি শিক্ষার্থীর প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়।
এটি স্পেন এবং জার্মানির তুলনায় বেশ কম খরচ হয়।
স্থায়ী বসবাসের জন্য কোন দেশ ভালো
অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি সে দেশে স্থায়ী বসবাসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে থাকে। তাহলে সে সমস্ত দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে যেখানে থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধা এবং গ্রীন কার্ড খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং যে দেশে খুব সহজেই নাগরিকত্ব প্রদান করে। পার্মানেন্ট রেসিডেন্সের জন্য কানাডা অস্ট্রেলিয়া জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকার সুযোগ রয়েছে।
বিদেশে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেলে অনেকে পড়ালেখা পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করে নিজের পড়াশোনার জন্য খরচ যোগাতে চেষ্টা অথবা পরিবারের জন্য কিছু পাঠাতে চায়। তাদের জন্য যেসব দেশ পার্ট টাইমে স্টুডেন্টদের জব করার এলাও করে সেসব দেশে যাওয়া উচিত। পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজে চালানো যায় এবং ফ্যামিলি কেও ইকনোমিক্যালই সাপোর্ট করা যায়।
অনেক দেশ আছে যারা স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব নিষিদ্ধ করে তাদের মধ্যে চীন অন্যতম। কানাডা আমেরিকা জার্মান অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড অথবা ইউরোপের বড় বড় দেশগুলো পার্ট টাইম জবের জন্য স্টুডেন্টদের জন্য অনেক ভালো। কোরিয়াতে ও চাইলে কাজ করা যায় তবে তাদের লিমিটেড টাইম রয়েছে। জার্মানিতে কাজ করতে হলে তাদের জার্মানি ভাষা শেখা অবশ্যই প্রয়োজন।
বিদেশে হোম সিকনেস
যদি স্টুডেন্ট হোমসিক হয়ে থাকে অর্থাৎ বাড়ির লোকেদের প্রতি বেশি মায়া থাকে তাহলে বাইরে গিয়ে না থাকতে পারলে উচ্চ শিক্ষার জন্য এমন কোন দেশ সিলেক্ট করতে হবে জেনো বাংলাদেশ থেকে খুব কাছাকাছি হয়। যেখানে খুব সহজে আসা-যাওয়া করতে পারে এক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলো নির্বাচন করা যেতে পারে। যেমন- বাংলাদেশিদের জন্য ইন্ডিয়া চায়না খুব ভালো হয়।
খুব কম সময়ের মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করা যায়।
কম খরচের জন্য কোন দেশ ভালো
কোন দেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে যাওয়ার জন্য সেখানে থাকা বা খাওয়ার খরচ কেমন সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। স্কলারশিপ পেলে সে ক্ষেত্রে অন্য কথা। কিন্তু যদি স্কলারশিপ না পায় তাহলে যে ইউনিভার্সিটিতে পড়বে সেখানে টিউশন ফি কেমন বা সেখানে যেতে ব্যাংক একাউন্টে কত টাকা দেখাতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যাংকে ১২ লক্ষ টাকা দেখাতে হয়। ইউএসএতে ২০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তবে ইন্ডিয়া চীন এসব বিভিন্ন দেশে পড়তে গেলে তেমন কোন টাকা-পয়সার ঝামেলা নেই বলতে গেলে। হালকা পকেটে ইন্ডিয়া পড়াশোনার জন্য যাওয়া যায়।
মন্তব্য
আজকে আমরা উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি বিদেশী স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার জন্য স্টুডেন্টদের এই আর্টিকেলটি অনেক পছন্দ হবে। আর্টিকেলটি পছন্দ হলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
উচ্চশিক্ষার জন্য কোন দেশ ভালো সে সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতিশীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন –