13 february ki day
সাধারণত ফেব্রুয়ারিকে আমরা ভাষার মাস হিসেবে জানলেও বর্তমান সময়ে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলি ফেব্রুয়ারিতেও বিভিন্ন দিবস পালিত হয়।13 february ki day সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। ফেব্রুয়ারিকে মূলত ভালোবাসা মাস বলা হয় এ মাসে ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি বিভিন্ন দিবস সেলিব্রেট করা হয়।
আজকে আমরা 13 february ki day সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন – শীতের সকাল স্ট্যাটাস, শীত নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস
ফেব্রুয়ারির উল্লেখযোগ্য দিবস
ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রেমের বাতাস চারিদিকে বয়ে যায়। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিন অর্থাৎ রবিবার এ বছর ভালোবাসা দিবস ছিল।
৭ই ফেব্রুয়ারি- রোজ ডে বা গোলাপ দিবস
আট ফেব্রুয়ারি- প্রপোজ ডে বা প্রস্তাব দিবস
৯ ই ফেব্রুয়ারি- চকলেট দিবস বা চকলেট ডে
১০ ফেব্রুয়ারি- টেডি ডে
১১ ফেব্রুয়ারি- প্রমিস ডে অর্থাৎ কথা দেওয়ার দিবস
১২ ফেব্রুয়ারি- কিস ডে চুম্বন দিবস
১৩ ফেব্রুয়ারি- হাগ ডে আলিঙ্গনের দিবস
১৪ ই ফেব্রুয়ারি- valentine day প্রেমের দিবস
১৫ ফেব্রুয়ারি- স্লাপ ডে বা চড়মারা দিবস
১৬ ফেব্রুয়ারি- কিক ডে
১৭ ই ফেব্রুয়ারি- পারফিউম ডে
১৮ ফেব্রুয়ারি- ফ্লার্টিং ডে
১৯ ফেব্রুয়ারি- কনফেশন ডে
২০ ফেব্রুয়ারি- মিসিং ডে
২১ ফেব্রুয়ারি- ব্রেক ডে
13 february ki day
১৩ই ফেব্রুয়ারি হল কিস ডে বা চুম্বন দিবস। এ চুম্বন দিবস হল প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য ভালোবাসার উদযাপনের দিন। ভ্যালেন্টাইনের অংশ হিসেবে এই 13 ই ফেব্রুয়ারিকে পালন করা হয়। ভালোবাসার সপ্তাহে দিনটি চুম্বনের মাধ্যমে এবং ভালোবাসা প্রকাশের জন্য পালন করা হয়।
বিশ্বের ১৩ই ফেব্রুয়ারি চুম্মন দিবস হিসেবে পালিত হয়। চুম্বন মানে এমন একটি মধ্যম যা মানুষের বন্ধন কে আরো শক্তিশালী করতে পারে এবং ঘনিষ্ঠতার অনুভূতি আনতে পারে। এই দিন চুম্বন ছাড়া ও চুম্বন দিবস উদযাপন করার জন্য আনো আরো অনেক উপায় রয়েছে।
দম্পতিরা একসাথে সময় কাটানোর জন্য অন্তরঙ্গ মুহূর্ত গুলো ভাগ করে নিতে এক অপরের সঙ্গে সময় কাটায় কিছু দম্পতি তাদের ভালবাসা এবং স্নেহের প্রতি হিসেবে ১৩ই ফেব্রুয়ারি চকলেট ফুল প্রেমের চিঠি বা বিভিন্ন ধরনের গিফট পছন্দ করা মানুষকে উপহার দেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের বিশেষ দিন
ভালোবাসার মাস ছাড়া অফিসে ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন বিশেষ দিন উদযাপিত হয়। তা হয়তো অনেকেই জানেনা। এখন আমরা জানবো ফেব্রুয়ারি মাসের বিশেষ কোন কোন দিন গুলো উৎযাপিত হয় নিচে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
১ ফেব্রুয়ারি- বিশ্ব হিসাব দিবস
২ ফেব্রুয়ারি- জাতীয় বস্ত্র দিবস
৩ ফেব্রুয়ারি- জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস
৪ ফেব্রুয়ারি- জাতীয় জনসংখ্যা দিবস
৫ ফেব্রুয়ারি- জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস
৭- ফেব্রুয়ারি বাংলা ইশারা ভাষা দিবস
১১ ফেব্রুয়ারি- সড়ক হত্যা দিবস
১৪ই ফেব্রুয়ারি- জাতীয় পত্র দিবস
১৪ই ফেব্রুয়ারি- সুন্দরবন দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারি- শহীদ দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারি- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২৭শে ফেব্রুয়ারি- জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস
২৮ ফেব্রুয়ারি- জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতন সচেতনতা দিবস
১৩ই ফেব্রুয়ারি বিশেষ ঘটনাবলি
ইতিহাসে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি এর ঘটনা গুলো ঊল্লেখ করা হল-
১৩ই ফেব্রুয়ারি বর্ষপঞ্জি অনুসারে এ বছরের ৪৪ তম দিন। বছরের শেষ হতে আরও ৩২১ দিন বাকি। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ঘটনা গুলি সংঘটিত হয়েছিল। ইতিহাসে সেসব ঘটনাগুলোর নিচে তুলে ধরা হলো-
১২৫৭ সালে- মঙ্গল বাহিনীর হাতে আব্বাসীয় খলিফাদের রাজধানী বাগদাদের পতন ঘটে
১৬০১ সালে- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্রপথে ভারত আগমন করে
১৬৩ সালে- পূর্বে বিচারের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলি রোমে ফিরে আসেন
১৭৮৮ সালে- ওয়েস্ট মিনিস্ট্রি তে ওয়ারেন্ট হেস্টিংস এর বিচার শুরু হয়
১৭৩৯ সালে- কার্নালের যুদ্ধ ইরানি শাসক নাদির সাহেব বাহিনী মুঘল সম্রাট মোঃ শাহের বাহিনীকে পরাজিত করে
১৮৩২ সালে- লন্ডনে প্রথম কলেরার উদ্ভব ঘটে
১৮৮০ সালে- টমাস আলভা এডিসন পারফেক্ট ইফেক্ট পর্যবেক্ষণ করেন
১৮৮২ সালে- কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৮৮৩ সালে- জার্মানির বিখ্যাত সুরক্ষা এবং সংগীত বিদ রিচার্ড ওয়েগনার পরলোকগমন করেন
১৮৯০ সালে- বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল
১৯৩১ সালে- ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয় দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়
১৯৩৪ সালে- সোভিয়েত বাষ্পীয় জাহাজ এসএস জেল উস্কেন আরেকটি মহাসাগরে ঢুকে যায়
১৯৪৫ সালে- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাল ফৌজ এর কাছে নাৎসি জার্মানি এবং হাঙ্গীর বাহিনীর নিঃস্বার্থভাবে আত্মসমর্পণ করে
১৯৫৫ সালে- ইসরাইল সাতটি ডেটসিস্ত্রাল এর মধ্যে চারটি লাভ করে
১৯৬০ সালে- ফ্রান্সে প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে
১৯৭২ সালে- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে
১৯৭২ সালে- ঢাকা মস্কোর সরাসরি টেলিযোগাযোগী স্থাপন করা হয়
১৯৮২ সালে- গুয়েতে মালায় নিগ্রো ঘনত্ব সংঘটিত হয়
১৯৮৫ সালে- ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এতটাই গলিতে মারা যান
১৯৯০ সালে- জার্মান জার্মানি ঐক্যবদ্ধ করার জন্য দুই স্তর বিশিষ্ট পরিকল্পনার বিষয়ে সমঝোতা হয়
১৯৯১ সালে- উপসাগরীয় যুদ্ধ হয়
২০০৭ সালে- সংশোধিত জরুরী ক্ষমতা বিধি জারি করে।
১৩ই ফেব্রুয়ারি বিশেষ ব্যক্তিদের জন্ম
১৩ই ফেব্রুয়ারি ইতিহাসে বিভিন্ন বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য হয়েছিল। নিচে তাদের কিছু তালিকা উল্লেখ করা হলো-
১৫৯৯ সালে- সপ্তম আলেকজান্ডার জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৯ সালে- ভারতীয় বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী নাইডু জন্মগ্রহণ করেন
১৮৮৫ সালে- ৩৫ তম ফাস্ট লেডি
১৮৯১- সালে ঘ্রাণ্ট আমেরিকান চিত্র শিল্প শিল্প
১৮৯২- রবার্ট এইচ জ্যাকসন আমেরিকান আইনজীবী ছিলেন এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন
১৯১১ সালে- পাকিস্তানী কবি ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ
১৯১৩ সালে- খালিদ বিন আব্দুল আজিজ সৌদি আরবের বাদশা জন্মগ্রহণ করেন
১৯১৫ সালে- স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা এবং সমন্বয়ক ওসান সূচি
১৯১৯ সালে- কবি এবং প্রাবন্ধিক মনির উদ্দিন ইউসুফ
৯২১ সালে- বাংলাদেশী ভাষা বিখ্যাত নামা মনীষী আহমেদ শরীফ জন্মগ্রহণ করেন
১৯২৮ সালে- কানাডিও আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ নোভা স্কুটিয়ার গেনাল্টি গান জন্মগ্রহণ করেন
১৯২৯ সালে- বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার ভাষা সৈনিক গাজীউল হক জন্মগ্রহণ করেন
১৯৪৮ সালে- কণ্ঠশিল্পী নিলুফা ইয়াসমিন জন্মগ্রহণ করেন
১৩ই ফেব্রুয়ারি মৃত্যু দিবস
১৩ই ফেব্রুয়ারিতে যেসব বিখ্যাত মনীষী মৃত্যুবরণ করেন নিচে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হলো-
৮৮৫ সালে- স্কটিশ রাজা কেন পিন
৯০৪ সালে- কারামাতি নেতা
৯৪২ সালে- মুসলিম সামরিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইবনে রাইট
১৩৩০- পোপ দ্বিতীয় হনোরিয়াস ১
৫৮৫ সালে- স্প্যানিশ জাজক এবং পন্ডিত সালমেরন
১৭২৭ সালে- ইংলিশ ভাষা ভিদ এবং পন্ডিত উইলিয়ামটন
১৮৮৩ সালে- সংগীত বেদ এবং সুশ্রেষ্ঠা ওয়েগনার
১৯৫০ সালে- ইতালির সুইস লেখক রাফায়েল শাবা তিনি
১৯৬৪ সালে- বাংলার নবজাগরণে প্রথম দিকের প্রধান চিত্রশিল্পী অসিতকুমার হালদার
১৯৬৯ সালে- প্রথম বাঙালি গভর্নর এবং ভারতীয় টেস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য
১৯৭৪ সালে- উচ্চারঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী এবং ওস্তাদ আমির খান
১৯৭৭ সালে- সাংবাদিক আব্দুস সালাম মৃত্যুবরণ করেন
১৯৮৬ সাল- ব্রিটিশ বিরোধী সক্রিয় কর্মী কবি এবং সমাজকর্মী আশলতা সেন
১৯৯৬ সাল- মার্টিন বেলসাম আমেরিকান অভিনেতা মৃত্যুবরণ করেন
২০১২ সালে- বাংলাদেশে অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী মৃত্যুবরণ করেন
২০১৫ সালে- কে সব রেড্ডি তিনি ভারতীয় চিকিৎসক এবং লেখক ছিলেন
আরো পড়ুন – বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয়
কিভাবে ১৩ই ফেব্রুয়ারি বা কিস ডে উদযাপন করা যায়
অনেকেই জানতে চায় এ দিবস কিভাবে পালন করা যায়। বর্তমান সময়ে দম্পতিরা বা প্রেমিক প্রেমিকা ১৩ ফেব্রুয়ারি বা চুম্বন দিবসকে নিজেদের মতো করে সেলিব্রেট বা উপভোগ করতে চায়। এই বিশেষ দিন উদযাপন করার জন্য নিজেদের পছন্দমত উদযাপন করা যেতে পারে।
যেমন- একে অপরকে সময় দিয়ে অথবা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত গুলো ভাগ করে নিয়ে। বিভিন্ন পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যে অথবা স্নেহের প্রতিক হিসেবে চকলেট ফুল বা প্রেমের চিঠির মত বিভিন্ন উপহার বিনিময় করতে দেখা যায়। এছাড়াও প্রিয় মানুষের পছন্দের কোন গিফট তাকে ভালোবাসা মাসে উপহার দিলে খুশি হয়।
তবে কেউ মানুষের কাছে বিভিন্ন গিফটের চেয়ে আপনার মূল্যবান সময় অনেক বেশি খুশির কারণ হতে পারে।
13 february ki day
আজকে আমরা 13 february ki day সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করছি। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রতিদিন নতুন নতুন সব আপডেট ইনফরমেশন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন –
