পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা ও বিখ্যাত খাবার

পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা

ইট পাথরের এই ঢাকা শহরে ঘোরাফেরা বা বিনোদনের জন্য জায়গা খুব কমই আছে। ঢাকা শহরে যে কয়টি ঘোরার জায়গা আছে তার মধ্যে পুরান ঢাকা প্রসিদ্ধ। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পুরান ঢাকায় বেশিরভাগ ঢাকায় স্থায়ী বাসিন্দা রা বসবাস করে।

প্রত্যেক এলাকারই কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকে। পুরান ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। যা পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি ঢাকায় বিভিন্ন মানুষের পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে। আজকে আমরা পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা ও পুরান ঢাকায় বিখ্যাত খাবারের নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গার তালিকা

পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গাগুলো বা বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তা প্রায় সবগুলোই কাছাকাছি। হাতে সময় নিয়ে ঘুরলে একদিনে সবকটি দর্শনীয় স্থান দেখা হয়ে যাবে। পুরান ঢাকার অনেকগুলো ঘোরার জায়গা রয়েছে। এদের মধ্যে নিচের কয়টি বিনোদন বা পিকনিকের জন্য জনপ্রিয়।

লালবাগ

মোঘল আমলের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে লালবাগ কেল্লা। এ কেল্লায় রয়েছে পরিবিবির মাজার, দরবার গৃহ, দুর্গ, হাম্মাম খানা মসজিদ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের পাশেই লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। ঢাকায় প্রায় প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী লালবাগ কেল্লা পরিদর্শন করতে যান।

লালবাগ কেল্লা খোলা থাকে সকাল 10 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত। কেল্লাই প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকেটের মূল্য 30 টাকা। শিশু অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোন টিকেট এর প্রয়োজন হয় না।

আর্মেনিয়ান চার্চ

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় পূর্বে অনেক আর্মেনিয়ান বসবাস করত। তাদের কয়েকজন আর্মেনিয়ান দের প্রচেষ্টায় আর্মেনিয়ান চার্চ নির্মিত হয়। আর্মেনিয়ান চার্চ এর নকশা অনেক সুন্দর। পূর্বে আর্মেনিয়ান চার্চ একটি বিশাল বড় ঘন্টা ছিল। যার ঘন্টা শুনে ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘড়ির সময় ঠিক করে নিতেন।

১৯৮০ সালে এই ঘণ্টা হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় যার কখনো বাজে নি। আর্মেনিয়ান দের সংস্কৃতি জানতে হলে আর্মেনিয়ান চার্চ দর্শন করা উচিত।

ঢাকেশ্বরি মন্দির

পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লা থেকে ৩০০ মিটার পূর্বে এই ঢাকেরশরী মন্দির টি অবস্থিত। ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির হল এই ঢাকেরশরী মন্দির। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নামকরণ নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মতামত। তবে লোকমুখে শোনা যায় বিজয় সেনের রানী লাঙ্গলবন্দে স্নানে যাওয়ার পর তার একমাত্র পুত্র বল্লাল সেন জন্ম নেয়।

পরবর্তীতে বল্লাল সেন সিংহাসনে বসলে তার জন্মস্থান কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই মন্দির স্থাপন করেন। পরিবার সহ ভ্রমণের জন্য এই ঢাকেশ্বরী মন্দির হতে পারে আনন্দের উৎস।

বাহাদুর শাহ পার্ক

পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের পাশেই বাহাদুর শাহ পার্ক অবস্থিত। ঐতিহ্যবাহী বাহাদুর শাহ পার্কের পাশেই অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ। বাহাদুর শাহ পার্কের পূর্ব নাম ছিল ভিক্টোরিয়া পার্ক।

প্রতিদিন ভোরে জগিং এর জন্য এবং বিকেলে অনেক মানুষ বাহাদুর শাহকে বসে আড্ডা গল্প মেতে থাকে।

বলধা গার্ডেন

পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বলধা গার্ডেন অবস্থিত। বলধা গার্ডেন একটি উদ্ভিদ উদ্যান। জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় সালে এ পার্কের কাজ শুরু  করেন। বলধা গার্ডেনের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় আট বছর সময় লেগেছিল। দুর্লভ প্রজাতির প্রায় 800 গাছ সহ বলধা গার্ডেনে প্রায় 18 হাজার গাছ রয়েছে।

ঢাকায় সবুজ গাছগাছালি কম থাকায় বলধা গার্ডেনে ঘুরতে গেলে মন ফুরফুরে হয়ে যায়। বলধা গার্ডেনে এমন অনেক গাছ রয়েছে যা বাংলাদেশের অন্য কোথাও আর নেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

বাংলাদেশের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা ঘোরার জন্য প্রসিদ্ধ একটি জায়গা। পুরান ঢাকার এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বে জগন্নাথ কলেজ ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দের হল এবং একটি ছাত্রীদের হল রয়েছে। এর সামনে রয়েছে বিশাল বড় একটি মাঠ।

ভিক্টোরিয়া পার্ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চাইলে একদিনের মধ্যেই ঘুরে আসা যাবে।

জিনজিরা প্রাসাদ

পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর অপর পাড়ে বড় কাটরা দক্ষিণ দিকে জিনজিরা প্রাসাদ অবস্থিত। পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা মধ্যে জিনজিরা প্রাসাদ প্রশিদ্ধ। মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় ইব্রাহিম খান তাঁর আনন্দের কেন্দ্র হিসেবে জিনজিরা প্রাসাদ নির্মাণ করেন। মুঘল আমলে স্থাপিত সবগুলো স্থাপনায় সৌন্দর্য নিদর্শন।

বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর ঘষেটি বেগম আমেনা বেগম সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী অনন্যাকে এ জিঞ্জিরা প্রাসাদে বন্দী করে রাখা হয়। এইরকম একটি ঐতিহাসিক ও সুন্দর যায়গায় পরিবার নিয়ে চাইলে ঘুরে আসা যাবে।

আহসান মঞ্জিল

পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা গুলোর মধ্যে আহসান মঞ্জিল অন্যতম। বুড়িগঙ্গা নদীর পাশেই আহসান মঞ্জিল এর অবস্থান। শেখ এনায়েতুল্লাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আহসান মঞ্জিলের জায়গাতেই একটু রংমহল স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মালিকানা বদল করে আব্দুল গনির কাছে মালিকানা আসে। তিনি তার ছেলে খাজা সানাউল্লাহ নামেই আহসান মঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করেন।

আহসান মঞ্জিল কখন খোলা থাকে – এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আহসান মঞ্জিল খোলা থাকে সকাল সাড়ে 10 টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। এবং অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এটি খোলা থাকে 9 টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে।

আহসান মঞ্জিল টিকিটের দাম- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি টিকেটের মূল্য 30 টাকা। এবং ছোটদের জন্য প্রতি টিকেটের মূল্য 15 টাকা। প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন টিকেট এর প্রয়োজন হয় । বিদেশি পর্যটক এর জন্য প্রবেশ মূল্য 100 টাকা।

বড় কাটরা

বড় কাটরা ইমারতটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। পুরান ঢাকা ঘোরার জায়গা গুলোর মধ্যে বড় কাটরা অন্যতম একটি জায়গা। এই কাটরাটি দেওয়ান আবদুল কাশেম শাহ সুজার বাসস্থান হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন। তবে এই বড়কাটরা টি শাহ সুজা কখনো ব্যবহার করেননি। তিনি এটি মুসাফির অসহায় মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

ছোট কাটরা

ছোট কাটরা বড় কাটরা পূর্বদিকে অবস্থিত। ছোট কাটরা আকারে বড় কাটরা কে ছোট বলেই এর নাম ছোট কাটরা নামকরণ করা হয়। নবাব শায়েস্তা খানের আমলে ছোট কাটরা নির্মিত হয়। ইংরেজ আমলের নানা সংস্করণ করা হলেও বর্তমানে একটি ছোট কাটরা বলে মনে হয় না একটি ভাঙ্গা ইমারতের মতোই মনে হয়।

রোজ গার্ডেন

সেসময়ের নতুন জমিদার ঋষিকেশ দাস রোজ গার্ডেন নির্মাণ করেন। পুরান ঢাকায় গোপীবাগ এলাকায় রোজ গার্ডেন এখনো অবস্থিত। সে সময় হিন্দুদের সংস্কৃতির একমাত্র ছিল বলধা জমিদার বাড়ি। লোকমুখে শোনা যায় সময় একদিন জমিদার ঋষিকেশ দাস বিনা দাওয়াতে বোলতা জমিদারবাড়ি উপস্থিত হলে তাকে অপমান করা হয়।

পরবর্তীতে সেই বলধা জমিদার বাড়ির আদলে এই রোজগার্ডেন বানানো হয়।এ রোজ গার্ডেন সাজানোর জন্য তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে দুর্লভ গোলাপ গাছে এনে লাগান।

রুপলাল হাউজ

রুপলাল হাউজ মূলত দুই হিন্দু ব্যবসায়ীর। সম্মেলনে তৈরি। এটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছে। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে ফরাসগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এটি মূলত শৈল্পিক দৃষ্টিনন্দন এর ছাপ আছে। যে কারো নজর কাড়বে। ভবনটিতে ৫০ টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে এবং একটি সদর দরজা রয়েছে।

তারা মসজিদ

পুরান ঢাকার ঘোরার জায়গা গুলোর মধ্যে তারা মসজিদ অন্যতম একটি নিদর্শন। পুরান ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ আরমানিটোলা অবস্থিত। আঠারোশো শতকের দিকে তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন জমিদার মির্জা গোলাম। সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন হচ্ছে এই তারা মসজিদ।

লালকুঠি

পুরান ঢাকার লালকুঠি নর্থব্রুক নামেও পরিচিত। এটি পুরাতন ঢাকার ফরাসগঞ্জ মহল্লায় অবস্থিত। লালকুঠি ইমারতটি পুরোটাই লালা তৈরি করা হয়েছে বলে এর নামকরণ করা হয়েছে লালকুঠি। ইতিহাসের এই লালকুঠি নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সভার সাক্ষী হয়ে আছে।

কার্জন হল

কার্জন হল বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের একটি অংশ। তবে শোনা যায় পূর্বে কার্জন হল। থাকার একমাত্র লাইব্রেরী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে কার্জন হল সবুজে ঘেরা একটি জায়গা। পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম।

তারা মসজিদ

পুরান ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ আরমানিটোলা অঞ্চলে অবস্থিত। এই মসজিদটির পুরোটা জুড়ে রয়েছে ছোট-বড় তারার নকশায় নোক্সিত। তাই মসজিদের নামকরণ করা হয় তারা মসজিদ নামে। সাদা পাথর পথ চিনে মাটি দিয়ে এ তারাগুলো নকশা করা হয়েছে। আঠারোশো শতকে ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম এই তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন।

পরিবিবির মাজার

পুরান ঢাকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হচ্ছে লালবাগ কেল্লা। পরিবিবির মাজার লালবাগ কেল্লা তে অবস্থিত। পরিবিবির জন্য কেল্লা নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার আগেই সম্রাট আওরঙ্গজেব মারাঠা বিদ্রোহ শুরু হয়। ফেরার পূর্বেই পরী বিবি মারা যান। তাই তিনি কেল্লার কাজ অসম্পূর্ণ রাখেন এবং একে অপরের মনে করা হয়। সেখানে পরিবিবির মাজার রয়েছে।

সদরঘাট (লঞ্চ ঘাট)

সদরঘাট বা লঞ্চ ঘাট এর নাম শুনলেই আমাদের মাথায় লঞ্চ এর নাম ভেসে আসে। পুর্বে বরিশাল যাওয়ার মূল মাধ্যম ই ছিলো লঞ্চ কিন্তু বর্তমানে পদ্মা সেতু হওয়ার পর লঞ্চের ভিড় কিছুটা কমেছে। আপনার পরিবারের সদস্য যদি এর আগে লঞ্চ না দেখে সেক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে ঘাটে নিয়ে লঞ্চে উঠতে ঘুরে দেখতে পারেন।

এছাড়াও নোকা, স্পিড বোর্ডে উঠার ব্যবস্থা ও রয়েছে।

পুরান ঢাকায় জনপ্রিয় খাবার ও হোটেল এর নাম

পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা গুলো দর্শনীয় হলেও এ পুরান ঢাকা খাবারের জন্য প্রসিদ্ধ। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে হাজীর বিরিয়ানি পুরান ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যায়। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আমরা পুরান ঢাকার জনপ্রিয় খাবার হোটেলের নাম উল্লেখ করে দিয়েছি।

  • নান্না বিরিয়ানি
  • হাজীর বিরিয়ানি
  • লালবাগ রয়েল হোটেলের কাচ্চি, জাফরান বাদামের শরবত
  • পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের হোটেল স্টারের কাবাব, খাসির লেকুস, চিংড়ি
  • আল রাজ্জাক হোটেল এর মোরগ-পোলাও
  • নবাব আরজু হোটেলের কাচ্চি এবং নাস্তা
  • পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের হোটেল নিরবের অনেক ধরনের ভর্তা
  • নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানি
  • নারিন্দা হোটেলের ঝুনু বিরিয়ানি
  • বংশালের বিখ্যাত শামসুল আলমের ভুনা খিচুড়ি
  • নাজিরাবাজার বিসমিল্লাহ হোটেল বটি কাবাব
  • ঠাটারীবাজার এর মিষ্টি, জিলাপি
  • রায় সাহেব বাজারের গলিতে বিখ্যাত মাখন মিয়ার পোলাও
  • সুত্রাপুর বাজারের বিখ্যাত রহিম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি
  • গেন্ডারিয়া এলাকায় রহমানিয়া হোটেল এন্ড কাবাব
  • ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের চা
  • দয়াগঞ্জের সিটি বিরিয়ানি ও চা বিখ্যাত
  • সিদ্দিক বাজার এলাকার মাজহার সুইটস

কিভাবে যাবেন

পুপুরান ঢাকার অলিগলি রাস্তা গুলো খুবই চিকন হওয়ার ফলে রিকশায় যাতায়াত করার সবচেয়ে সুবিধাজনক। এছাড়াও বিভিন্ন বাস ও সিএনজি পুরান ঢাকায় ভ্রমণ করা যায়। তবে পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো রাতে মালামাল আনা নেওয়ার জন্য বড় বড় ট্রাক এর দখলে চলে যায়।

ঢাকায় প্রায় সব যায়গা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত বাস পেয়ে যাবেন। এরপর গুলিস্তান থেকে পুরান ঢাকার যে যায়গায় ই যেতে চান সেখানের রিক্সা পেয়ে যাবেন অল্প ভাড়ার মধ্যেই।

 মন্তব্য

আজকে আমরা পুরান ঢাকায় ঘোরার জায়গা হয়ে বিখ্যাত খাবার নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশাকরছি ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা দিতে পেরেছি। এ সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত অথবা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। আমরা অতি দ্রুতই আপনাদের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।

আরো পড়ুন- 

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

Leave a Reply