ভারতে হার্টে রিং পরানোর খরচ
কার্ডিয়াক সার্জারি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতির চিকিৎসা। এক্ষেত্রে প্রচুর দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন হার্টের রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই হার্ট অ্যাটাকে সংখ্যা বাড়ছে এবং হার্ট ব্লক হলে রিং পরানোর প্রয়োজন হচ্ছে।
আজকে আমরা ভারতে হার্টে রিং পরানোর খরচ ও বিভিন্ন দেশে এর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
হার্টের রিং জিনিসটা কি?
হার্টের রিং কে বলতে হবে গত শতাব্দীর আবিষ্কার গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটা আবিষ্কার। এটা বিভিন্ন ধাতুর তৈরি খুবই সূক্ষ্ম তার জালের মত। গ্রামের ছোট গাছগুলোকে রক্ষা করার জন্য বাঁশের তৈরি যে ঘেরাও দেয়া হয় অনেক তেমন। হার্টের যেখানে ব্লক হয় সে ব্লক করার পরে এই জিনিসটা বসিয়ে ভেতরে একটি বেলুন দিয়ে বেলুনটাকে ফুলানো হয়। ফলে রিংটা বড় হয়ে হার্টের ব্লক কে খুলে দেয় এবং রক্ত চলাচল শুরু হয়।
হার্ট ব্লক হওয়ার কারণ
- স্পেসিফিক হার্ট ডিজিজ
- হৃদপিন্ডের প্রদাহ হৃদপিন্ডের অনুপ্রবেশ
- হৃদপিন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া
- জন্মগত কারণ
- বার্ধক্য
- ঔষুধের প্রভাব
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
- মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা
- অলস জীবন যাপন
- ধূমপান করা
- স্যাটুরেজেড বা ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ করা
- রাত জেগে কাজ করা
হার্ট ব্লক হবার লক্ষণ
- হৃদপিন্ডে বেশি পরিমাণ ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়
- ধীরে ধীরে ব্যথা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে
- হাঁটার সময় বা সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় বুকে ব্যথা হয়
- থামলে ব্যথা কমে যায়
- দম নিতেও ছাড়তে কষ্ট হয়
- গলা কপাল ও মাথা ঘাম হওয়া
- বুকে জ্বালাপোড়া ও ধরফর করা
- নিচের দিকে হেলে কিছু করার ও একটু ভারী কিছু বহনের সময় কষ্ট হয়
- খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগা
ভারতে হার্টে রিং পরানোর খরচ
ভারতে একটি বেয়ার মেটাল স্ট্যান্ড বা রিংয়ের দাম দশ হাজারের কাছাকাছি হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় ১২০০০ টাকা। অন্যদিকে ড্রাগ এলিউ টিমতেন্টের দাম ভারতের ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় যা ৩৬ থেকে ৪৮ হাজার টাকা। ভারতে বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান হার্টের রিং উৎপাদন ও বাজারজাত করে তাই এর দাম কম।
সব মিলিয়ে ভারতে হার্টের রিং বসানোর জন্য মোটামুটি দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
ভারতের বিভিন্ন শহরে হার্টের রিং পড়ানোর খরচ
- নতুন দিল্লিতে- এক লক্ষ ৬৮ হাজার থেকে ২ লাখ ৬৪ হাজার পর্যন্ত
- গুরগাঁও তে- ১ লাখ ৭৩০০০ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার পর্যন্ত
- নায়রা তে- এক লাখ ৬৩ হাজার থেকে ২ লাখ ৭১ হাজার পর্যন্ত
- চেন্নাইতে- এক লাখ ৭৩ হাজার থেকে ২ লাখ ৪৮ হাজার রুপি পর্যন্ত
- মুম্বাইতে- ১ লাখ ৭৭ হাজার থেকে ২ লাখ ৬৪ হাজার পর্যন্ত
- বেঙ্গালুরুতে- ১ লাখ ৬৮ হাজার থেকে দুই লাখ ৫৫ হাজার পর্যন্ত
- কলকাতাতে- এক লাখ ৬২ থেকে ২ লাখ ৪৪ হাজার রুপি পর্যন্ত
- জয়পুর- ১ লাখ ৫১ হাজার রুপি থেকে ২ লাখ ৪২ হাজার রুপি পর্যন্ত
- মোহালি- এক লাখ ৫৫ হাজার থেকে ৩৭ হাজার পর্যন্ত
- আহমেদাবাদে- এক লাখ ৪৫ হাজার থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার
- হায়দ্রাবাদ- এক লাখ ছেষট্টি হাজার থেকে ২ লাখ ৫৩ হাজার পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে
বাংলাদেশে হার্টে রিং বসানোর খরচ
বাংলাদেশী হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রিংয়ের মূল্য ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যা সরকারি অনুমোদন কর্তিক নির্ধারিত। বাংলাদেশে হার্টের রিংগুলো পুরোটাই আমদানি করতে হয়। শুধুমাত্র হার্টের রিং এর দামই এমন। কিন্তু চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে এর দাম অনেক বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুরো হার্টের রিং বসাতে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়। অনেক ক্ষেত্রে রিং এর দামি পড়ে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। রিং পরানোর দাম খরচ অনেকটা নির্ভর করে কোন হাসপাতালে হার্টের রিং পড়ানো হচ্ছে। তবে হার্টের রিং পড়ানোর আগে এনজিওগ্রাম করে দেখতে হয় হার্টের ব্লক আছে কিনা এবং রিং লাগবে কিনা।
শুধু এনজিওগ্রামের সরকারি হাসপাতালে সব মিলিয়ে খরচ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং প্রাইভেট হাসপাতালে খরচ ২০ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা লাগতে পারে। রিং লাগলে মোটামুটি ভালো মানের রিং এর ক্ষেত্রে একটা রিং সরকারি হাসপাতালে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা লাগে এবং বেসরকারি হাসপাতালে ক্ষেত্রে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
এছাড়া কর্পোরেট হাসপাতালে আরো বেশিও খরচ হতে পারে। চট্টগ্রামের প্রাইভেট হাসপাতালে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যায়। তবে রিং লাগানোর পরও দুই থেকে তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হয়।
বিভিন্ন দেশে হার্টের রিং পরানোর খরচ
- তুরস্কে ১৩৬০০ ইউ এস ডলার থেকে বিশ হাজার ৪০০ ইউ এস ডলার পর্যন্ত
- থাইল্যান্ডে ১২ হাজার ইউএস ডলার থেকে আঠারো হাজার ইউএস ডলার পর্যন্ত
- জার্মানিতে বিশ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার ইউ এস ডলার পর্যন্ত
- মালয়েশিয়াতে ৭২০০ ইউএস ডলার থেকে ১0000 ডলার পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে
হার্টের রিং কেন পরায়
হার্টে ব্লক হওয়া মানে মূলত হার্টে রক্তনালী গুলোর মধ্যে চর্বি জমে রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত হওয়াকে বুঝায়। রিং পরানো মানে ওই ব্লক ছাড়িয়ে এর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহের একটা রাস্তা করে দেয়া। রিং পরানোর পরও হার্টে আবারো চর্বি জমতে পারে। তাই পরবর্তী সময়ে রক্তের চর্বি কমানোর ঔষধ, ও রক্ত জমাট না বাধার ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ মত খেয়ে যেতে হয়।
আরো পড়ুন – ভারতে চোখের ছানি অপারেশন খরচ ও যাতায়াতের নিয়ম
হার্টের রিং এর ধরন
সাধারণত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৩ ধরনের হার্টের রিং দেখা যায়।
১। একটাতে শুধু ধাতব পদার্থ থাকে যেটাকে বলে বি এম এস। এটি এখন প্রায় বিলুপ্ত
২। আরেকটা তে ধাতুর উপর মেডিসিন দেয়া থাকে যেটাকে বলে dees। সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো মানের হাসপাতালগুলোতে ডিইএস ব্যবহার করা হয়। এটি সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ধরনের রিং এর উপর বিভিন্ন ধরনের ঔষধ লাগানো থাকে যা রক্তনদীর গায়ে চর্বি অপসারণ করতে সাহায্য করে।
৩। বায়ো অফ সার্ভেবল রিং। যা ধীরে ধীরে রক্তনালী সঙ্গে মিশে যায়।
হার্টের রিং কখন লাগানো ভালো
মূলত রিং লাগানোর উত্তম সময় হচ্ছে হার্ট ব্লকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিং লাগানো যায় ততই কার্যকর। যদি হার্ট এটাকের সাথে ব্লক খোলার কোন ঔষধ না দিয়ে রিং লাগানো হয় তখন তাকে বলে পিসিআই এবং এটি হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। কিন্তু রোগী সময়মতো না আসার কারণে পরবর্তীতে হাটের রিং লাগালেও কিছু না কিছু সমস্যা দেখা যায়।
হার্টের রিং এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল বলে রোগীরা প্রথমে ওষুধ দিতে বলে কিছুটা সুস্থ হলে রোগীরা বাড়ি ফিরে যায় এবং এরপরে হার্ট অ্যাটাক বা ব্যথা হলে তখন রিং লাগাতে আসে। ততদিনে খুব একটা লাভ হয় না।
বাংলাদেশ রিং পরানোর জন্য হসপিটাল
ঢাকার বাইরে সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে চট্টগ্রাম সিলেট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ক্যাথলাব আছে। এসব জায়গায় রিং পরানো হয়। এছাড়া- ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেট, খুলনা এবং দিনাজপুরে বেসরকারি হাসপাতালেও হার্টের রিং পরানো যায়।
রিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ
পৃথিবীর প্রায় সব চিকিৎসায় কম বেশি ঝুঁকি আছে। হার্ট অ্যাটাকের রোগীর রিং না পরালে যে ঝুঁকি রিং পরানো তার চেয়ে অনেক কম ঝুঁকির হয়ে থাকে। এজন্য হার্ট অ্যাটাকের পরবর্তী সময়ে ২৪ ঘন্টার ভিতরে রোগের হার্টের রিং পড়ালে রোগী মোটামুটি সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হার্টের যেকোন সার্জারি ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন- বয়স অনেক বেশি হলে অথবা অন্যান্য রোগী ভুগছেন এমন ব্যক্তি। যেমন- ডায়াবেটিস কিডনির সমস্যা।, লিভারের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ। এক্ষেত্রে রিং বসানোর পূর্বে রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
রিং পরানোর পর করনীয়
- নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাঁটতে হবে। যা হার্টের ছোট ছোট রক্তনালীকে খুলে দিতে সাহায্য করবে
- চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
- গরুর মাংস খাসির মাংস ডিমের কুসুম ঘি মাখনকে পুডিং অতিরিক্ত তেল থেকে দূরে থাকতে হবে
- ধূমপান থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
- ব্লাড সুগার সকালে খালি পেটে ছয় থেকে আটের মধ্যে ও ব্লাড প্রেসারে ১২০ থেকে ৮০ মিটার ও মার্কারি রাখতে হবে
- রক্ত তরল রাখার ঔষধ। যেমন- এসপিরিন ক্লোপিড গোরিল এবং
- চর্বি কমিয়ে রাখার ঔষধ সারা জীবন খেতে হবে
- অন্যান্য রোগের জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে
- তিন থেকে ছয় মাস পর পর ডাক্তারে পরামর্শের জন্য ফলোআপে থাকতে হবে
হার্ট ব্লক প্রতিরোধ করার উপায়
- হালকা ব্যায়াম করতে হবে প্রতিদিন
- তেল চর্বি মিষ্টি পরিমাণে কমিয়ে খেতে হবে
- সুষম খাবার খেতে হবে
- প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে
- পরিমিত পানি পান করতে হবে
- ধূমপান মদ্যপান করা যাবে না
- উত্তেজনা পরিহার করতে হবে
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন মেডিসিন খাওয়া বিপদজনক
ভারতের শীর্ষ হার্ট সার্জারির ডাক্তার
- ডাক্তার নরেশ ত্রিহান
- ডক্টর রাজেশ শর্মা
- ডক্টর আলী যা আমির খান
- ডক্টর নন্দু কিশোর কামারিয়া
- ডাক্তার অমরনাথ ঘোষ
- ডাক্তার সর্ব অজিত কুমার দাস
- ডাক্তার কে এম মানদানা
- ডাক্তার মদন কুমার কে
- ডাক্তার কে আর বালর্রীনান
- ডাক্তার বশির ভি বেলায়
- ডাক্তার জেড এস মেহেরবাল
- ডাক্তার রাজেশ
- ডাক্তার নন্দ দাস
- ডাক্তার কে মিশ্র
- ডাক্তার মনোজ নায়ার
- ডাক্তার শতবীর সিং
- ডাক্তার শিল্পী মোহন
ভারতের হার্ট সার্জারীর এর জন্য শীর্ষ হাসপাতাল
- ফটিস হাসপাতাল, নয়া দিল্লি
- এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউট, মুম্বাই
- এপোলো হাসপাতাল, চেন্নাই
- ফোরডিসকাস হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোর
- আরতি মিস হাসপাতাল, গুরগাঁও
- ডেলটা হাসপাতাল, নয়া দিল্লি
- ম্যাক্স সুপার স্পিরিট হাসপাতাল, নয়া দিল্লি
- ম্যাক্স সুপার স্পিড হাসপাতাল, নয়া দিল্লি
- ফোর্স স্মৃতি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গুরুগাও
- ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতাল, নয়া দিল্লি
- বি এল কে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, নয়া দিল্লি
- বিশ্ব হাসপাতাল, চেন্নাই
- সারদা হাসপাতাল, দিল্লি
- পারোস হাসপাতাল, গুরগাঁ
- ওনানবতী হাসপাতাল, মুম্বাই
- মনিপাল হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোর
- ওয়ার্কার্ড হার্ট ইন্সটিটিউট, মুম্বাই
- নারায়ণ হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোর
- রুবি হসপিটাল, পুনে
- ফর্টিস হাসপাতাল, কলকাতা
মন্তব্য
আজকে আমরা ভারতে হার্টে রিং পরানোর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাদের কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরাও অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন।
আরো পড়ুন –
- ভারতে চিকিৎসা খরচ কেমন ২০২৩
- ভারতে থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা খরচ ও ঠিকানা ২০২৩
- ভারতে ডাক্তারি পড়ার খরচ ও ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩