কলেজে ভর্তি হতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
এ বছর যারা এসএসসি পরীক্ষার্থী দিয়েছে তাদের কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে সরাসরি কলেজে গিয়ে আবেদন করার পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে আবেদনে ভুল হতে পারে। কলেজে ভর্তি হতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে এই ব্যাপারে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
- চুড়ান্ত আবেদন ফর্ম – অনলাইনে বা সরাসরি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আবেদন করা যায়। অনলাইন থেকে আবেদন করলে আবেদন ফরম টি ডাউনলোড করে নিতে হবে আর সরাসরি কলেজে গিয়ে আবেদন করলে আবেদনের ওই ফর্মটি সংরক্ষন করতে হবে। ভর্তির সময় আবেদনের ফরম টি দেখাতে হবে।
- এসএসসির মার্কশীট এর মূল কপি
- এসএসসি পাশের এডমিট কার্ড
- এসএসসি পাশের টেসটিমোনিয়াল বা প্রশংসাপত্র
- এসএসসির রেজিট্রেশন কার্ড
- শিক্ষার্থীর ৫ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি
- জন্ম নিবন্ধন এর সত্যায়িত দুইটি ফটোকপি
- গার্ডিয়ান (মা/ বাবা) এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- মুক্তিযোদ্ধা কোট হলে তা প্রমানের জন্য সনদ দেখাতে হবে।
একাদশ শ্রেনিতে ভর্তির যোগ্যতা কি?
একাদশ শ্রেনিতে ভর্তির ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট যোগ্যতা নেই। অর্থাৎ প্রত্যেক কলজের ই নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। কোন কলেজ কি ধরনের রেজাল্ট এর ছাত্রদের গ্রহন করবে এটা নির্ভর করে সম্পূর্ন ওই কলেজের উপরে।
যেমন কিছু কলেজ আছে যারা ভর্তি সময় রেজাল্ট দেখে ই না আবার এমন কিছু কলেজ ও রয়েছে যারা এ+ ভর্তি নেয় না। তাই কলেজে ভর্তি র ক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ভর করে সম্পূর্ন কলেজ এর উপরে। প্রত্যেক কলেজের ভর্তির যোগ্যতা আলাদা।
আপনি যদি স্পেশাল কোন কলেজে ভর্তির যোগ্যতা জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জানানোর চেষ্টা করবো।
একাদশ শ্রেনিতে অনলাইনে আবেদনের নিয়ম
যেমনটা আমরা উপরে বলেছি কলেজে দুইভাবে ভর্তি হওয়া যায়। সরাসরি কলেজে গিয়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে। সরাসরি কলেযে গিয়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে পারলে কোন ঝামেলা নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ ই আপনাকে সব ধরনের হেল্প করবে। কিন্তু যাদের পক্ষে সরাসরি কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়া সম্ভব নয় তারা চাইলে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের কলেজ গুলোতে আবেদন করতে পারবেন। এরপর সিলেক্ট হলে সরাসরি গিয়ে ভর্তি হতে হবে।
অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে কলজে আবেদন আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করতে পারি। ১। অনলাইনে কলেজ সিলেকশন ২। ভর্তি নিশ্চিতকরন
ধাপ ২ – অনলাইনে কলেজ সিলেকশন: অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই কলেজ সিলেক্ট করতে হবে। সর্বনিম্ন ৫ টি কলেজ ও সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজ সিলেক্ট করা সম্ভব। পছন্দের কলেজগুলো পছন্দের তালিকা অনুযায়ী সাজাতে হবে।
এসএসসি রেজাল্ট ও কলেজে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে অটো একটা কলেজ সিলেক্ট হয়ে যাবে। এজন্য কলজে সিলেক্ট করার সময় খেয়াল রাখতে হবে পছন্দের ক্রম যেন ঠিক থাকে। অর্থাৎ যে কলেজ বেশি পছন্দের সেটি তুলনামূলক উপরে দিতে হবে। আর চেষ্টা করতে হবে ১০ টি কলেজ ই দেয়ার এতে করে রেজাল্ট খারাপ হলেও যেকোন একটা কলেজ এর নাম আসবেই।
অনলাইনে আবেদন ফি ১৫০ টাকা
ঢাকার সেরা সরকারি কলেজ এর তালিখা দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঢাকার বেসরকারি কলেজের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ধাপ ২ – ভর্তি নিশ্চিতকরন: অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে ভর্তি নিশ্চিত এই ধাপে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে এই আবেদনের মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হবে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩২৮ টাকা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ভর্তি নিশ্চিত করার মানে হচ্ছে যে কলেজে ভর্তির জন্য সিলেক্ট হয়েছে সেখানে আপনি ভর্তি হতে চান। তবে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের তালিকার উপরের কোন কলেজের নাম ও আসতে পারে।
কলেজে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে?
ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় এমপিওভুক্ত কলেজ সমূহ তে ভর্ত হতে চাইলে বাংলা ভার্শনের জন্য ৫ হাজার টাকা লাগতে পারে। তবে কলেজের উপর নির্ভর করে এই খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। ঢাকার বাইরে এমপিও ভুক্ত কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এই খরচ কিছুটা কম হবে। যেমন জেলা পর্যায়ের এমপিও ভুক্ত কলেজ হলে ভর্তি হতে ৩ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
উপজেলা পর্যায়ে কলেজ এর ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকার কম লাগবে। সর্বোপরি কলেজে ভর্তি হতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করে সম্পুর্ন ওই কলেজের মান ও অবস্থানের উপরে।
তবে সরকার কলেজ হলে ৫ হাজার টাকা ও বেসরকারি কলেজ হলে ১০ হাজার টাকা লাগতে পারে। এই পরিমান শুধুমাত্র ধারনা দেয়ার জন্য উল্লেখ করা হলো। ভর্তি হতে কত টাকা লাগবে তা সঠিকভাবে জানতে চাইলে কলেজের নাম কমেন্ট জানাতে পারেন। আপনা জানানোর চেষ্টা করবো।
বেসরকারি কলেজে বেতন কত?
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সরকারি কলেজ এর তুলনায় বেসরকারি কলেজ এর দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরকারি কলেজে নিয়মিন ক্লাস না হওয়া ও রাজনীতির মত সমস্যা দেখা দেয়ার অনেকেই এখন বেসরকার কলেজ কে পছন্দের তালিকায় উপরে রাখছেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বেসরকারি কলেজ এর বেতন ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা হয়ে থাকে। তবে কলেজের মান ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে এই খরচ আরো কম বা বেশি হতে পারে। তবে বেসরকারি কলেজের মান ভালো না হলে টাকার পাশাপাশি মহামূল্যবান সময় ও নষ্ট হতে পারে। তাই আমরা ঢাকার সেরা বেসরকারি কলেজের তালিকা করেছি। তালিকা টি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্য
আমরা চেষ্টা করেছি কলেজে ভর্তি হতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে বিস্তারিত আলোচনা করতে। আশা করি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই ব্লগ রিলেটেড কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা দ্রুত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও কোন কলেজ নিয়ে তথ্য জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা ঐ কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কালেক্ট করে জানাবো। ধন্যবাদ