জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি
একসময় বিয়ের পর দম্পতিরা পরিকল্পিত বাচ্চা নিতেন। কিন্তু বর্তমানে দম্পতিরা বিয়ের পর বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে খুবই সচেতন এবং খুবই পরিকল্পনা করে আছে নিতে পছন্দ করেন। একসময় পরিবার পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ন ভাবা হতো না কিন্তু বর্তমানে পরিবার পরিকল্পন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে ডাক্তাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করছেন কিন্তু বিষয়টি সেনসিটিভ হওয়ায় অনেকেই খোলামেলাভাবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে লজ্জা পান। যার কারণে না বুঝে অনেক সময় এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
যার কারণে না বুঝে অনেক সময় এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে যা স্বামী-স্ত্রী দুজনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকে আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি বিস্তারিত – ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিয়ে আলোচনা করবো। জন্মনিয়ন্ত্রণে সুবিধা-অসুবিধা, জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি এবং ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চেষ্টা করবো।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি কি
বিভিন্ন দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আমরা যেহেতু বাংলাদেশী নাগরিক তাই বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উল্লেখিত ৭ ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কথা বলা হয়।
- খাবার বড়ি
- কনডম
- জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন
- ইমপ্ল্যান্ট
- আইউডি
- ভ্যাসেকটমি
- টিউবেকটমি
উপরে পদ্ধতিগুলোর মধ্যে কিছু আছে জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি ও কিছু আছে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমুহ। এছাড়া বাচ্চা নেয়ার বয়স, কতদিন পর নিতে চান, শারীরিক অবস্থা, স্বামী স্ত্রীর বয়স ও কত তম বাচ্চা এ ধরনের অনেক গুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে ডাক্তার এক এক দম্পতিকে এক এক ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সাজেস্ট করেন। আমরা সবগুলো পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রনের স্থায়ী কিছু পদ্ধতি আছে যা জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে ডাক্তাররা উল্লেখ করে থাকেন। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করতে পারবেন যখন আপনি ডিসিশন নিয়ে নেবেন দিয়ে সামনে আর কোন বাচ্চা গ্রহণ করবেন না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় স্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য। আমরা চেষ্টা করবো তিনটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার।
- ইম্পপ্ল্যান্ট
- লাইগেশন
- ভ্যাসেকটমি
ইমপ্ল্যান্ট বা নারীদের স্থায়ীভাবে বন্ধ্যাত্বকরন পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে নারীদের জরায়ু নালীতে মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট বসিয়ে দেয়া হয়। এতে করে ডিম্বানু আর রিলিজ হতে পারে না। এবং গর্ভধারনের সম্বাবনা থাকে না। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহারে একটু সচেতন হতে হবে কারন জরায়ুতে মেটালিক ইম্পল্যান্ট বসিয়ে দেয়ার ৩ মাস পর পর্যন্ত গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রথম ৩ মাস সাবধানে থাকতে হবে। এরপর এক্সরে করে দেখতে হবে মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট ঠিকভাবে বসেছে কি না। সব ঠিক থাকলে এরপর কোন ঝামেলা ছাড়াও মিলন করতে পারবেন গর্ভধারনের সম্ভাবনা ছাড়াই।
তবে এই পদ্ধতি ব্যবহারের পূর্বে আপনাকে সাবধান হতে হবে। যেহেতু এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে ডিম্বানু জরায়ু তে আসতে পারে না তাই অনেকের ক্ষেত্রেই সামান্য হরমোনাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই পদ্ধতি গ্রহন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নোট হবে ডাক্তার আপনার শারিরীক অবস্থা দেখে জানাবেন আপনি এই পদ্ধতির জন্য উপযুক্ত কি না।
এছাড়াও যেহেতু এই পদ্ধতিতে আপনার জরায়ু নালীতে মেটাল বসানো হবে এওবং আপনাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যা করা হবে তাই এই পদ্ধতি তখন ই নিবেন যখন স্বামী স্ত্রী উভয় নিশ্চিত হবেন যে আপনাদের আর বাচ্চা চাই না। তবে এই পদ্ধতিকে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে ধরা হয় তাই ভয়ের কিছু নাই।
আরো পড়ুন – জরায়ু ক্যান্সার কি? জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয় – জরায়ু ক্যান্সার কেন হয়
লাইগেশন
লাইগেশন হচ্ছে নারীর গর্ভধারন ক্ষমতা স্থায়ীভাবে নষ্ট করার জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। সাধারনত নারীদের শরীরের জরায়ূ নালী ডিম্বানু জরায়ু তে পরিবহন করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নারীর ডিম্বনালীলে কেটে ফেলা হয় এতে করে ডিম্বানু জরায়ূতে আসার আর কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে এই ক্ষেত্রে অনেকের শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই আমাদের সাজেশন থাকবে স্থায়ীভাবে বাচ্চা নেয়া বন্ধ করতে চাইলে লাইগেশনের তুলনায় ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
ভ্যাসেকটমি
ভ্যাসেকটমি হচ্ছে পুরুষকে বন্ধ্যাত্বকরার উপায়। এক্ষেত্রে পুরুষের অন্ডকোষ থেকেযে শুক্রনালী শুক্রানু বহর করে সে নালীকে কেটে ফেলা হয়। ডাক্তারের মতে ভ্যাসেকটমি অপারেশনের পরে পুরুষের যৌন চাহিদার কোন পরিবর্তন হয় না। তাই এই নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার কিছু নেই। এই অপারেশন শুধু তখন ই করবেন যখন উভয় দম্পতি নিশ্চিত হয়ে যাবেন আপনাদের আর বাচ্চা চাই না। ভ্যাসেকটমি খুবই ছোট ও সহজ একটি অপারেশন। যদিও আমাদের দেশে এর তেমন কোন ব্যবহার নেই তবে বাইরের দেশে প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশের সকল সরকারি বেসরকারি হসপিটালে এএই ছোট অপারেশনটি করা যায়।
অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ
উপরে আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপারেশন এর মধ্যে জটিলতা যেতে হয় যা অনেক দম্পতির পছন্দ করেন না তাই আমরা এখন অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ নিয়ে আলোচনা করব এক্ষেত্রে আপনাকে তেমন কোন বড় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না ছোট কিছু পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
নিচে বাংলাদেশে ব্যবহৃত অস্থায়ী পদ্ধতি সমুহ নিয়ে একনজরে আলোচনা করা হলো।
- খাবার বড়ি বা জন্মনিয়ন্ত্রন পিল
- কনডম
- জন্মনিয়ন্ত্রিক ইনজেকশন
গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের মানুষের স্থায়ী পদ্ধতির চেয়ে অস্থায়ী এবং স্বল্প মেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বাংলাদেশের প্রতিসরণের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় আবার ভোরে বাতিল এবং কনডম।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এক বিশেষ ধরনের ট্যাবলেট এর মতো যা শরীরের হরমোনাল পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার থেকে বিরত রাখে। তবে পিল খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তোমার তোমার বাংলাদেশে বিভিন্ন আধুনিক পেয়ে পাওয়া যায় যা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী কার্যকরী এবং শরীরের কোন ক্ষতি করে না। ডাক্তারের সাথে আলোচনা করলে ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের উপর নির্ভর করে সবচেয়ে ভালো পেলে সাজেস্ট করবেন শারীরিকভাবে কোনো ক্ষতি করবে না।
এছাড়াও বর্তমানে অনেক আধুনিক ও কার্যকরি ইঞ্জেকশন পাওয়া যাচ্ছে। দম্পতির বয়স, গতদিনের জন্য জন্মবিরতি নিতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে বর্তমানে অনেক ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে অনেকে ধারণা করেন ইনজেকশনগুলো শহরের হরমোনাল দিক থেকে অনেক ক্ষতি করে। সে ক্ষেত্রে আমাদের সাজেশন থাকবে ইনজেকশন দেয়ার পূর্বে অবশ্যই অবশ্যই একজন ভাল মানের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুন – লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় – মেয়েদের গোপনাঙ্গে গন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
যেমনটা বলেছিলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া। 2004 সালের পর থেকে বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল এর ব্যবহারঃ প্রচুর পরিমাণে শুরু হয়। নারীরা সাধারণত ফেমিকন নামের এক বিশেষ ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পড়ে থাকে। বর্তমানে এর বাইরে অনেক ভালোই গরিবের হয়ে যাবে শরীরের কোন হরমোন পরিবর্তন করে না। এপ্রিল-মে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা এবং অনিয়মি করার প্রবনতা রয়েছে। চলন জন্মনিয়ন্ত্রন পিল নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এর নাম
বর্তমানে বাংলাদেশের নতুন নতুন অনেক আধুনিক পিল পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা বয়স্ক এবং পূর্বের রোগ আছে কিনা তা দেখে সবচেয়ে ভালো পিলটি সাজেস্ট করবে। তবে সাধারণত আমাদের দেশে নারীরা ফেমিকন পিল ব্যবহার করেন যার টানা 21 দিন ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও নোরেন, নরিক্স, নরেট এর মত ইমার্জেন্সি ও সাধারন বিভিন্ন পিল বাজারে পাওয়া যায়। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। অনেকেই মনে করেন শুধুমাত্র যৌন মিলনের দিন পিল খেলেই হবে কিন্তু তা নয়। নিয়মিত পিলটি খেতে হবে। কোণ কারন মিস হয়ে গেলে সাথে সাথে 24 ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে নিতে হবে এবং একদিনের বেশি গ্যাপ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আর তারা অবস্থা বুঝে সাজেশন দেবেন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার নিয়ম
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের দেশের নারীদের মাঝে একটা ভুল ধারনা আছে। অনেকেই মনে করেন শুধুমাত্র যৌন মিলনের দিন বিলটি খেলেই হবে কিন্তু বাস্তবে তা নয়। পিল খাওয়ার নিয়ম বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে তেল দিয়ে আসলে কিভাবে কাজ করে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিয়মিত সেবনে শরীরের হর্মনাল পরিবর্তন ঘটে যার ফলে ডিম্বাণু নিষিক্ত হতে পারে না। এবং ডাক্তারের পরামর্শ বিজয়ের মাসে প্রত্যেকদিনই খেতে হয় এবং ডাক্তার বলে থাকেন যদি কোনো কারণে একটা প্যাঁচ মিস হয়ে যায় তাহলে 24 ঘন্টার মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। এবং কোন কারনে দুই দিনের বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ডাক্তার আকার অবস্থা বুঝে পুনরায় সাজেশন দিবেন।
জন্মনিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি কোনটি
জন্মনিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি কোনটি তা নির্ভর করবে আপনি কত সময়ের জন্য গেম নিতে চাচ্ছেন। যদি নতুন দম্পতি হয়ে থাক ১/ ২ বছরের গ্যাপ নিতে চান সেক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে পিল খাওয়া। এছাড়াও বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনেক ভালো মানের ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গিফট দিতে চাই দেশে ইনজেকশন নিতে পারেন। যেমন আপনার যদি মনে হয় দুই বছর তিন বছরের মধ্যে কোন বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন না সেক্ষেত্রে একবারে একটি ইনজেকশন দিয়ে নিলে তিন বছরে চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন।
আর আপনার অবস্থা যদি এমন হয় যে এখন আর বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন না সেক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে নারীদের জন্য দুইটি এবং পুরুষের জন্য একটি জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে। আপনারা চাইলে তিনটি পদ্ধতির যেকোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন এবং এই প্রত্যেকটি পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত এবং শরীরের কোন ক্ষতি করে না। অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করে যেকোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন এবং এতে করে স্থায়ীভাবে আপনারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন কোন চিন্তা ছাড়াই।
কোথায় জন্মনিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি কোনটি এই প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো উত্তর হচ্ছে আপনি কত দিনের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে চান।
আরো পড়ুন – জরায়ু টিউমারের লক্ষণ – জরায়ু টিউমার অপারেশন খরচ ও হোমিও চিকিৎসা
পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি
একসময় জন্মনিয়ন্ত্রণ বলতে শুধুমাত্র নারীদের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হতো। তবে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। চাইলে পুরুষ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পুরুষের জন্য অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হচ্ছে কনডম যায় সারা বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত। এছাড়াও ভ্যাসেকটমি নামক পদ্ধতি আমরা উপরে আলোচনা করেছি তা পুরুষের জন্য স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। খুবই ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে চাইতে পুরুষের স্থায়ীভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনের মূল্য
সাধারণত জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনের দাম ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা হয়ে থাকে। জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন এর দাম নির্ভর করে আপনি কত দিনের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নিতে চান অর্থাৎ কত বছর গ্যাপ দিতে চান তার উপর। সাধারণত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে আপনি খুবই কম দামে প্রায় ফ্রী তে জন্মনিয়ন্ত্রণের নিতে পারবেন। এটিকে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্যাপ নিতে চাইলে ইনজেকশন নিতে পারেন।
ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
অনাকঙিত গর্ভধারন রোধে বর্তমানে বাজারে কিছু ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পাওয়া যায় যা সহবাসের ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে নিলেই গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না। বর্তমানে বাজারে ফার্মেসি গুলোতে পিউলি, নোরিক্স এর মত অনেক ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পাওয়া যায় যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে নিলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ
যেমনটা আমরা উপরে বলেছি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কয় প্রকার হয়ে থাকে স্থায়ী পদ্ধতি এবং অস্থায়ী পদ্ধতি।
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ইসলামের মতামত – ইনজেকশন বা অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয় ইসলামের দৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। অর্থাৎ এমন কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যার মাধ্যমে নারী বা পুরুষ উভয়েই তাদের প্রজনন ক্ষমতা এভাবে নষ্ট করে দিয়েছেন ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম এবং কঠিন গুনাহের কাজ।
অস্থায়ী জন্মনিয়ন্মণের ব্যাপারে ইসলামের মতামত – অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ এর ব্যাপারে ইসলাম কিছুটা ছাড় দিয়েছে। তবে তা নির্দিষ্ট কিছু শর্তে ছাড় দেয়া হয়েছে যেমন
- পরপর দুটি বাচ্চা মাঝখানে কিছুদিন নেয়া যাতে করে বাচ্চা লালন পালনের সুবিধা হয়।
- কোন নারী বাচ্চা লালন পালনে অপারগ হলে।
- অসুস্থতার কারনে গর্ভধারন বিপধজনক হলে।
সর্বপরি শারিরীক সমস্যার কারনে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে কিন্তু কোন ভাবেই জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কোন কারন ছাড়া স্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি
উপরে আমরা চেষ্টা করেছি জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি বিস্তারিত – ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। আশা করছি ব্লগটি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে এসেছে। ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোষ্টগুলো পড়ার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ
আরো পড়ুন – ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি ঘরোয়া উপায়- যৌনাঙ্গে চুলকানির ঔষধ