ওটস কি – ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওটস কি

বর্তমানে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার নতুন ভাবে পরিচিতি পাচ্ছে। আগে সেসব খাবার খুব একটা ব্যবহার না হলেও বর্তমানে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবাই খেয়ে থাকে। ওটস খাওয়ার অনেক উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে তবে অপকারিতা চেয়ে উপকারিতাই বেশি। ওটস খেলে যেমন খুব সহজে মোটা হওয়া যায় তেমনি ওটস খেলে ওজনও খুব তাড়াতাড়ি কমানো সম্ভব।

এটা ডিপেন্ড করে ওটস কিভাবে খাচ্ছে তার ওপর। আজকে আমরা ওটস কি এবং ওটস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।

আরো পড়ুন – ১ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

ওটস কি?

ওটস হল একপ্রকার খাদ্যশস্য যা মূলত ঠান্ডা আবহাওয়া ভালো ফলন হয়। এটি গম ধান ও যব জাতীয় উদ্ভিদ শস্য। ওটস স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে সমজাতীয় খাদ্য তালিকার প্রায় উপরের দিকে অবস্থান করে।ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আয়রন প্রোটিন ভিটামিনসহ ১গুচ্ছ পুষ্টি উপাদান যা শরীরের ঘাটতি দূর করতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম কপার ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি যা অন্যান্য খাবারের তুলনায় খুবই বেশি থাকে। ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাছাড়াও রয়েছে উপকারি ফাটি এসিড অর্থাৎ মনোসেচুরেটেড ফ্যাট যা ওটসের চেয়ে অনেক খাদ্য শস্য এর তুলনায় অনেক কম থাকে।

ওটসে প্রচুর পরিমাণ দ্রবীভূত আঁশ জাতীয় পদার্থ যা তুলনামূলক ধীরে হজম হয়। ওটস কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায় তবে এটি কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে এলডিএল এর ছাড়পত্র বাড়ায়। ওটস খুবই উপকারী ক্যান্সা্রের জন্য।

আরো পড়ুন – রক্ত আমাশয় রোগের ঔষধ, আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা

ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওটস কি তা অনেকে জানলেও ওটস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানে না। নিচে ওটস খাওয়ার নিয়ম সহজ ভাবে তুলে ধরা হলো-

১। ব্রেকফাস্ট এর সঙ্গে ওটস খেতে পারেন। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এর মধ্যে কুচি করে দিন পছন্দমত ড্রাই ফ্রুটস বা বিভিন্ন ধরনের ফল।

২। ওটস টক দই এর সাথে খেতেও খুবই মজাদার। এতে খুব ছোট ছোট কুচি কুচি করে আপেল বা খেজুর মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া স্ট্রবেরিয়ার ব্লুবেরিয়া দিয়েও খেয়ে দেখতে পারেন এর অতুলনীয় সাদ আপনাকে গ্রহণীয় করে তুলবে।

৩। দুপুরের ভাতের বদলে ওটস সেদ্ধ করে ডাল তরকারি মাছের ঝোলের সঙ্গেও খেতে পারেন।

৪। বানিয়ে নিতে পারেন ওটস এর সবজি বা মাংসের খিচুড়ি ।

৫। স্ন্যাস্কস হিসেবে বানাতে পারেন ওটস ইডলি সোমবার আর নারকোলের চাটনি দিয়ে নাস্তা।

৬। বিকালে চা বা কফির সাথে ওটস বিস্কিট খান। একটু করতে ইচ্ছে করলে বানিয়ে নিন চকলেট চিপস বিস্কিট পেয়ে যাবেন স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের এক অপূর্ব বন্ধন।

৭। রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে দুধ বা ফল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৮। অনেক সময় সকালে তাড়াহুড়ো রান্না করার সময় থাকে না। তাই ওটস রাতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সেটা দিয়েই সকালে উঠে বানিয়ে ফেলুন। আপেল কলা আম কিংবা বিভিন্ন ধরনের বাদাম দিয়ে জল খাবার বানানো যেতে পারে। ওটস এর সাদ বাড়াতে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। একসঙ্গে বানিয়ে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ওটসের মুদি।

ওটসের উপকারিতা

ওটস কি তা জানার পাশাপাশি ওটস এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত।ওটস ক্যালসিয়াম জিংক ম্যাঙ্গানিজ আয়রনের ভিটামিনিয়া এবং ডায়াবেটিসে ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। গর্ভবতী মহিলাদের এবং ক্রমবর্ধমান শিশুর খাওয়া উচিত। এরকম আরো কিছু উপকারিতা হল-

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে- ওটস এ উপস্থিত বিটার গ্লুকান নামক একটি পদার্থ আমাদের অন্ত পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে দেয়। এ কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের জমে না। যদি ওটস তিন মাস নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।

হার্টের জন্য উপকারী – ওটস খাওয়া হার্টের জন্য খুবই উপকারী। কেননা ওটস এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং এতে রয়েছে ফুলেবল ফাইবার যা হার্টের জন্য খুবই ভালো। এটি শুধু অন্যান্য রোগের হাত থেকে রক্ষা করেনা শরীরের অনেক শক্তি সৃষ্টি করে। এটিতে চিনির মাত্রা কম রাখে।

ওজন কমানোর সাহায্য করে- এতে রয়েছে অদ্র গুনি এবং দ্রবণীয় ফাইবার যা চর্বি পোড়ানোর জন্য খুবই ভালো। সেই সাথে প্রোটিনের উপস্থিতি পেট ভরায়। যারা জিমে যাওয়া পর খাওয়ার সময় পান না তারা ওটস খেত এবং সহজে ওজন কমাতে পারেন।

রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে- ওটস কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ যা আপনাকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি দেয়। প্রচুর পরিমাণে ফাইবারে কারণে এটি ধীরে ধীরে হজম হয়ে যার কারণে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। গবেষণায় আরো দেখা গেছে যে এটি নিয়মিত খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি খুবই কম থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়- উচ্চ রক্তচাপ আমাদের হৃদরোগ যন্ত্রের জন্য খুবই বিপদজনক। যদি এটি সময়মতো বন্ধ না করা হয় তাহলে যেকোনো ব্যক্তি খুব সহজে মারা যেতে পারেন। এর থেকে বাচার উপায় হল ওটস খাওয়া। ওটস খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমার কারণ এতে ফাইবার থাকে যা কোলেস্ট্রল একদম নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়- বর্তমান সময়ে কল্যাণ ক্যান্সার খুবই পরিচিত। এটি মানুষের খুব হতে লক্ষ্য করা যায়। ওটস এর উচ্চমাত্রার ফাইবার কোন ইনটেস্টাইল এর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এটি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে।

ত্বকের জন্য খুব উপকারী- ওটস স্কিনের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। কারণ ওর অনেকগুলো পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বককে নরম এবং উজ্জ্বল করে তোলে।

হজমে সাহায্যকারী- ওটস হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যারা কোষ্ঠকাঠি বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ওটস দারুন উপকারি খাবার হতে পারে। কেননা এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে পেটকে ঠিক করে দেয়। তাছাড়া লিভারের জন্য ওটস খুবই উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ওটস উপস্থিত বিটা গ্লুকন শরীরের ওপর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক সহায়তা করে থাকে। শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরে রোগ কম বাসা বাধে।

বাচ্চাদের ওটস খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিতে ভরপুর ওটস বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকার রয়েছে। বিশেষত বাড়ন্ত বাচ্চাদের জন্য ওটসহতে পারে একটা আদর্শ খাবার। নিচে বাচ্চাদের ওটস খাওয়ার কিছু উপকারিতা বর্ণনা করা হলো-

সহজে হজম হয়- ওটস এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার থাকে যা সহজে হজম হতে সাহায্য করে। সহজে হজম হলে বাচ্চাদের খাবার বারবার খাওয়ানো যায় এবং বাচ্চাদের পেটে কোন সমস্যা হয় না এবং গ্যাস বেড়ে যায় না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা- বাড়ন্ত বাচ্চাদের কিছুদিন পরপরই অসুস্থ হতে লক্ষ্য করা যায়। তাই বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সঠিক পরিমাণে ওটস খাওয়ানো উচিত। এতে উপস্থিত এন্ড অক্সিজেন শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে বাচ্চারা কম অসুখে ভোগে।

ভিটামিন সমৃদ্ধ- ওটসে রয়েছে নানারকম ভিটামিন যেমন ফলেড ভিটামিন b6 ভিটামিন কে ও ভিটামিন ই, আমি রাইবোফ্লাবিন এবং নিয়াসিন এ ভিটামিন গুলো বাচ্চার বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বাচ্চাদের শূন্য থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের মেধার বিকাশ ঘটে তাই এ সময় বাচ্চাদের খাবার তালিকা ওটস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে- বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা বা খেলাধুলার জন্য বেশি শক্তি প্রয়োজন হয়। কেননা বাচ্চারা কম খেলেও অধিক পরিমাণে এনার্জি লস করে তাই শিশুর জন্য প্রয়োজনে শক্তি সরবরাহ করে এবং শিশুর শক্তি বিকাশ কে বৃদ্ধি করার জন্য ওটস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দীর্ঘদিন ওটস সংরক্ষণের সঠিক উপায়

ওটস দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য তার সঠিক সংরক্ষণের উপায় জানতে হবে। ওটস কি তা জানার পাশাপাশি কিভাবে ওটস দীর্ঘদিন ভালো রাখার যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার। নিচে আলোচনা করা হলো-

বাজার থেকে কিনে আনা ওটস এর কৌটা খোলার পর তা প্রায় এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে সে জন্য কোটাটি হতে হবে বায়ু রোধক। ঢাকনা খোলার পর তা অবশ্যই ঠিক ভাবে লাগাতে হবে যাতে কৌটার ভিতরে কোনোভাবেই বাতাস না ঢুকে। আবার শুধু কৌটাটি যথেষ্ট এক বছর ভালো রাখার জন্য তাই পুরো কোটা দিকে প্লাস্টিক কিংবা গ্লাসের কৌটায় রাখতে হবে।

ওটসের গায়ে লেখা মেয়াদ পার হয়ে গেলেও তা খাওয়া যায় তবে সাদ কিংবা গন্ধ বদলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিতে হবে।

ওজন কমাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খুবই কার্যকর একটি খাবার। যে কারণে ওজন কমাতে আগ্রহীদের চিকিৎসা বা ডায়েটিশিয়ান দ্বারাই ওটস খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। চলুন দেখে নেয়া যাক ওটস দিয়ে তৈরি এমন কয়েকটি খাবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে-

দুধ এবং ওটস- একটি ফ্রাই প্যানে দুধ এবং ওটস একসাথে নিয়ে অল্প আছে জাল দিতে হবে। দুধের পরিমাণ হবে এক কাপ এবং ওটস হবে এক কাপ এর কিছুক্ষণ পর এক চিমটি লবণ এবং ইচ্ছা অনুসারে দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে কিছুক্ষণ জাল দিতে হবে। মিশ্রণটি কিছুটা ঘন হলে আসলে চুলা থেকে সরিয়ে ঠান্ডা হবার জন্য রাখতে হবে। ঠান্ডা হয়ে আসার পর এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিলে এটি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

দই এবং ওটস- বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস বাদে এক কাপ দুই এক টেবিল চামচ মধু এক কাপ ওরস এক চিমটি লবন দারুচিনি গুড়া ভ্যানিলা ক্রিম বা ফ্লেভার বাকি সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে নরম করে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর বাদাম ও ড্রাই ফোর্স মিশিয়ে একটি বাটি বা জারে মুখ বন্ধ করে মিশ্রণটিকে রেখে দিতে হবে সারারাত। এরপর সকাল সকাল নাস্তা হিসেবে খেয়ে নিতে পারেন এই মজাদার খাবার।

দুধ কলা ওটস- ফ্রাই প্যানে এক কাপ দুধ এবং এক কাপ ওরস একসাথে নিয়ে অল্প আছে ঝাল দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর এক চিমটি লবণ দিয়ে চুলার আঁচ একদমই কমিয়ে দিতে হবে এবং বন্ধ করে দিতে হবে। মিশ্রণটি কিছুটা ঠান্ডা ও ঘন হয়ে গেলে তাতে একটি কলা টুকরো করে কেটে এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ বাটার মেশালে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।

ওটস এর দাম

বাংলাদেশে ওটস এর বিভিন্ন দামের প্যাকেট পাওয়া যায়। তবে সে ব্র্যান্ড এবং ওজনের উপর নির্ভর করে ওটস এর দাম।

  • ইনস্ট্যান্ট ওটস ডায়েট ফুড ফর ওয়েট লস ১০০ গ্রাম- ১১৫ টাকা
  • হোল ওটস  ৭০০ গ্রাম- ৪৮৮ টাকা
  • কাউরেড বেবিয়েরস ইনস্ট্যান্ট অর্গানিক রোল ওটস ৫০০ গ্রাম- ৬৫০ টাকা
  • ৯০০ গ্রাম বা হেলদি ব্রেকফাস্ট কুইকার রোডস ৯০০ গ্রাম- ৫২৫ টাকা

সাবধানতা

ছয় মাস পর্যন্ত শিশুদের তার মায়ের দুধে খাওয়াতে হয় তাই ছয় মাসের আগে শিশুদের কোনভাবে ওটস দেওয়া যাবে না। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওটস পাওয়া যায় তাই ওটস কেনার সময় শিশুদের জন্য কোন ওটস এবং বয়স্কদের জন্য কোন ওটস রয়েছে তা দেখেশুনে জেনে বুঝে কিনবেন। কেননা বড়দের খাবার অনেক সময় শিশুরা হজম করতে পারে না।

ফলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া আমাশয় থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কঠিন রোগ হতে পারে। অবশ্যই সবচেয়ে ভালো হয় একজন পুষ্টিকর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে বাচ্চাকে ওটস খাওয়ানো। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি বা শিশুর খাওয়ার উপযুক্ত দুধ মেশাতে হবে ওটস আস্ত রাখা যাবে না। পেস্ট বা পিউরি হতে হবে অন্তত.২0 মিনিট ধরে ভালো করে শিশুদের জন্য সেদ্ধ করতে হবে।

অন্তত প্রথমবার খুব সামান্য খাইয়া নিশ্চিত হতে হবে শিশুর ওটস এ এলার্জি আছে কিনা অন্যান্য খাবার ও খাওয়াতে হবে।

ওটস এর অপকারিতা

ওটস এর উপকারিতা বেশি থাকলেও যে কোন খাবারে অপকারিতা রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার যে কোন কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এরকম কয়েকটি ক্ষতিকর দিক অস্থির রয়েছে যেমন নতুন ওরস খাওয়া শুরু করলে এটি গ্যাসের সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে অল্প পরিমাণে অল্প করে খাওয়া শুরু করতে হবে। ওরসের পানসে সাদ পছন্দ না হলে অনেকে এর সাথে চিনি বা চকলেট এর মত উচ্চ ক্যাল্রি সম্পন্ন খাবার জিনিস মিশায় এতে করে ওজন কমার বদলে উল্টো ওজন বাড়ার কারণ হয়।

ওটস খেয়ে অন্যান্য খাবার একদমই বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নির্ভরশীল হয়ে গেলে শরীরের কোষ গুলো দূর্বলও শুকিয়ে যেতে পারে। হতে পারে পুষ্টির অভাব উটের ফাইবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করলে অতিরিক্ত খাওয়ায় হজম প্রক্রিয়ার জন্য হতে পারে ক্ষতিকর। গর্ভবতী নারীদেরকে ওটস খাওয়া উচিত নয় এতে শরীরে দুর্বলতার সাথে পাশাপাশি পানি কমে যেতে পারে ।

ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি খাওয়ার সমস্যা না থাকলে নিয়মিত ওটস না খাওয়াই ভালো। এতে তাদের বাড়ন্ত শরীরে দুর্বলতার পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে।

ওটস কি

মন্তব্য

আজকে আমরা ওটস কি, ওটস খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা এবং অপকারিতা সহ ওটস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ড ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও প্রতিদিন নতুন নতুন আপডেট সব নিউজ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।

আরো পড়ুন  – 

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

Leave a Reply