খাঁচায় দেশি কবুতর পালন
বর্তমানে স্বচ্ছলভাবে চলার জন্য চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার করেও অনেকে লাভবান হচ্ছে। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ এমন ব্যবসা গুলোর মধ্যে কবুতর পালন অন্যতম। আজকে আমরা খাঁচায় দেশি কবুতর পালন করার পদ্ধতি ও খাঁচায় দেশি কবুতর পালন এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহসহ বিস্তারিত আলোচনা করব।
কবুতর পালন লাভজনক কেন
বর্তমানে কবুতর পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। কবুতর পালন বর্তমানে লাভজনক হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
- খাঁচায় দেশি কবুতর পালন লাভজনক এজন্যই যে এই কবুতর পালন করতে অল্প মূলধন এবং অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়।
- এবং কবুতর লালন পালন করা অত্যন্ত সহজ
- কবুতরের প্রজননকাল কম হয়ে থাকে
- কবুতরের খাদ্যের খরচ খুবই কম
- এদের মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর
- কবুতরের মল জৈব সার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়
কবুতর পালনের সুবিধা
কবুতর পালনের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। যার কারণে কেউ চাইলে খুব সহজেই খাঁচায় কবুতর পালন করা সম্ভব। কবুতর পালন করে লাভবান হতে চাইলে প্রথমে এই ব্যবসার সুবিধা সমূহ বিস্তারিত জানতে হবে।
- কবুতর পালনে খরচ কম তাই লাভ বেশি
- কবুতর পালনের মূলধন কম লাগে বা পুজি কম লাগে
- এক জোড়া কবুতর প্রায় ২০ থেকে ২২ টির বেশি ও বাচ্চা দেয়
- কবুতরের গড় আয়ু প্রায় 10 বছর
- কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি
- কবুতর পালনের জন্য খুব কম জায়গার দরকার হয়
- কবুতরের বিষ্ঠা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়
- কবুতরের মাংস অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিতে ভরপুর
- যারা শখের বসে কবুতর পালন করে পালন করে তাদের কাছে এটি একটি বিনোদনের মাধ্যম
কোন জাতের কবুতর ভালো
বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন জাতের কবুতর পাওয়া যায়। তবে সারা বিশ্বে প্রায় 200 জাতের বেশি কবুতর পাওয়া গেলেও এই ২০০ জাতের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ প্রজাদের কবুতর আমাদের বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
- সিরাজী কবুতর
- রেসিং
- টিন রেসিং
- হামার ফ্লাইং
- মাল্টেজ
- কার্নিও
- কিং কবুতর
- বার্মিং হাম
- রোলার হর্স
- মেন স্টেচার
- লোটন
- সুয়া চন্দন
- মেকপাই
- ফ্লেক ব্যাগ
- জালালি কবুতর
- লক্ষা কবুতর
- জার্মান সিল্ড
- পেল বাস্কেটবোর্ড
- গিরিবাজ কবুতর
- মুখী
তবে দেশি কবুতর গুলোর মধ্যে গিরিবাজ জালালী, গোলা ও শিরা অন্যতম। বিদেশি জাত গুলোর মধ্যে কিং, স্যান্টে্ মুকি ফিল ব্র্যাক অন্যতম।
খাচায় দেশি কবুতর পালন করার নিয়ম
সাধারণত কবুতর পালন দুই ভাবে করা যায়।কবুতরের ঘর এবং খাচায় পালন।খাঁচায় খুব সহজে দেশে কবুতর পালন করা যায়। খাজায় দেশে কবুতর পালন করার নিয়ম হলো-
- খাঁচায় কবুতর কবুতর পালন করতে হলে কবুতরের জন্য 50 সেন্টিমিটার গুণ প্রস্থ ৫০ সেন্টিমিটার গুণ ৩০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৫০ * ৫৫ * ৩০ সেন্টিমিটার করে তৈরি করতে হবে।
- খাঁচার লোহার শিকগুলো দেড় ইঞ্চি দূরত্বে দিলে কবুতরের জন্য ভালো হয়। এতে সব কবুতরে ভালোভাবে মাথা বাইরে বের করে দিতে পারবে।
- খাবার ও পানির পাত্রে খাঁচার বাহিরে রাখতে হবে যাতে কবুতর ঐ পাত্রে পা না দিতে পারে। কারণ অপরিষ্কার পা খাবারে দিলে জীবাণু ছড়াতে পারে।
- খাঁচার ঘরে রাখা যায় এবং বারান্দায় রাখা যায়। তবে মূল কথা হলো খাঁচায় এমন ভাবে রাখতে হবে যেন আলো বাতাস ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে।
- যে ঘরে রাখা হবে সেখানে বিকল্প সেখানে বিকল্প ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। যাতে ঘুমের ভেতরের গরম সহজেই বাইরে বের হয়ে যেতে পারে।
- একদিকে অন্তত জানালা রাখলে ভালো হয়।
- তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল কোনভাবেই যেন বৃষ্টির পানি খাঁচার ভেতরে যেতে না পারে।
- খাঁচার মেঝেতে মোটা কাগজ বা কাঠ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে কবুতর ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারে।
- খাঁচা এমন উঁচু জায়গায় রাখতে হবে যেন কুকুর, বিড়া্ ইঁদুর, বেজি ইত্যাদি কবুতরের ঘর ধরতে না পারে।
- বাঁশ বা কাঠের খুঁটি অথবা সিমেন্টের খুঁটি পুতে তার উপর ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে
- খাঁচারা রাখার জন্য পর্যাপ্ত আলো বায়ু চলাচল করে এমন জায়গা বেছে নিতে হবে
- একটি খামারের জন্য ২৫ থেকে ৩০ জোড়া কবুতর হলে ভালো হয়
খাঁচায় কবুতর পালনের সুবিধা
কবুতর দুইভাবে পালন করা যায়। আবদ্ধ এবং মুক্ত অবস্থায়। খাঁচায় কবুতর পালন করার বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে-
- কবুতর পালনের জন্য একবার খাঁচা তৈরি করলে তা অনেক দিন ব্যবহার করা যায়
- কবুতরের পানি এবং খাবার পাত্র বাইরে থাকার ফলে কবুতর খাবার নষ্ট করতে পারে না
- ভাড়া বাসায় কবুতর পালন করলে খাঁচায় লালন পালন করলে এতে বাসা পরিবর্তনের সময় খাঁচা আনা নেওয়া করতে সুবিধা হয়।
- খাঁচায় কবুতর নিরাপদ থাকে বেশি।
খাঁচায় কবুতর পালনের অসুবিধা
খাচার কবুতর পালনের সুবিধার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা রয়েছে। সব ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা করেই কবুতর পালনের চেষ্টা করা উচিত
- মুক্ত অবস্থায় কবুতর ভালোভাবে বড় হতে পারে
- খাচায় কবুতর লালন পালন করলে প্রাকৃতিক খাবার খেতে পারে না
- খাচায় বাইরের খাবার ও পানি দিতে হয়
- অনেক সময় খাঁচার পরিষ্কার না রাখলে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করার সুযোগ থাকে
- খাঁচায় কবুতর পালন করলে স্থান ঠিকভাবে নির্বাচন না করলে ভালো বাতাস কম পাওয়া যায়
- অনেক ক্ষেত্রে কবুতরের বৃদ্ধি কম হয়
কবুতরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও চিকিৎসা
কবুতরের প্রধান শত্রু হলো বিভিন্ন ধরনের রোগ। অধিকাংশ খামারে কবুতরের রোগবালাই এর জন্য ব্যবসায় সফল হতে পারেনা। তাই কবুতর বিভিন্ন ধরনের রোগ এবং তার চিকিৎসা জানা থাকলে খুব সহজেই কবুতরের যত্ন নেওয়া যায়।
১।পরজীবি রোগ- রোগের লক্ষণ হলো শারীরিক দুর্বলতা , খাওয়ার রুচি কমে যাবে ,ডায়রিয়া হওয়া এবং পুষ্টিহীনতার ভোগা এবং কবুতর অবশেষে মৃত্যুবরণ করে।
চিকিৎসা- এমাইনো এসিড ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স খাওয়ানো।
২। বসন্ত বা পক্স রোগ- এই রোগের লক্ষণ হল কবুতরের চোখ পা এবং ঠোটের চারপাশে ক্ষত দেখা যায়। কবুতরের পালক পড়ে যায় এবং কবুতর পালকের ঘনত্ব কমে যায়।
চিকিৎসা- এই রোগের চিকিৎসা হলো ভিটামিন এওসি ট্যাবলেট খাওয়াতে হয় প্রয়োজনে এমাইনো এসিড ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হয়।
৩। কলেরা- কবুতরের কলেরা রোগের লক্ষণ হল সবুজ বা হলুদ পায়খানা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়্ খাওয়ার অরুচি এবং কবুতরের ওজন কমে যাওয়া।
চিকিৎসা- কলেরা রোগের চিকিৎসা হলো কসমিক প্লাস বা ট্যারামাইসিন ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
৩। আমাশয়- রক্ত মিশ্রিত মলত্যাগ, খাওয়ার অরুচি এবং শারীরিক দুর্বলতা হল কবুতরের আমাশয় রোগের লক্ষণ।
চিকিৎসা- ইএসপি তিন এলো ড্রাম মোবাজিন পানিতে মিশিয়ে তিন দিন খাওয়াতে হবে।
কৃমি- কবুতরের কৃমি হলে ডায়রিয়া খুদা এবং পানির পিপাসা বৃদ্ধি পায় তার সাথে ওজন কমে যাওয়া এবং দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়।
চিকিৎসা- মেবেন এডিপার কুপেন ইউভিলন ট্যাবলেট প্রতি তিন মাস পর পর খাওয়াতে হবে।এগুলো কবুতরের সবগুলোই কৃমিনাশক ঔষধ।
কবুতরের জোড়া লাগানোর নিয়ম
মাত্র এক সপ্তাহ আলাদা জায়গার দুইটা পুরুষ এবং স্ত্রী কবুতর একসাথে রাখলে এদের মধ্যে ভাব ও মিলন হয়। সঠিক যাতের নর এবং মাদি জোড়া দিতে হবে। যদি সুস্থ কবুতরের সাথে অসুস্থ কবুতর ভালো জাতের সাথে নিম্নমানের, জোড়া দেওয়া হয় তাহলে সঠিক জোড়া হয় না।
কবুতরের দাম
দেশের বিভিন্ন জায়গা বা স্থানভেদে কবুতরের দামেও কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে বর্তমান কবুতরের বাজারের দাম নিয়ে মোটামুটি একটি ধারণা নিচে দেওয়া হল-
১। নরমাল সিরাজি- প্রাপ্তবয়স্ক একজোড়া সিরাজী কবুতরের দাম ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা। নরমাল সিরাজী বাচ্চা জোড়া ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা।
২। লাহোরি সিরাজী- প্রাপ্তবয়স্ক ১ জোড়া কবুতরের দাম ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। বাচ্চা জোড়া ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
৩। কিং- প্রাপ্তবয়স্ক জোড়া তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। কিং বাচ্চা জোড়া 1200 থেকে ১৮০০ টাকা।
৪। লক্ষা- প্রাপ্তবয়স্ক জোরা ১৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং বাচ্চা জোড়া 1200 থেকে 2000 টাকা।
৫। গিরিবাজ- প্রাপ্তবয়স্ক জোড়া 600 থেকে 700 টাকা এবং বাচ্চা জোড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
কবুতরের যত্ন নিবেন কিভাবে
বাচ্চা কবুতরের যত্ন কবুতর কেনার প্রথম থেকে নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে শীতকালে কবুতরের বাচ্চার যত্ন নিতে হয় কারণ শীতকালে অনেক কবুতরের বাচ্চাই ঠান্ডার কারণে মারা যায়। সে ক্ষেত্রে বাচ্চা কবুতরকে প্রতিদিন এক ঘন্টা রোদে রাখা প্রয়োজন। লক্ষ্য রাখতে হবে কুকুর বা বিড়াল আক্রমণ করে কিনা।
কবুতরে মৃত্যুর কারণ
খাঁচায় কবুতর পালনের নিয়ম জানার সময় অবশ্যই এ বিষয়টিও জানতে হবে কিভাবে কবুতরের বাচ্চা মৃত্যুবরণ করে। এ বিষয়ে সচেতন থাকলে কবুতর বাচ্চা পালন ব্যবসায় লস হওয়া থেকে দূরে থাকা। যাবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের কারণে যেমন- ডায়রিয়া, ছোঁয়াচে রোগ, এমনকি কবুতরের বাচ্চার মা না খাওয়ালে কবুতর মারা যেতে পারে।
আরো পড়ুন – ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো – কত টাকা লাগে?
কবুতরের খাবার
কবুতরের জন্য সঠিক নিয়মে সুষম খাবারের প্রয়োজন হয়।
কবুতরের খাবারে সঠিক পরিমাণে শর্করা চর্বি আমিষ খনিজ বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান থাকা প্রয়োজন।এরকম মিশ্রিত সুষম খাদ্যে ১৫ থেকে ১৬ পার্সেন্ট প্রোটিন থাকবে।প্রতি কেজি খাদ্যে 2500 থেকে 26 ক্যালোরি থাকা দরকার।তাছাড়া বিশুদ্ধ পানি যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ করতে হবে। সাধারণত একটি কবুতর দৈনিক তার শরীরের ওজনের এক ভাগ পরিমাণ খাবার খায় এই হিসাবে বিভিন্ন বয়সে কবুতর থেকে 90 গ্রাম খাবার খায়। কবুতরের উল্লেখযোগ্য খাবার হলো-
- ধান
- গম
- মসুর
- খেসারি
- মটর
- ভুট্টা
- সরিষা
- বিভিন্ন ধরনের কালাই
- শস্যদানা
- ডিমের খোসা শক্ত হওয়ার জন্য এবং কবুতরের বাচ্চা দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ঝিনুকের খোসা চুন চুনাপাথর শক্ত কাঠ কয়লা চূর্ণ হাড়ের গোড়া লবণ এসব একত্রে মিশিয়ে গ্রেট মিক্সচার তৈরি করে খাওয়ানো প্রয়োজন।
- বর্তমানে বাজারে কবুতরের খাদ্য রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়।
কবুতরের খামারে প্রবেশের পূর্বে করণীয়
কবুতরের খামারে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে করে কবুতরের খামার সব সময় নিরাপদ থাকবে।
- কবুতরের খামারে প্রবেশের পূর্বে খামাসহ খামার সকল যন্ত্রপাতি সব সময় জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে
- কবুতরের শরীরের বাইরের পরজীবী দূর করার জন্য মেলাথিয়ন দ্রবণে কবুতরকে গোসল করে নিতে হবে
- কবুতরের মুখ ডুবানো যাবে না মাথায় হাত লাগিয়ে দিতে হবে
- খামারে প্রবেশের পূর্বে এবং আমার থেকে বের হওয়ার সময় হাত এবং পা অবশ্যই জীবাণু মুক্ত করতে হবে
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
নিয়মিত কবুতর এবং খামারকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে অনেক ধরনের রোগ জীবাণু থেকে কবুতরকে রক্ষা করা সম্ভব।
- প্রতিদিন সকালে খাঁচার ট্রে পরিষ্কার করতে হবে কেননা দুর্গন্ধ ও পুরনো মল থেকেও অনেক ধরনের কবুতরের রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
- খাবার ও পানির বাটি ডিমের হা ইত্যাদি সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে
- খাচায় ডিম থাকলে এবং বাচ্চা থাকলে খুব পরিষ্কার করার সমাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
- তিন চার দিন পর পর নিয়ম করে কবুতরকে গোসল করাতে হবে
কবুতর পালনের জন্য পরামর্শ
- কবুতর পালনের নতুন হয়ে থাকলে আগে দেশী কবুতর পালন করা শুরু করতে হবে
- বেশি কবুতর দিয়েই শুরু না করে প্রথমে দুই, এক জোড়া দিয়ে শুরু করলে সুবিধা হয়
- কবুতর সম্পর্কে ভালো ধারণা হলে তখন বড় পরিসরে খামার করতে করা সম্ভব
- কবুতর ব্যবসা কে ব্যবসায়ী হিসেবে না নিয়ে শখ হিসেবে নিতে হবে। শুরুতে ব্যবসায়ী চিন্তাভাবনা করলে অনেক ক্ষেত্রে বেশি দিন চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
- কবুতর পালনে কবুতরের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সময় নিয়োগ করতে হবে
- আশেপাশে যারা কবুতর পালন করে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা উচিত
- কবুতরের বাসস্থান সবসময় পরিষ্কার রাখা হবে রাখতে হবে
- কবুতর পালনে অবশ্যই ধৈর্য থাকতে হবে
কবুতর পালনে লাভ
২০ জোড়া উন্নত বা সৌখিন জাতের কবুতর পালনে প্রাথমিকভাবে দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বছরে তিন লাখ টাকা লাভ করা যায়। তবে ৩০ জোড়া দেশি জাতের কবুতর পালনের ক্ষেত্রে প্রথমদিকে 15000 টাকা মূলধন বিনিয়োগ করে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। পরবর্তীতে স্থায়ী খরচের দরকার হয় না ফলে পরবর্তীতে লাভজনক হবার সংখ্যা বেশি হয়।
মন্তব্য
আজকে আমরা খাচায় দেশে কবুতর পালন করার নিয়ম ও খাঁচায় দেশে কবুতর পালন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য নিয়ে আর্টিকেলটি শেয়ার করেছি। আশা করছি দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারে আসবে। খাঁচায় দেশি কবুতর পালন করার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মন্তব্য অথবা মতামত থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আরো পড়ুন –