নরমাল ডেলিভারির জন্য করনীয়

নরমাল ডেলিভারির জন্য করনীয়

সাধারণত সি সেকশন বা সিজারের তুলনায় নরমাল ডেলিভারি উপকারিতা বেশি। প্রেগনেন্সিতে নিজের বিভিন্নভাবে যত্ন নিলে এবং কিছু নিয়ম নির্দেশনা মেনে চললে নরমাল ডেলিভারিতে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আজকে আমরা নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা

কিছু সাধারন নির্দেশনা মেনে চললে নরমাল ডেলিভারি হবার সম্মভাবনা খুব বেশি থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ- নরমাল ডেলিভারির করতে চাইলে প্রথম শর্ত হলো নিজের শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখা। প্রেগনেন্সি প্রথম থেকে একটি স্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করতে হবে। যাতে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি না পায়। তবে প্রেগনেন্সিতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি শরীরের ওজন হলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা কমে যায় এবং জটিলতা বৃদ্ধি পায়।

প্রেসার এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা- প্রেগনেন্সির পূর্ব থেকে যাদের প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে যাদের পূর্ব থেকে কোন মেডিকেল সমস্যা নেই তারা প্রেগনেন্সিতে নিজের প্রেসার এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব।

সিজারের পরও নরমাল ডেলিভারি করানো- অনেকেই ভাবে একবার সিজার হলে পরবর্তীতে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব নয়। তবে প্রেগনেন্সিতে নিজের যত্ন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে সিজারের পরেও নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয়।

ব্যায়াম করা- প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। শরীরের পেশি গুলো শক্ত ও মজবুত থাকলে সহজেই নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব হয়। প্রেগনেন্সির সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম রয়েছে। যেমন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ধরনের ব্যায়াম শরীরের জন্য উপযোগী সে হিসেবে প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত।

স্বাভাবিক কাজকর্ম- মূলত নরমাল ডেলিভারির জন্য নিজের শরীরকে ট্রং রাখতে নিজের দৈনন্দিন সংসারে খুঁটিনাটি কাজ ধীরে ধীরে সাবধানে করা উচিত। এতে নিজের শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীরের পেশীগুলো মজবুত থাকে। যার ফলে নরমাল ডেলিভারিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মানসিক প্রস্তুতি- মূলত নরমাল ডেলিভারির জন্য আগে মস্তিষ্ককে সেট করতে হবে। কেননা এখানে অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। তবে সব মেয়েদেরই মনে রাখা উচিত এটি একটি কষ্টকর প্রক্রিয়া হলেও মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য সুফল রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবারের অন্যদের উৎসাহ ও সাপোর্ট জরুরী।

তৈলাক্ত বা মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা- এ সময় অনেকের তৈলাক্ত বা মসলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই চকলেট পিজ্জা বার্গার এবং বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। মূলত এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত এবং সে অস্বাস্থ্যকর খাবার কম খাওয়া উচিত। কারণ এ সময় ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।

স্বাস্থ্যকর ডায়েট– প্রেগনেন্সির প্রথম থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একটি সুষম ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার, টাটকা ফল ও শাকসবজি এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন আয়রন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং মাল্টিভিটামিন খেতে হবে। শরীরের পেশি যত শিথিল থাকবে ততই নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়বে।

নিয়মিত হাটা- অনেকে প্রেগনেন্সির পুরো সময়টাই শুয়ে বসে রেস্ট নিয়ে কাটিয়ে দেয়। তবে এটা একেবারেই করা উচিত না। শুধুমাত্র চিকিৎসক বেড রেস্ট না দিয়ে থাকলে বা অন্য কোন জটিলতা না থাকলে প্রতিদিন যোগাসন বা সকালে হাঁটলে নরমাল ডেলিভারির চান্স বারবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।

পরিমাণ মতো পানি- শরীরে এ সময় সবচেয়ে বেশি পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া খুব জরুরি। এতে শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় না। কাজেই প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি বেশি খেলে নরমাল ডেলিভারি অনেক সহজ হবে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন নিয়ম করে পানি খাওয়া উচিত।

মানসিক দুশ্চিন্তা- নরমাল ডেলিভারি জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে সুস্থ শরীর। শরীর কে সুস্থ রাখা এ সময় খুবই প্রয়োজন। মানসিক দুশ্চিন্তার পেশার বাড়লে শরীর খারাপ হবে। নিজেকে সবসময় খুশি রাখতে হয়। প্রয়োজনে মনোবিদ ডাক্তারের কাছে যাওয়া যেতে পারে। প্রেগনেন্সিতে বিভিন্ন ধরনের মাসাজ নিলেও ট্রেস কমে।

জন্মের পরিকল্পনা- গর্ভাবস্থার শুরুতেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে কোন ধরনের ডেলিভারি আপনার জন্য প্রযোজ্য তা জেনে নিতে হবে। ডাক্তার সে পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এতে চিন্তা কম হবে এবং গোটা ব্যাপারটাই অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

প্রেগনেন্সি সময়ের ক্লাস– বাচ্চার জন্মের পূর্বে আশেপাশের কোন প্যারেন্টাল ক্লাসে যাওয়া যেতে পারে। এসব ক্লাসে কিভাবে সহজে কম কস্ট এবং কম সময়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়া যায় এ পথ বিভিন্ন পদ্ধতি শেখানো হয়।

যোগব্যায় করা- নরমাল ডেলিভারির জন্য অত্যন্ত উপকারী এই যোগ ব্যায়াম। এতে শরীরে পেশি শিথিল থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্রেস কমে আসে তাই ডেলিভারি যন্ত্রণা সহ্য করতে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা উচিত এবং প্রয়োজন।

আরো পড়ুন – গর্ভের সন্তান সুস্থ থাকার দোয়া

নরমাল ডেলিভারির সুবিধা

সিজারের তুলনায় নরমাল ডেলিভারিতে সুবিধা অনেক বেশি। এতে শিশু এবং মা উভয়ের জন্যই অনেক বেশি উপকার রয়েছে। ফুটবে বেশিরভাগ ডেলিভারি গুলোই নরমাল ডেলিভারি হত।

  • স্বাভাবিক প্রসবের ফলে মায়েদের শরীরের অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়
  • নরমাল ডেলিভারি হলে শিশুর বুক পরিষ্কার থাকে
  • শিশুদের শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি অনেক কমে যায়
  • নরমাল ডেলিভারি হওয়া শিশু মাইক্রোবায়ন নামক প্রতিরক্ষামূলক ব্যাকটেরিয়া পায়
  • এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হয়
  • দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
  • নির্দিষ্ট সময় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও কাজকর্ম করা যায়
  • ভারী জিনিস তোলা যায়
  • পরবর্তী সন্তান জন্মদানে জটিলতা থাকে না

নরমাল ডেলিভারি গুরুত্বপূর্ণ কেন

মা এবং সন্তানের জন্য স্বাস্থ্য করে নিরাপদ উপায় হল এই নরমাল ডেলিভারি। সি সেকশন এর মাধ্যমে ডেলিভারি হলে বাচ্চার এবং মায়ের জন্য অনেক কষ্ট হতে পারে। সিজারে পরবর্তী সময়ের বেশিরভাগ মায়েরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগেন।

  • স্বাভাবিক প্রসব হলে সন্তানের মায়ের সুস্থ হতেও কম সময় লাগে
  • সিজারিয়ান পদ্ধতির ক্ষেত্রে জরাযইয়ু তো অক্সিজেন কম প্রবেশ করে যার ফলেবাচ্চার মা সুস্থ হতে সময় বেশি লাগে
  • পর বাচ্চাদের সুস্থ হতে সময় বেশি লাগে
  • নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে বাচ্চা সহজে মাত্র দুগ্ধ পান করার পদ্ধতির শিখে যায়
  • নরমাল ডেলিভারির সময় কাটাকাটির তেমন কোন ঝামেলা নেই বিধায় রোগীর সেরে উঠতে সময় কম লাগে
  • নরমাল ডেলিভার যারা করে থাকে সেসব মায়েরা সিজারিয়ানদের থেকে বেশি কার্যক্ষমতা ও সাহসী হয়ে থাকেন
  • এতে প্রসব বেদনা একটু বেশি সহ্য করতে হলেও ডেলিভারি পরবর্তী সময় আর কোনো সমস্যা হয় না
  • মায়েদের শরীর ও তাড়াতাড়ি রিকভার করতে পারে

নরমাল ডেলিভারির জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

সাধারণত নরমাল ডেলিভারির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের চার্ট ফলো করা অত্যন্ত জরুরি। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অথবা ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

  • বিভিন্ন ধরনের ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকা উচিত
  • সঠিক নিয়মে খাবার খাওয়া উচিত
  • ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত
  • পেটে চাপ দেওয়া অথবা পেটে চাপ পড়ে এমন কাজ করা এড়ানো উচিত
  • দীর্ঘ সময় মাথা নিচের দিকে রাখা উচিত নয়
  • ফলের রস এবং দুধ খাওয়া উচিত
  • শাকসবজি প্রতিদিন খাওয়া উচিত
  • বাদাম এবং খেজুর প্রতিদিন খাওয়া উচিত
  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত
  • প্রতিদিন একটি করে ডিম খাবার তালিকায় রাখতে হবে
  • বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ অথবা তেল জাতীয় মাছ খেতে হবে
  • আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ট্যাবলেট সেবন করতে হবে

Untitled design 23

কখন সিজার করা উচিত

সাধারণত বেশিরভাগ সময়ে সবাই নরমাল ডেলিভারি করাতে চায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে সিজার করা জরুরী তা জানা প্রয়োজন।

উচ্চতা কম হলে- স্বাভাবিকভাবে খাটো নারীদের জরায়ু ছোট থাকে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে তাদের সন্তান জন্মদানের সমস্যা হয়ে থাকে। খাটো নারীর জরায়ুর তুলনায় সন্তান আকারে বড় হয় বলে তখন নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না।

শরীরে পানি পরিমাণ কম থাকলে- সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় পানির পরিমাণ দেখে বোঝা যায়। পানি বেশি থাকলে প্রসবের সমান নবজাতকের মুখ খুঁজতে সুবিধা হয়। পানি কম থাকলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। সাধারণত 8 থেকে 22 সেন্টিমিটার নরমাল পানির পরিমাণ থাকে।

শিশুর অতিরিক্ত ওজন হওয়া- প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হলে অনেকেই নিজের যত্ন ঠিক ভাবে নিতে পারেনা। তাই কোন ধরনের খাবার খেলে শিশু অতিরিক্ত ওজন হয় সে সম্পর্কে জানে না। এর কারনে ওজন অনেক বেড়ে গেলে তখন চিকিৎসক নরমাল ডেলিভারি পরামর্শ দেয় না।

গর্ভফুল নিচে থাকা- গর্ভফুল সাধারণত জরায়ুর এর উপরে কিংবা সামনে পেছনে থাকতে পারে। নরমাল ডেলিভারের জন্য সন্তান নিচের দিকে আর গর্ভফুল উপরে দিকে থাকতে হয় এর আর যদি এর উল্টো হয় তবে আর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না।

বাচ্চা উল্টা থাকা- সাধারণত ডেলিভারির সময় বাচ্চার মাথা নিচের দিকে নেমে আসে এবং পা উপরে থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চা মাথা উপরে থাকে এবং পা নিচে থাকে ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। সিজারের করা লাগতে পারে।

পূর্বে সিজার থাকলে- অনেক সময় পূর্বে সিজার থাকলে পরবর্তীতে ও সিজার করতে হয়। কেননা নরমাল ডেলিভারির সময় পেট এবং জরাইয়ু এর উপর অনেক চাপ পড়ে যার ফলে পূর্বের সিজারএর সেলাই খুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

ডায়াবেটিস বা শ্বাসকষ্ট থাকলে- প্রেগনেন্সির সময় অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বা ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারে। তবে অনেকের প্রেগনেন্সির পূর্ব এ ধরনের সমস্যা থাকে। এ অবস্থায় ডাক্তার নরমাল ডেলিভারির পরামর্শ দেন না বরং সিজারের করতে বলে থাকেন। কারন নরমাল ডেলিভারিতে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি থাকে।

পূর্বে মিসকারেজ থাকলে– পূর্ববর্তী সময়ে যাদের বাচ্চা ডেলিভারির সময় মারা যায় অথবা বাচ্চা নষ্ট হওয়ার হিস্ট্রি থাকে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার রিক্স না নিয়ে সিজার করতে পরামর্শ দেন। তারপর ও ওণেকসময় সবকিছু নরমাল থাকলে নরমাল ডেলিভারিও হয়।

গর্ভবতীদের ব্যায়াম

এ সময় কোন ধরনের ব্যায়াম নিরাপদও উপকারী এ সম্পর্কে অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থাকেণ। তবে এ সময়ে সাঁতার, প্রতিদিন হাটা, স্টেশনারি সাইক্লিন, ইয়োগা ইত্যাদি গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক নিরাপদে ও সহজ ব্যায়াম। তবে সবচেয়ে ভালো হয় একজন বিশেষজ্ঞের অধীনে ব্যায়াম করা।

মন্তব্য

আজকে নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আর্টিকেল শেয়ার করেছি। আশা করছি এটা দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগবে। নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয় সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য অথবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতী শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।

আরো পড়ুন – 

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

Leave a Reply