ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির আবেদন পত্র
সারা বিশ্বে ঔষধ রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের তৃতীয়। উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় এই সেক্টরে বাংলাদেশের যুবকদের বড় একটি অংশ চাকরি করে। গার্মেন্টস সেক্টরের পরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চাকরির বাজার এই ঔষধ শিল্প। কিন্তু সঠিক নিয়মে আবেদন করতে না পারার কারণে অনেকেই চাকরি পান না।
আজকে আমরা ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির আবেদন পত্র লেখার নতুন নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করব। এই নিয়ম ফলো করে বাংলাদেশের যে কোন ঔষধ কোম্পানিতে সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন – চলমান এইচ এস সি পাশে সরকারি চাকরি ২০২৩
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির আবেদন পত্র লিখার সঠিক নিয়ম
তারিখ ____
বরাবর,
প্রধান পরিচালক,
______ (কোম্পানির নাম)
_______(কোম্পানির ঠিকান), ঢাকা
বিষয়ঃ আপনার কোম্পানিতে ___ (পদের নাম) চাকরির জন্য আবেদন
জনাব,
গত ____ ইং তারিখে দৈনিক _____ (আমার দেশ পত্রিকার) মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার কোম্পানির _____ পদে শুন্য পদে লোক নিয়োগ দেয়া হবে। উক্ত পদে আমি একজন প্রার্থী। নিজে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ সুবিন্যস্ত ভাবে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
- নাম : _____
- পিতার নাম: _____
- মাতার নাম: _____
- বর্তমান ঠিকানা: ______
- স্থায়ী ঠিকানা: ______
- জাতীয়তা: ______
- ধর্ম: ________
- জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার: ______
- মোবাইল নাম্বার: ________
- জন্ম তারিখ: ________
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ______________
পরীক্ষার নাম | বিভাগ | পাশের সাল | জিপিএ | বোর্ড |
---|---|---|---|---|
SSC / equivalent | Your details | Your details | Your details | Your details |
HSC / equivalent | Your details | Your details | Your details | Your details |
BSc. / equivalent | Your details | Your details | Your details | Your details |
MSc.. / equivalent | Your details | Your details | Your details | Your details |
এ ছাড়াও আমি ইতোপূর্বে ফার্মেসিতে কাজ করার ৬ মাসের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবং কম্পিউটারে সাধারণ টাইপিং ও মাইক্রোসফট অফিসের কাজ জানি।
অতএব, জনবের নিকট আমার আকুল আবেদন এই যে উপরোক্ত সকল তথ্য বিবেচনা করে উক্ত পদে কাজ করার সুযোগ দিলে জনাবের নিকট বাধিত থাকবো।
ধন্যবাদান্তে,
নামঃ _________
সংযুক্তি,
- একাডেমিক সনদ এর ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- চারিত্রিক সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
ঔষধ কোম্পানিতে বেতন কেমন
ঔষধ কোম্পানিতে বেতন নির্ভর করে কোম্পানির উপর এবং কোন পদে জয়েন করেছেন তার উপর। তবে সাধারণত স্টার্টিংয়ে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা স্যালারি হয়ে থাকে যা সময়ের সাথে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। তবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হতে বায়ো কেমিস্ট্রি, ফার্মেসি, মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত সাবজেক্ট গুলো নিয়ে পড়াশোনা করে ঔষধ কোম্পানিতে জয়েন করলে স্যালারি স্ট্রাকচার ভিন্ন হয়।
সেক্ষেত্রে স্টারটিং সেলারি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হতে পারে যা পরবর্তীতে দুইগুন কিংবা তিনগুন পর্যন্ত হবে। আশা করছি ওষুধ কোম্পানির বেতন স্ট্রাকচার নিয়ে কিছুটা ধারণা পেয়েছে।
ঔষধ কোম্পানিতে আবেদন করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
গার্মেন্টস শিল্পের পর বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় চাকরির বাজার হচ্ছে ঔষধ শিল্প। পরিকল্পিতভাবে প্রিপারেশন নিলে এবং ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করলে চাকরি পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। এ পর্যায়ে আমরা ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তার সংক্ষেপে আলোচনা করব
কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান – বর্তমানে আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করতে যান না কেন কম্পিউটার নিয়ে বেসিক ধারণা অবশ্যই থাকতে হবে। তাই কম্পিউটারের মেইন জিনিসগুলো যেমন মাইক্রোসফট অফিস, ইংলিশ টাইপিং, গুগল ডক, গুগল শিট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নেয়ার চেষ্টা করুন। এই স্কিল গুলো সিভিতে উল্লেখ করলে চাকুরী পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
চাকুরীর অভিজ্ঞতা – বর্তমান সময়ে যেকোনো সেক্টরে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের অভিজ্ঞতা আছে কিনা জিজ্ঞেস করে। যদি সম্ভব হয় চেষ্টা করুন ওষুধ শিল্পের সাথে সম্পর্কিত কোনো ছোটখাটো পদে কয়েক মাস হলেও চাকরি করতে। এতে করে বড় পদে চাকরি পাওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
কমিউনিকেশন স্কিল – মানুষের সাথে কথা বলতে পারা অনেক বড় একটি স্কিনের মধ্যে পড়ে। যেহেতু আপনি চাকরি করবেন তাই অবশ্যই মানুষকে কনভিন্স করার সে ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। চেষ্টা করুন বেশি বেশি মানুষের সাথে মিশতে এবং কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করতে। এতে করে ভাই ভাই ইমপ্রেস করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
কোম্পানি সম্পর্কে জ্ঞান – যে কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করবেন এবং যে পদের জন্য আবেদন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন সে পদের দায়িত্ব গুলো কি কি এবং সে কোম্পানির অতীত ইতিহাস কিছুটা হলেও জানা উচিত এতে করে ভাইবা বোর্ডে আপনার প্রতি ভালো একটি ইম্প্রেশন তৈরি হবে।
রেফারেন্স – যদি সম্ভব হয় ওই কোম্পানি তে চাকরি করে এমন কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র ঔষধ কোম্পানিতে নয় যেকোনো বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই রেফারেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোম্পানিতে চাকরি আবেদন করেছেন সেই কোম্পানির কোন কর্মকর্তা যদি আপনাকে রেফার করে তাহলে চাকরি পাওয়া সম্ভব না অনেকটাই বেড়ে যায়।
সুন্দর সিভি – বেসরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সিভি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি অনেক কিছু জানেন কিন্তু সিভি যদি সুন্দর না হয় তাহলে রিজেক্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি। তাই চেষ্টা করুন সুন্দর ও প্রফেশনাল একটি সিভি তৈরি করতে। এতে করে চাকরি পাওয়ার সহজ হয়ে যাবে।
মন্তব্য
আজকে আমরা ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির আবেদন পত্র লেখার নতুন নিয়ম সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির আবেদন পত্র নিয়ে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উতর দেয়ার চেষ্টা করবো।
আমাদের ওয়েবসাইটের নিত্যনতুন আপডেট জানতে অফিসিয়াল টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করতে পারেন।
আরো পড়ুন – চলমান এইচ এস সি পাশে সরকারি চাকরি ২০২৩