জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন। তাই অনেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান। আজকে আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম এবং কোন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন কি?

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

জন্ম নিয়ন্ত্রন ইনজেকশন কনস্ট্রাক সেপটিভ প্রোজেক্টের নির্ভর একটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। পিলের মতোই প্রায় একই সমান কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এই জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নিতে হয়। স্তন্যদান বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় এটি ব্যবহার করা যায় এবং এর পাশ্বপ্রতিক্রিয়াও জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিলের চেয়েও কম।

তবে অনেক সময় এই ইনজেকশন অনিয়মিত রক্তস্রাব এর জন্য দায়ী। সাময়িক সময়ের জন্য পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে। তবে ইমপ্ল্যান্ট দীর্ঘমেয়াদি একটি সমযন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি তিন বছরের অধিক সময় প্রটেকশন দেয়। এটি মূলত হরমোন মিশ্রিত একটি ক্যাপসুল বা হাতের চামড়ার নিচে ইনজেকশন এর মাধ্যমে দেয়া হয়। এতে করে ধীরে ধীরে হরমোন মিশ্রিত হয়।

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নাম

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার পূর্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনে নাম জানা প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো- সোমাজেক্ট ইনজেকশন। এ ছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন পাওয়া যায়।

আমাদের সরকারি পর্যায়ে শুধুমাত্র প্রোজেক্টরের সমৃদ্ধ ডিএমপিএ গর্ব নির্ধারণ ইনজেকশন Progeston 50 mg, depo provera বিনামূল্যে কমিউনিটি ক্লিনিক পাওয়া যায়।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

বাজারে যে কয়েকটি জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো সোমাজেক্ট ইনজেকশন। এই ইনজেকশনের দাম হল ৩৮ টাকা। তবে বর্তমানে কোন সব জিনিসে দাম বাড়ার সাথে সাথে এর দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে পূর্বের দাম ৩৮ টাকা। ৩৮ টাকা তিন মাস নিরাপদে থাকা যায়।

কখন জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নিবেন

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানবো কখন জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নিতে হবে বা জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নেওয়ার নিয়ম কি। সাধারণত পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম সাত দিনের মধ্যে এ ইনজেকশন নিতে হয়।

গর্ভবতী নয় বা গর্ভধারণ নিশ্চিত হবার আগেই যে কোন সময় ইনজেকশন নিতে হয়। সন্তান হওয়ার পর পরই অথবা ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই ইনজেকশন নেওয়া যায়। তাছাড়া এম আর বা গর্ভপাত এর পরপর এই ইনজেকশন নেওয়া যায়। অন্য পদ্ধতি অন্য যেকোনো জন্ম নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পূর্ব অবলম্বন করলে সে পদ্ধতি বন্ধ করার পর পরে ইনজেকশন নিতে পারেন।

তাছাড়া কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা না থাকলে যে কোন বয়সের মহিলারা তার প্রয়োজন না হওয়া পর্যন্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নিতে পারবেন।

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নেওয়ার সুবিধা

এখন আমরা জানবো জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনের সুবিধা সমূহ-

  • যেকোনো বয়সের মহিলারা এই জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারেন
  • এতে করে সহবাসের কোন ব্যাঘাত ঘটে না
  • যে মহিলা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তারা ওই ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারবেন
  • এ জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ব্যবহার করা ফলে যেসব মহিলাদের দীর্ঘদিনের পিরিয়ড বন্ধ থাকে তাদের রক্তস্বল্পতা ধীরে ধীরে কমাতে সাহায্য করে।
  • পিরিয়ড এর অবসান পর্যন্ত ইনজেকশন ব্যবহার করা যায়
  • কার্যকরী এবং নিরাপদ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গোপনীয়তা রক্ষা করে ইনজেকশন নেওয়া যায়
  • তিন মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ সঞ্চালনে বাধা প্রদান করে
  • অন্য যেকোনো পদ্ধতি যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়
  • জরায়ুর বাহিরে গর্ভ সঞ্চারের ঝুঁকি কমায়
  • অনেক সময় পিরিয়ড বন্ধ করে দেয় বলে রক্তস্বল্পতা কমে যায় যা প্রতিরোধে সহায়তা প্রদান করে

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যে কোন ঔষধ বা যেকোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিলের চাইতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো খুবই কম। নিচে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো তুলে ধরা হলো-

  • পিরিয়ড অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকতে পারে
  • এক পিরিয়ডের সময় থেকে শুরু করে অন্য পিরিয়ডের মাঝখানে মাঝে মাঝে ব্লিডিং হতে পারে
  • অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া
  • ওজন বেড়ে যাওয়া
  • ইনজেকশনের জায়গা ফুলে যাওয়া
  • মাথা ব্যথা করা
  • ইনজেকশন দিলে কয়েক দিন হালকা জ্বর থাকা

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন কোথায় পাওয়া যায়

 

সাধারণত আপনার নিকটস্থ যে কোন থানা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে জন্ম বিরতিকরণ ইনজেকশন পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও এস এম সি ব্লু স্টার চিহ্নিত যেকোন ফার্মেসি বা ক্লিনিকে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যেকোন ফার্মেসিতে এই আধুনিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইঞ্জেকশন পাওয়া যায়।

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন কিভাবে নিবেন

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবা দানকারী যে কোন ক্লিনিকে অথবা বিভিন্ন ফার্মেসিতে ইনজেকশন নেওয়া যায়। এটি হাতে বা নিতম্বের মাংসপেশীতে নিতে হয়। ইনজেকশন প্রথম ডোজ শুরু হবার পাঁচ দিনের মধ্যে ২য় ডোজ নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে তিন মাস অন্তর অন্তর আর নো ডিস্টার্ব এর ক্ষেত্রে দুই মাস অন্তর অন্তর।

নরস্টার পরবর্তী ডোজ দিতে হয় নির্ধারিত তারিখের আগে ১৪ দিনের মধ্যে বা ১৪দিনের মধ্যে দেওয়া যেতে পারে। সন্তান প্রসবের ছয় সপ্তাহ পর থেকেও এই জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নেওয়া যায়।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের নাম

বাজারে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনে পাশাপাশি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পাওয়া যায়। অনেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ভয় পান বলে পিল গ্রহণ করতে চান। বাজারে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিলের মধ্যে অন্যতম হলো-

  • শিউলি
  • মায়া
  • ইমকন
  • নভেলন
  • রোজিন ২৮
  • ফাইভ এক্স
  • ইমারজেন্সি পিল
  • নরপিল
  • নরেশ
  • আইপিল
  • নোবেলন

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের দাম

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের দাম এক এক ওষুধের এক এক রকম দাম হয়। যেমন-

  • রোজেন 28 ট্যাবলেট এর দাম- ৩৯৯ টাকা
  • নভেলন ২১ পিলের দাম- ৪০০ টাকা
  • ইমকন এক পিলের দাম- ৬0 থেকে ৭0 টাকা
  • ইমার্জেন্সি কনফিডেন্স- ১৯0 টাকা
  • নরেক্স ইমারজেন্সি পিলের দাম- ৬০ টাকা
  • পিউলি ইমারজেন্সি পিল এর দাম- ১৫৫ টাকা
  • নরপিল ইমারজেন্সি পিলের দাম- ৭৫ টাকা
  • ৫এক্স ইমার্জেন্সি পিলের দাম- ১৫৫ টাকা

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কোন ধরনের পদ্ধতি ভালো

অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন। যেমন পুরুষদের ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল-

  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
  • ইঞ্জেকশন
  • বিভিন্ন ধরনের সার্জারি পদ্ধতি

তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন বা পিল একেকজনের শরীরের জন্য এক একটি ভালো তাই যেকোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সেবন করতে পারেন। এতে করে চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী আপনাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সাজেস্ট করবেন।

তবে বেশিরভাগ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিরই কোন না কোন সাইড ইফেক্ট রয়েছে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন সর্তকতা

অনেকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকেন। তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইঞ্জেকশন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তবে পরবর্তীতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন না দিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ব্যবহার করার পর যদি কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রি লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই হসপিটালে ভর্তি হয়ে যাবেন।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ

আজকে আমরা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি  জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম বাংলাদেশ আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ।প্রতিদিন নতুন নতুন সব ইনফরমেশন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

Easy Teching

ইজি টেকিং - একটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলা ভাষায় সবার মাঝে সঠিক তথ্য পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

Leave a Reply