কিভাবে বাজে অভ্যাস গুলো আপনার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে
আমাদের জীবনে ভালো বা খারাপ যাই ঘটুক না কেন তার কারণ হলো আমাদের অভ্যাস। আমাদের সাফল্য আর আমাদের ব্যর্থতা সব কিছু আসে আমাদের অভ্যাস থেকে। জীবনে ভালো অভ্যাস তৈরি করলে আমরা হয় নিজেদের জীবনকে পজিটিভ ডাইরেকশন দিতে পারি অথবা খারাপ অভ্যাসের কারণে আমরা আমাদের প্রেজেন্টার ফিউচার Spoil করতে পারি। এই দুটো জিনিস করা বা না করা আমাদের হাতেই থাকে আর আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন যে আমাদের সেই বদঅভ্যাসগুলো কি যেগুলো আমাদের আজ থেকে আর এখন থেকেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ সেই বদঅভ্যাসগুলো আমাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানতেও পারছিনা। তবে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক সেই বদঅভ্যাসগুলো আমাদের জীবনের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে।
কিভাবে বাজে অভ্যাস গুলো আপনার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে
Destroying Health
আমরা যদি স্মোকিং, পর্ন অ্যাডিকশন ডিংকিং এর মতো কোনো খারাপ অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়ি তাহলে তা সরাসরি আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। আর ধীরে ধীরে আমরা এই খারাপ অভ্যাস এর সঙ্গে যুক্ত মেন্টাল ডিসঅর্ডার এর শিকার হয়ে যায়। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন যে স্বাস্থ্যই হলো সম্পদ আর আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ আমাদের স্বাস্থ্যকে হারাইয়া।আর স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে আমরা জীবনে কোন স্বপ্নই পূরণ করতে পারিনা।
Destroying Wealth
যেকোনো খারাপ অভ্যাস আমাদের পকেটেও প্রভাব ফেলে। প্রথমত আমরা যখন কোন বদঅভ্যাসে শিকার হই তখন সেটা করতে গিয়ে বা সেটাকে এনজয় করতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে ফেলি। আর পরে সেই অভ্যাসের কারণে আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তারপর ডাক্তার দেখাতে চিকিৎসা করাতে আবার হারানো স্বাস্থ্য ফিরে পেতে আমাদের বহু কষ্টে উপার্জন করা টাকা খরচ হয়ে যায়।
Destroying Relationship
খারাপ অভ্যাসের কারণে আমরা বহু শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।আর সেই সঙ্গে আমাদের কনফিডেন্স লো হতে থাকে আমরা ডিমোরালাইজ ফিল করি। মানুষের সাথে কথা বলতে ভয় পায়। আমরা অন্যের কাছে নিজেদের এক্সপ্রেস করতে বা কারো সঙ্গে কমিউনিকেট করতে হেজিটেট করি। আর শেষে এমন হয় যে লো কনফিডেন্স এর জন্য আমাদের কারো সাথে কথা বলতে সমস্যা তৈরি হয়। আর এভাবেই আমাদের রিলেশনশিপ গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
তো চলুন এবার এই সমস্যার সমাধান গুলো জেনে নেওয়া যাক।
Act Now
আমাদের জীবন নিয়ে প্লান করার সময় আমরা প্রায়ই ভাবি একদিন আমি এই কাজটা করব বা এমন একটা দিন ঠিকই আসবে যখন এটা ঘটবে। কিন্তু সেই দিন আর কখনোই আসেনা। কারন আমি এটা করব এটা ঘটবে এই সমস্ত কিছুর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় ঠিক করা নেই। এই কারণেই সান্ডে আইএমটু স্টার্ট এক্সারসাইজ বিগিন ডেট প্রজেক্ট স্টপ স্মোকিং স্টাট মাই অন বিজনেস এই বেশি চিন্তা গুলো কখনোই বাস্তবে পরিণত হয় না। সেজন্য দেরি করার অভ্যাস এর বদলে এখনই Act Now রুল ফলো করুন। এতে করে আপনি আরও ভালো ফলাফল পাবেন।
Believe in Yourself
যে কোন কাজ করার সময় আমরা নিজেদের ওপর আর নিজেদের ক্ষমতার উপর সন্দেহ করতে শুরু করি। আমি কি এটা করতে পারব আমি কি এই দায়িত্ব নিতে পারবো। এরকমটা ডাউট থেকে মনে যে প্রশ্নগুলো আসে তার উত্তর আমরা কখনোই খুঁজে পাই না। আর এই ডাউটের জন্য আমরা নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করি। নিজেদের এতটাই নেতিবাচক করে তুলি যে আবার আমাদের কনফিডেন্স ফিরে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এভাবে আপনি পজিটিভ রেজাল্ট পেতে পারেন।
Do What You Believe in
লোকে কি ভাববে এটা বাংলাদেশি সোসাইটির সবচেয়ে বড় সমস্যা। যার কারণে হাজার হাজার মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের জীবনযাপন করতে পারেনা। তারা তাদের পছন্দের পোশাক পরতে পারে না। তারা নিজেদের ইচ্ছামত পড়াশোনা করতে পারেনা। এমনকি তারা নিজেদের পছন্দের কাজ করতে পারে না। আপনি যদি জীবনে নিজের শর্তে বাঁচতে চান তাহলে লোকে কি ভাববে সেটা নিয়ে ভাববেন না। আপনি নিজেই নিজের জীবনের মালিক। আপনি আপনার জীবনে কি করবেন সেটা অন্য কেউ ঠিক করবে না। সেটা ঠিক করবেন আপনি। লোকের জন্য নিজের স্বপ্নকে মুরতে দেবেন না।
Move on
আমাদের অনেকেরই অতীতে বেঁচে থাকার অভ্যাস আছে। আমরা অতীতের কথা কিছুতেই ভুলতে চাই না আর আমাদের অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার জন্য নিজেদের দোষারোপ করতে থাকি। এতে করে আপনি নিজে নিজে প্রেজেন্টকে নষ্ট করছেন। এভাবে আপনি কখনোই ফিউচার এগিয়ে যেতে পারবেন না। এজন্য অতীতকে ভুলে গিয়ে নিজের জীবনে মুব অন করে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। জীবনে এক জায়গায় আটকে থাকলে আপনি কিছুই পাবেন না। আশাকরি আপনি আজকের আর্টিকেলে বলা বদঅভ্যাসগুলো জীবনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ এইগুলো সেই অভ্যাস যেগুলো আমাদের জীবন ক্যারিয়ার আর কনফিডেন্সের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আমাদের সাইটের সাথে থাকবেন নতুন নতুন পোস্ট পেতে। আমার আর অন্যান্য পোস্ট:
যে কোন প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করুন :
ধন্যবাদ