পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
হ্যালো বন্ধুরা। ইতোপূর্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ সারাবিশ্বে তেমন একটা জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে এবং নতুন বিবাহিত দম্পতিরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে জন্ম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। মূলত পরিকল্পিত সন্তান গ্রহণ এবং সন্তানকে যথাযথভাবে পরিবহন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জন্মনিয়ন্ত্রণের কথা বললেই প্রথমে আমাদের মাথায় নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মাথায় আসে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে। অর্থাৎ শুধু মাত্র না নির্ণয় চাইলে পৌরসভার স্থায়ী এবং অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে।
আজকে আমরা পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি – জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ও অস্থায়ী পদ্ধতি এ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। এবং আপনার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভাল হবে তা ভালোভাবে দেখা করার চেষ্টা করবো। আশা করছি আজকে ভাবছি আমাদের অনেক উপকারে আসবে।
ছেলেদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রধানত দুই রকম হয়ে থাকে। স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। দুই রকম জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধা আছে নিচে আমরা পুরুষের স্থায়ী এবং অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনাদের অবস্থা এমন হয় অল্প সময়ের জন্য জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যদি এমন হয় আপনার কয়েক বছরের জন্য নিশ্চিন্তে
পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকার। এক কনডম ব্যবহার করা এবং দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে বাহিরে বীর্য স্থলন করা। তবে বাইরে বীর্যস্খলন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ নয়। তাই সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও নারীদেরও কিছু অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে যেমন পিল খাওয়া, মাসিকের নির্দিষ্ট সময়ে সহবাস করা ইত্যাদি। যদিও অস্থায়ী পদ্ধতি সাধারণত নারীরাই ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু চাইলে পুরুষরাও অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
দীর্ঘস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
আমরা সাধারণত শুনে এসেছি দীর্ঘস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সাধারণত নারীরা ব্যবহার করেন। তুমি বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে চাইলে পুরুষরাও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পুরুষের দীর্ঘস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন
- ভ্যাসেকটমি
জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন – পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বোদার মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ব্যাপক জনপ্রিয় ইনজেকশন দেয়া হলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পুরুষের হরমোন পরিবর্তন করা হয় যার কারণে ডিম্বাণু কে নিষিদ্ধ করতে সক্ষম হয় না। অর্থাৎ আপনি যদি ছয় মাসের জন্য একটি ইনজেকশন দিয়ে আসেন এই নির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে যৌন মিলন করলে গর্ভধারণ কোন সম্ভাবনা নেই। তবে এই পদ্ধতি নিয়ে অনেকেরই যথেষ্ট সন্দেহ এবং মতভেদ রয়েছে যে এটি সম্পূর্ণ রূপে কাজ করে কিনা।
ভ্যাসেকটমি – ভ্যাসেকটমি হচ্ছে পুরুষের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। যদি কোন দম্পতি সিদ্ধান্ত নেয় তারাই স্থায়ীভাবে সন্তানদের না সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী করতে পারেন। পুরুষের অন্ডকোষ থেকে শুক্রাণু শুক্রাণু বহন করে। ভ্যাসেকটমি অপারেশনের মাধ্যমে পুরুষের শুক্রাণু কেটে ফেলা হয় এক্ষেত্রে অন্ডকোষ থেকে শুক্রানু নির্গত হতে পারে না। তবে ডাক্তাররা বলেন ভ্যাসেকটমি করার ফলে যৌন চাহিদার কোন রকম পরিবর্তন হয়না। অর্থাৎ পুরুষ পূর্বের মতোই সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে যৌন মিলন করতে পারবেন শুধুমাত্র বাচ্চা ধারণ করতে পারবেন না।
তাই কোনো দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিশ্চিত ভাবে আর কোনো সন্ধান চাই না সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী পড়াতে পারে।
নব বিবাহিতদের জন্মনিয়ন্ত্রণ
নববিবাহিতদের জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত হয়নি অনেক সময় নতুন দম্পতি তারা নানারকম সময়ের মধ্যে থাকে। যেমনটা পূর্বে আমরা বলেছি জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন নির্ভর করে আপনি কতদিনের জন্য গর্ভধারণের বিরতি নিতে চান তার ওপর। যদি এমন হয় কয়েক মাসের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চান সে ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা কনডম ব্যবহার করে সাময়িক বিরতি নেয়া যেতে পারে। কিন্তু একযোগে লম্বা সময়ের জন্য বিরতি নিতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই দীর্ঘস্থায়ী কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন।
অবিবাহিতদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ তাদের পরিকল্পনার উপর। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিলে অনেক সহজে ডিসিশন নিতে পারবে।
আরো পড়ুন – জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি বিস্তারিত – ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
ইসলামে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে কি বলে। আপনারা সবাই জানেন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকার স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এরকম জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দু’রকম মতামত দিয়ে থাকে।
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি – স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইসলামে সরাসরি নিষিদ্ধ। স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হচ্ছে ঐ সকল পদ্ধতি যেখানে স্বামী অথবা স্ত্রী যেকোনো একজন তাদের প্রজনন অঙ্গের কোন একটি বিশেষ পদ্ধতিতে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো বাচ্চা না হয়। এই ধরনের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইসলামের সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং হারাম। ইসলাম কখনোই এমন কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুমোদন করে না যেখানে আপনি স্থায়ীভাবে বাচ্চাদের শেয়ার করবেন।
অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি – অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও স্থানে অনুমোদন করে না তবে বিশেষ কিছু শর্তে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইসলাম অনুমোদন করে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক শেষোক্তগুলোকে যেসব সমস্যা থাকলে দম্পতি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন।
- পরপর দুটি বাচ্চার মাঝে গ্যাপ নেয়ার জন্য যাতে করে বাচ্চা লালন পালন ভালোভাবে করা যায়
- মায়ের শরীরে এমন কোন সমস্যা থাকলে যার কারণে এখনই বাচ্চা নিলে সমস্যা হতে পারে
- বাচ্চা লালন পালনে অপারগ হলে সাময়িকভাবে বাচ্চা নেয়া থেকে বিরত থাকা যাবে
তবে বর্তমানে আমাদের দেশে এই সব সমস্যার কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত বেশি বাচ্চা নিলে তাদের ভরণপোষণের সমস্যা হবে এই চিন্তা থেকেই আমাদের দেশের মা-বাবা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন যার ইসলামের সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ইসলামের মতে, একজন মুসলিম হিসেবে আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার আপনি শুধু মাত্র মাত্র। তাই বেশি বাচ্চা হলে লালন পালনে সমস্যা হবে এই চিন্তা থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
উপরে আমরা চেষ্টা করেছি পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, পুরুষের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে। আশা করছি ব্লগে আপনাদের উপকারে এসেছে। ভালো লাগলে আত্মীয়-স্বজনের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ব্লগ শেয়ার করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য ব্লগ পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
আরো পড়ুন – বাচ্চা নেয়ার আগের প্রস্তুতি ও খাবারের তালিকা – গর্ভধারণের সঠিক নিয়ম