ইতালি ভিসা
ইতালি দক্ষিন ইউরোপের একটি উন্নত দেশ। অর্থনৈতিক সামাজিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে নিজের স্থান করে নিয়েছে। আপনারা যারা ইতালি যেতে চান তাদের জন্য আজকের এই ব্লগ। ইতালি ভিসার দাম কত কিংবা ইতালি ভিসা আবেদন এর নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের ব্লগে।
এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন ভিসা ও এর খরচ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যেমনঃ ইতালি ভিসা ধরন, ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ, ইতালি টুরিস্ট ভিসার খরচ, ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা, ইতালির স্পন্সর ভিসা, ইতালিতে সিজনাল, ইতালি কাজের ভিসা এই সবকিছু আজকের ব্লগে কাভার করার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
ইতালি ভিসা ধরন
ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা দেয়া হয়ে থাকে তবে তবে সাধারনত বাংলাদেশীরা মূলত দুই রকম ভিসায় ইতালিতে যায়।
১। সিজনাল বা অস্থায়ী ভিসা
২। নন সিজনাল বা স্থায়ী ভিসা
এখন চলুন দেখে নেয়া যাক একজন বাংলাদেশের নাগরিক হসেবে ইতালি যেতে চাইলে আপনার হাতে কি কি ভিসা পেতে পারেন।
- ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা
- ইতালি ট্যুরিস্ট ভিসা
- ইতালি স্পন্সর ভিসা
- ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা
- ইতালি কাজের ভিসা
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর যেসব ছাত্র বাইরে যায় তার বড় একটি অংশ ইতালি কে তাদের প্রধান পছন্দ রাখেন। আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়, মানসম্মত ক্যারিকুলাম ও স্বল্প টিউশন ফি এর জন্য ইতালি সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হোন আর ইতালিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার হাতে কি কি অপশন আছে আর খরচ কত পড়বে।
সাধারন স্টুডেন্ট ভিসাঃ সাধারন স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যেতে হলে স্টুডেন্ট এর বয়স কমপক্ষে সাত বছির হতে হবে। আর ভিসা পাওয়ার পুর্বে আপনাকে ইতালির কোন একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেতে হবে। আর্থাৎ কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেলেই কেবল আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া এই ভিসায় আবেদনের জন্য ব্যাংজ সলভেন্সি বা স্বাস্থ্য বীমা থাকা আবশক। সাধারন স্টুডেন্ট ভিসায়্র আবেদনে আপনার মোট খরচ হবে ৩২০০০ থেকে ৩৫০০০ টাকা।
স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসাঃ এধননের ভিসার ক্ষেত্রেও নিয়ম কিছুটা সাধারন স্টুডেন্ট ভিসার মত ই। তবে এই ধরনের ভিসা পেতে হলে পূর্বেই স্টুডেন্ট এর পরিবারের কেউ ইতালিতে থাকতে হবে। আর স্টুডেন্ট এর বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে ৩০০০০ হাজার থেকে ৩৫০০০ টাকা খরচ হবে।
স্পেশাল স্টুডেন্ট ভিসাঃ এধরনের ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবারের সদস্য ইতালির স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এধরনের ভিসার নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ থাকে না। স্পেশাল স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনে কোন অতিরিক্ত খরচ হয় না।
ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা
আপনারা যারা ইতালিতে এগ্রিকালচার ভিসায় যেতে চান তাদের জনয সুখবর। প্রায় ১৮ বছর পর ইতালি সরকার বাংলাদেশীদের জন্য আবার এগ্রিকালচার ভিসা খুলে দিয়েছেন। বর্তমানে মুলত দুই ধরনের এগ্রিকালচার ভিসা দেয়া হয়ে থাকে।
১। সল্প মেয়াদি – ১৬০ ইউরো ( বাংলাদেশী ১৬০০০ টাকা)
২। স্পন্সর ভিসা – ২৩০ ইউরো (বাংলাদেশী ২৩০০০ টাকা)
উপরে বর্নিত খরচের সাথে আরো ১০০০ ইউরো (বাংলাদেশী ১লাখ টাকা) সহ আবেদন করতে হবে। এই আবেদনের টাকা অফেরতযোগ্য। আপনার ভিসা না হলে আবেদনের কোন টাকা ইতালির সরকার ফেরত দিবে না।
ইতালি স্পন্সর ভিসা
আপনারা অনেকি স্পন্সর ভিসায় ইতালি যেতে চান। কোন ঝুকি নেয়া ছাড়া ইতালিতে ভিসা পাওয়ার নাম ই স্পন্সর ভিসা। গত ২৭ জানুয়ারি দেশটি সবার জন্য স্পন্সর ভিসা উন্মুক্ত করেছে। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ৩২ দেশ থেকে স্থায়ী স্পন্স্র ভিসায় প্রায় ১৭ হাজার নিবে। ও সিজনাল স্পন্সর ভিসায় প্রায় ৪২ হাজার নাগরিক দিবে। তাই যার স্পন্সর ভিসায় ভাইরে যেতে চান তাদের জন্য সুসংবাদ।
ইতালি কাজের ভিসা
বর্তমানে যারা ইতালিতে কাজের জন্য যেতে চান তাদের জন্য সুখবর। ইতালিতে কাজের জন্য যাওয়া এখন পূর্বের যেকন সময়ের তুলনায় সহজ। ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মূল উদ্দেশ্য ই হলো কাজের জন্য যেনো সহজেই ইতালি যেতে পারে। তবে এই ভিসা পেতে হলে সংসশ্লিষ্ট বিষিয়ে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
- মালেশিয়া ভিসা প্রোসেসিং ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2022
- ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা 2022
- থানকুনি পাতার উপকারিতা অপকারিতা