আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
মাতৃত্ব নারী জীবনে সুন্দর একটি সময়। গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা নিয়ে জানার কৌতুহল মা বাবা সহ পরিবারের সবারই কৌতুহল থাকে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যম ছাড়া গর্ভে সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানা প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে আল্ট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তাই স্পষ্ট জানা যায়। আজকাল অনেকেই জানতে চায় আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় আছে কিনা।
কেননা ডাক্তাররা অনেক সময় জন্মের পূর্বে লিঙ্গ প্রকাশ করতে চায় না। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্যই। আজকে আমরা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।
আল্টাসনোগ্রাম কি?
আল্টাসনোগ্রাম বা আল্ট্রা সাউন্ড হল এমন একটি শব্দ তরঙ্গ ভিত্তিক ইমেজিং মেডিকেল চেকআপ যার মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ টিস্যু বা অন্যান্য কাঠামোর অবস্থানের ছবি তৈরি করা হয়। ইংল্যান্ডের স্কটিশ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডক্টর টেসন লেন ডোনালড এই আল্ট্রাসনোগ্রাম আবিষ্কার করেন।
দেহের অভ্যন্তরী স্ক্যানিং করার জন্যই হাই ফ্রিকোয়েন্সি বা উল্টা ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড ওয়ে ব্যবহার করা হয়। মূলত এ কারণেই একে আল্টাসনোগ্রাম বলা হয়। আলট্রাসনোগ্রাম এর আরো অনেকগুলো নাম রয়েছে যেমন আল্টাসনোগ্রাফি সোনোগ্রাফি বা আল্ট্রা সাউন্ড ও বলা হয়ে থাকে।
আলট্রাসনোগ্রাম করার সঠিক সময়
সাধারণত আলট্রাসনোগ্রাম নানা রকম রোগ নির্ণয় এবং গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থার অবস্থা জানার জন্য একটি সুরক্ষিত মেডিকেল চেকআপ হলেও আলট্রাসনোগ্রাম করতে সঠিক সময় বিবেচনায় রাখতে হয়। সাধারণত প্রেগনেন্সি কালীন সময় ২২ সপ্তাহ অতিক্রম করার পর দুইটি আলট্রাসনোগ্রাম করে বাচ্চা জেন্ডার জানা যায়।
তবে বর্তমানে ডাক্তাররা প্রেগনেন্সির শুরু থেকে আন্টাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে মায়েদেরকে চেকআপ নিশ্চিত করে থাকেন। গর্ভাবস্থায় ত্রিশ সপ্তাহের মত হলে প্রায় নিশ্চিতভাবে সন্তানের জেন্ডার বুঝা যায়। তাছাড়া থ্রিডি আলট্রাসনোগ্রাফিতে আরো ফলাফল স্পষ্ট দেখা যায়।
আল্টাসনোগ্রাম বিস্তারিত রিপোর্ট
আলট্রাসনোগ্রাম প্রেগনেন্সি রিপোর্ট আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের মাধ্যমে হাই ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তরঙ্গদ দ্বারা গর্ভবতী মায়েদের চেকআপ করার একটি রিপোর্ট প্রদান করা হয়। এই রিপোর্টে গর্ভের সন্তান সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য উল্লেখিত থাকে। এ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হল-
Fetal number- গর্ভের ভ্রুন সংখ্যা নির্দেশ করা হয় অর্থাৎ সন্তানের সংখ্যা এক থাকলে 1/ সিঙ্গেল এবং যমজ হলে 2 বা ডাবল উল্লেখিত থাকে।
Fetal position- গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের অবস্থা অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার বিভিন্ন রকম থাকতে পারে পা নিচের দিকে বা মাথা নিচের দিকে বা আড়াআড়ি অবস্থায় সেসব পজিশান উল্লেখ করা থাকে।
Fetal heart rate- তারা প্রতি মিনিটে ভ্রুনের রিলিটি স্পন্দের হার বুঝানো যায় হয়। যদিও অনেক সময় এই ফেটাল হার্টের দেখে অনেকে বলে থাকেন ১৪৬ এর নিচে হলে পুত্র সন্তান এবং ১৪৬ এর উপর হলে কন্যা সন্তান হয়। তবে তা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় প্রমাণিত হয়নি মানুষের ধারণা মাত্র।
Amniotic fluid index- এ দারা গর্ভের তরল সূচক নির্দেশ করা হয়। যেখানে গর্ভের ভ্রূণের ভাসমান অবস্থায় থাকে এমনি সূচক ৫ সেন্টিমিটার থেকে ২৫ সেন্টিমিটার মধ্যবর্তী হওয়া স্বাভাবিক। ৫ এর কম হলে অলিগো ভাই ড্রাম নিয়েও এবং ২৫ এর বেশি হলে পলি হাইড্রা মনেও সমস্যা হয়।
Placenta- প্লাসেন্টা গর্ভাবস্থায় জড়াইতে বিকাশ লাভ করা একটি অঙ্গ। এটি ক্রমবর্ধমান শিশুকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি প্রদান করে যেটাকে গর্ভফুল বলা হয়ে থাকে। শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় এবং একটি জরায়ু প্রাচীরের সাথে সংযুক্ত হয় এবং এটি থেকে শিশুর নাভির উদ্ভব হয়।
Fetal anatomic survey- ভ্রুনের হাট ভেসেল কিডনি পাকস্থলী স্পাইন এগুলো তৈরি হয়েছে কিনা এবং এদের অবস্থা উল্লেখিত থাকে এবং এর দ্বারা আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় নেই।
GA Gestational Age- গর্ভাবস্থায় কতটা দীর্ঘ তা জানায়। এ ক্ষেত্রে গর্ভধারণকারীর শেষ মাসের চক্রের প্রথম দিন থেকে বর্তমান তারিখ পর্যন্ত হিসাব করে সপ্তাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
BPD biparietal Diameter- ভ্রূণের পরিমাপের একটি প্যারামিটার এটি ভ্রূণের ব্যাস নির্দেশ করে।
HC head সার্কমফারেন্স- ভ্রুনের মাথার পরিধি কতটুকু তা নির্দেশ করে।
AC abdominal circumference- ভ্রূণের পেটের পরিধি প্রকাশ করে
FL Femur Length- ভ্রূণের দৈর্ঘ্য কতটুকু তা জানায় এ সকল তথ্যগুলো একটি আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট অবশ্যই উল্লেখিত থাকে।
sex- বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছেলে না মেয়ে রিপোর্টে তা উল্লেখ করার জন্য স্পেসিফিক কিছু চিহ্ন থাকতে পারে। যেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় এবং শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় অনেক সময় জানা যায় না। এ অবস্থায় গর্ভাবস্থায় ভ্রুন আলট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে ছেলে না মেয়ে তা বোঝার উপায় থাকে না। টেকনোলজির এই যুগেও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত ১০০ ভাগ নিশ্চিত হওয়া কোনো মাধ্যম নেই। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রেগনেন্সি রিপোর্টে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়বস্তু বিবেচনা করে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বুঝা যায়। যেমন-
গর্ভবতী মায়ের রক্তের চাপ- চিনের লুইয়া অংশ হলে ৭ বছর ধরে মহিলাদের উপর গবেষণা করে জানা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝায় সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল মায়ের রক্তচাপ। গর্ভ অবস্থায় রক্তচাপ কম থাকলে অর্থাৎ ১৪০ এর কম হলে মেয়ে সন্তান এবং রক্তচাপ বেশি থাকলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ভ্রুনের হার্টবিট- ভ্রুনের হাট ভিট গর্ভের ভ্রম বা বাচ্চার হার্টবিট রেট ১৪০ স্পন্দের বেশি হলে মেয়ে এবং এর কম হলে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
রিপোর্টের চিহ্ন- আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট বেশ কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে এ সকল চিহ্নে নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে। যা বাচ্চার লিঙ্গ প্রকাশ করে। যেমন- প্রেগনেন্সি রিপোর্টে ডেসক্রিপশনে জেন্ডার মেল বা জেন্ডার বয় উল্লেখিত থাকে। তবে কিছু কিছু আল্টাসনোগ্রাম মেশিনের রিপোর্টের নিচের অংশে একটি বৃত্তের সাথে যুক্ত চিহ্ন থাকে যার জেন্ডার ছেলে নির্দেশ করে।
আবার প্রেগনেন্সি রিপোর্টে ডেসক্রিপশন এ জেন্ডার ফিমেইল বা জেন্ডার গার্ল উল্লেখ থাকলে মেয়ে বোঝায়। আল্টাসনোগ্রা মেশিনের রিপোর্টের নিচের অংশে একটি বৃত্তের সাথে জো্গ চিহ্ন যুক্ত থাকে যার জেন্ডার মেয়ে নির্দেশ করে এ ধরনের চিহ্ন থাকলে আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
আল্ট্রাসাউন্ডে বাচ্চার জেন্ডার বুঝতে না পারার কারণ
গর্ভাবস্থার সময় আলট্রাসনোগ্রাম চেকআপ করানো হলে বেশ কয়েকটি কারণে বাচ্চার জেন্ডার অনেক সময় সপষ্ট হয় না। সেগুলো হলো-
- গর্ভবতীর মায়ের পেটে অতিমাত্রায় ফ্যাট বা চর্বি থাকলে
- ২২ সপ্তাহের পূর্বে আল্ট্রা সাউন্ড করানো হলে
- জরায়ুতে এমনি ট্রিক্স ফ্লুইড এর পরিমাণ কম থাকলে
- অনেক সময় ক্লিয়ার ফুটেজ আসে না
- আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন ব্যবহার করা হলে
- থ্রিডি তুলনায় ২ ডি কম স্পষ্ট হয়
- অনেক সময় বাচ্চা দুই পা চেপে রাখলে অথবা সে স্থানে নাড় বেধে থাকলে সে কারণে ও বাচ্চার জেন্ডার অনেক সময় বোঝা যায় না
- বাচ্চার অবস্থান বা বাচ্চা উল্টো হয়ে থাকলেও অনেক সময় বাচ্চার জেন্ডার বুঝা যায় না
আলট্রাসনোগ্রামে জেন্ডার বুঝতে না পারলে করণীয়
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট স্পষ্ট বুঝতে না পারলে গর্ভাবস্থার ৩০ সপ্তাহ পার হওয়ার পর চেকআপ করাতে হবে। তবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বুঝার জন্য বারবার আর কখনোই করা উচিত নয়।এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখেও সন্তানের লিঙ্গ ধারণা করা যায়। যেমন- ছেলে সন্তান হলে সকালে হালকা বমি বমি ভাব বা অন্য সমস্যা হয় না। মেয়ে সন্তান হলে সকালে পেটে ব্যথা ও শারীরিক অসুস্থতা অনুভূত হয়।
পেট বেশি ভারী মনে হলে মেয়ে এবং হালকা অনুভূত হলে ছেলে হতে পারে। শিশুর অবস্থান পেটের ডান দিকে মনে হলে মেয়ে এবং বাম দিকে বা সমস্ত পেট জুড়ে মনে হলে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এসবের কোন বিজ্ঞানসম্মত মতামত নেই এগুলো বেশিরভাগ মানুষের উপর গবেষণা করে ধারণা করে থাকে।
আল্ট্রাসনোগ্রাম খরচ
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে বড় বড় হসপিটালেও আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো যায়। তবে সাদাকালো আলট্রাসনোগ্রাম করতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং কালার আলট্রাসনোগ্রাম করতে এক হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভেদে টাকা কম বা বেশি লাগতে পারে। বিশেষ করে প্রাইভেট হসপিটাল ইবনে সিনা ল্যাবএইডসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে করতে খরচ বেশি হয়ে থাকে।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে জানার ঘরোয়া উপায়
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় না জানা থাকলে ঘরোয়া ভাবে ও জানা যায়। বর্তমান সময়ে আল্টাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ছেলে না মেয়ে তা জানা গেলেও একসময় পে্টে থাকা সন্তানের লিংগ জানার জন্য অনেকে বিভিন্ন উপায় বের করে জানতেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ঘরোয়া উপায় গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো-
উকুন ও গর্ভবতীর বুকের দুধ- গর্ভবতী মহিলার কয়েক ফোটা দুধ একটি উকুনের উপর দিয়ে দিলে যদিও কোন দুধের মাঝখান থেকে বের হয়ে আসে তাহলে তা মেয়ে সন্তান। আর যদি উকুন সেই দুধ হতে বের হতে না পারে তাহলে তার ছেলে সন্তান।
লবণ ও প্রস্রাব দিয়ে ভ্রুনের লিঙ্গ পরীক্ষা- সফল পরীক্ষা গুলোর মধ্যে অন্যতম এই পদ্ধতিতে সাধারণত জানা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। অষ্টম সপ্তাহে শুরু থেকে ই উপায় ব্যবহার করতে হয়।
একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের কাপ নিতে হবে। কাপে এক চা চামচ লবণ নিতে হবে তারপর গর্ভবতীর প্রস্রাব নিতে হবে যা ঘুম থেকে ওঠার পর সকালে প্রথম প্রস্রাব হয়। তারপর তার থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এবং রং পরিবর্তন করতে হবে। যদি কাপের উপরিভাগে বুদবুদ একটি লিয়ার তৈরি হয় তাহলে গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে। আর যদি কাপের প্রস্রাবে কোন পরিবর্তন না আসে তাহলে গর্ভে কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরো পড়ুন – আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে
গর্ভে মেয়ে সন্তান থাকলে গর্ভবতীর লক্ষণ
- গর্ভবতী মায়ের চেহারা পরিষ্কার হয়
- অনেকের বুকের বামে লাল রেখা দেখা দেয়
- মায়েদের স্তন মোটা হয়
- স্তনের বোটার রং কালো বর্ণের হয়
- বেশি বেশি ভালো খাবার খেতে ইচ্ছা জাগে
- চলার সময় ডানদিকের পা আগে ফেলে
- বসার সময় ডান হাতে ঠেস দিয়ে বসে
- প্রথমে বাম চোখে পলক দেয়
- চার মাস পরে সন্তান পেটে নড়াচড়া করতে থাকে
- এবং খুব বেশি ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে
গর্ভের সন্তান ছেলে হলে মায়েদের লক্ষণ
- ভালো খাবার খেতে ইচ্ছে করেনা
- শরীর দুর্বল ও অবশ হয়ে আসে
- কোন প্রকার আনন্দ থাকে না
- শারীরিক দুর্বলতার কারণে সাংসারিক কাজকর্ম করতে পারে না
- ক্রমেই চেহারা বিকৃত হয়ে যায়
- স্তনের বোটা নরম লাল বর্ণ আকার ধারণ করে
- পাঁচ মাস থেকে গর্ভে সন্তান নড়াচড়া করতে থাকে
আল্টাসনোগ্রাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
গর্ভাবস্থার আলসনোগ্রাম করা কি ক্ষতিকর?
উত্তর- না। গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রামের কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থ রোশনি থাকে না যা গর্ভে শিশুর ক্ষতি করে। আল্টাসনোগ্রাম একটি শুধুমাত্র অতি উচ্চ কম্পন সম্পন্ন শব্দ তরঙ্গ। যা আমাদের সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার বাইরে।
আল্টাসনোগ্রাম কতবার করা যায়?
আল্ট্রাসনোগ্রাম গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি করে না তাই যতবার ইচ্ছে করা যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে তিনবার আলট্রাসনোগ্রাম করানোর সবচেয়ে ভালো সময় ৩৮ তম সপ্তাহে। গর্ভের ভ্রুন সম্পর্ক জানতে এবং ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহে ও শিশুর লিঙ্গ সম্পর্কে জানতে এবং ৩০ থেকে ৩৮ সপ্তাহে শিশুর দৈহিক উন্নতি সম্পর্কে জানতে আলট্রাসনোগ্রাম করা উচিত।
আরো পড়ুন – ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে ২০২৩
মন্তব্য
আজকে আমরা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এ সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। একটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রতিদিনের আপডেট নিউজ পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন –
- গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন, মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন
- ১ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
- ইক্যাপ ৪০০ এর উপকারিতা ও অপকারিতা