সুইডেন জব সিকার ভিসা
হ্যালো বন্ধুরা। যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় পৃথীবির সবচেয়ে সুখি ও বসবাসের জন্য উপযোগী দেশ কোনটি তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে উত্তর দিবেন সুইডেন। শুধু আপনি না বৈশ্বিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত পৃথিবীর বসবাসের উপযোগী সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সুইডেন। ইতঃপূর্বে বাইরের দেশের কেউ সুইডেন কাজ করতে যেতে চাইলে সেক্ষেত্রে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া লাগতো। অর্থাৎ আপনি বাংলাদেশে বসেই আগে সুইডেনে কাজ খুজে নেয়া লাগতো। তারপর কোম্পানি ভিসা দিলে আপনি সুইডেন যেতে পারতেন তবে সম্প্রতি সুইডেন পার্লামেন্টে নতুন বিল পাশ হয়েছে। এখন চাকরি ছাড়াই সুইডেন যাওয়ার ও স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পাবে বিশ্বের যেকোন দেশের মানুষ।
অর্থাৎ সুইডেনে কাজ করতে চাইলে আপনাকে ৯ মাসের সুইডেন জব সিকার ভিসা দিবে সেদেশে চাকরি খোজার জন্য। এই ৯ মাসে যদি আপনি চাকরি পেয়ে যান তাহলে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে স্থায়ীভাবে সুইডেন থেকে যেতে পারবেন। এছাড়াও পরবর্তীতে আপনার পরিবারকেও সাথে নিয়ে যেতে পারবেন। আজকে আমরা কিভাবে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ভিসায় গিয়ে স্থায়ীভাবে সুইডেন থাকার ব্যবস্থা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সুইডেন কেমন দেশ?
যেহেতু আমরা সুইডেন চাকরি করার কথা বলছি তাই আপনাকে আগে জানতে হবে সুইডেন কেমন দেশ। সুইডেন ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ও নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এর প্রতিবেশি একটি দেশ। আয়তনের দিক থেকে সুইডেন ইউরোপের ৩য় বৃহত্তম দেশ যার আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। উনবিংশ শতাব্দি থেকে এখন পর্যন্ত সুইডেন কোন প্রকার যুদ্ধে জড়ায়নি তাই সুইডেনকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ন দেশ গুলোর মধ্যে একটি বিবেচনা করা হয়।
রাজধানীর নাম স্টকহোম এবং সুয়ডীয় হচ্ছ জাতীয় ভাষা। তবে যেহেতু ইউরোপের দেশ তাই প্রশাসনীক কাজ হয়্য ইংরেজিতে এবং। এছাড়ও সুইডেনে মানুষের মাথাপিছু আয় হচ্ছে ৫৭,২৯৭ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক অনেক বেশি এবং বেকারের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
সুইডেন জব সিকার ভিসা কি
ইতঃপূর্বে সুইডেন যেতে হলে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অথবা সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া লাগতো কিন্তু সপ্রপ্তি সুইডেন সরকার তাদের দেশে দক্ষ কর্ম সংস্থান নিয়োগ করতে বিশেষ এক ঘোষনা দিয়েছে। বর্তমানে জব অফার ছাড়াই সুইডেনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে এক বিশেষ ধরনের ভিসা দেয়া হবে। এই ভিসার নাম সুইডেন জব সিকার ভিসা।
এই ভিসার আন্ডারে বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে সুইডেন যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ৯ মাস সময় পাবেন চাকরি খুজে নেয়ার জন্য। যদি আপনি ৯ মাসের মধ্যে চাকরি ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আন্ডারে স্থায়ীভাবে সেদেশে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
আর যদি যদি এই ৯ মাসে কাজ যোগাড় করতে না পারেন সেক্ষেত্রে কোন জরিমানা ছাড়া ই নিজ দেশে আবার ফেতর পাঠানো হবে। সুইডিশ সরকার এই পদক্ষেপ মূলত দক্ষ জনবল নিয়োগের জন্য নিয়েছে। তবে সুইডেন জব সিকার ভিসা নিতে হলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরন করতে হবে যা আমরা নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করবো।
সুইডেন জব সিকার ভিসা কারা পাবেন
উপরে আমরা দেখেছি কিভাবে জব অফার ছাড়াই সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেয়ার সুযোগ দিবে সুইডিশ সরকার। কিন্তু এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে সবাই এই ভিসা পাবে কি না। উত্তর হচ্ছে ” না” সবাই এই ভিসা পাবে না। যেহেতু সুইডিশ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথীবির সব প্রান্ত থেকে দক্ষ জনবল সুইডেনে নিয়ে আসা তাই আপনাকে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এক্ষেত্রে সুইডেন সরকার কিছু ক্যাটাগরি ঠিক করে দিয়েছেন কারা কারা এই ভিসা পাবেন।
এ ক্যাটাগরি (A Category) – এই ক্যাটাগরিরি আন্ডারে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লয়ার, আর্কিটেকচার সহ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের ভিসা দেয়া হবে। অর্থাৎ কোন স্বিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো সাব্জেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করা ও বাংলাদেশে জব করার অভিজ্ঞতা থাকলে এই ক্যাটাগরিতে আপনাকে ভিসা দেয়া হবে।
বি ক্যাটাগরি (B Category) – এই ক্যাটাগরিতে মূলত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয় বরং বর্তমানে উল্লেখযোগ্য ও আইটি সেক্টরে দক্ষ ব্যক্তিদের ভিসা দেয়া হবে। যেমন নার্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডিজাইনার, ডিজিটাল মার্কেটার এই ধরনের ট্রেন্ডিং বিষয়ে দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভিসা দেয়া হবে।
সি ক্যাটাগরি (C Category) – এই ক্যাটাগরিতে ভারি যানবাহন চালানোর দক্ষতা আছে এমন কর্মীদের ভিসা দেয়া হবে। যেমন ৮ চাকা, ১৬ চাকার ওয়েট লিফটার গাড়ি চালানোর দক্ষতা আছে এমন ব্যক্তিদের ভিসা দিবে সুইডেন সরকার। এছাড়াও ইন্ডাস্ট্রিতে ভারি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন লোকবল এই ভিসার আন্ডারে সুইডেন যেতে পারবেন।
সুইডেন জব সিকার ভিসা কি কি লাগবে
উপরে আমরা সুইডেন জব সিকার ভিসা কি এবং কারা এই ভিসা পাবেন সে ব্যাপারে আলোচনা করেছিলাম। এখন আমরা দেখবো সুইডেন জব সিকার ভিসা কি কি ডিকুমেন্টস লাগবে।
- নূন্যতম ৬ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট লাগবে
- ৩ কপি ল্যাব প্রিন্ট রঙিন ছবি লাগবে এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হবে হবে।
- নূন্যতম মাস্টার্স বা সমমান পাশ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- যে ক্যাটাগরিতে কাজ করতে যাবেন সে কাজের কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- সুইডিশ ফরম্যাটে একটি ভালো মানের সিভি/ বায়োডাটা তৈরি করতে হবে।
- আপনি কেন সুইডেনে কাজ করতে চান এবং আপনার কর্ম দক্ষতার কি সে ব্যাপারে অ্যাপ্লিকেশন বা কাভার লেটার লিখতে হবে।
- সুইডেনে চাকরি পাওয়ার আগে পর্যন্ত নিজের খরচ চালানোর মত টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে তা দেখাতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হবে।
- ৯ মাসের মেডিকেল ইন্সুরেন্স করতে হবে। যা আনুমানিক ৪ হাজার টাকার মত।
- বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফর্ম দেখাতে হবে
- দুই পৃষ্ঠার সেঞ্জেন এপ্লিকেশন ফর্ম ফর্ম পূরন করতে হবে। অনলাইনে সেঞ্জেন এপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
- আবেদন ফি বাবদ ৭৫ ইউরো বা ৮ হাজার টাকার মত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
সুইডেন জব সিকার ভিসা আবেদনের নিয়ম
সুইডেন জব সিকের ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা আমরা উপরে আলোচনা করার চেষ্টা করেছে। এখন আমরা দেখব কিভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে এই ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
ধাপ ১ – যেহেতু আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করেছেন তাই আমরা ধরে নিয়েছি আপনার মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট হয়েছে। কারণ ন্যূনতম মাস্টার্স পাস এর সার্টিফিকেট থাকলে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। এবং একই সাথে আপনিও যে প্রফেশনে কাজ করতে চান সেই বিষয়ে আপনার কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা ছাড়া এই ভিসায় সুইডেন যেতে পারবেন না।
ধাপ ২ – আপনার যদি মাস্টার্স পাস সার্টিফিকেট এবং 5 বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। প্রথমে পাসপোর্ট, রঙিন ছবি, অ্যাক্যাডেমিক সার্টিফিকেট এবং পূর্বে যে কোম্পানিতে চাকরি করেছেন তা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করুন।
ধাপ ৩ – এ পর্যায়ে নিজের ভালো একটা সিভি তৈরি করুন। অনলাইনে সার্চ করলে কিভাবে সিভি তৈরি করতে হয় তার অনেক টিপস পেয়ে যাবেন। কেননা আবেদন করার পর প্রথমে আপনাকে দেখবে না আপনার সিভি দেখবে। তাই প্রথমেই প্রফেশনাল সিভি তৈরি করার চেষ্টা করুন।
ধাপ ৪ – এবার আপনাকে একদিন কাভার লেটার লিখতে হবে। কাভার লেটারে সুইডিশ ফরমেটে হলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে সুইডিশ ফরমেটে লিখতে না পারলে নিজের মতো করে লিখতে পারেন। কাভার লেটার হচ্ছে আপনি কেন বর্তমান চাকরি ছেড়ে সুইডেনে যেতে চান এবং আপনার কর্মদক্ষতা কি এই ব্যাপারে ছোট করে একটি আবেদন ফরম।
ধাপ ৫ – সুইডেন যেহেতু সেঞ্জেন এর অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে সেনজেন আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এটি তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। অনলাইনে দুই পৃষ্ঠার একটি আবেদন ফরম পাওয়া যায় তা পূরণ করলেই হয়ে যাবে। অনলাইন থেকে সেনজেন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬ – এ পর্যায়ে আবেদন ফি হিসেবে 75 ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার পর যে রশিদ প্রদান করবে তা সংরক্ষণ করবেন।
সর্বশেষ ধাপ – উপরের সবগুলো তারা সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনি যে দেশ থেকে চলে যেতে চাচ্ছে দেশে সুইডেন এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। বাংলাদেশের সুইডেন এম্বাসি রয়েছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই সবগুলো ডকুমেন্ট নিয়ে যেকোন সময়ের সুইডেন এম্বাসি তে জমা দিয়ে আসতে পারেন। আপনারা সবাই ঠিক থাকবে যাচাই-বাছাই করে আপনাকে ফোন দিবে।
আরো পড়ুন – কাতার থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম, কাতার টু পোল্যান্ড কাজের ভিসা
সুইডেন জব সিকার ভিসা খরচ
উপরে আমরা সুইডেন জব সিকার ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। এখন আমরা দেখবো এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার খরচ কেমন হবে। সত্যি বলতে এই ভিসা নেয়ার আগ পর্যন্ত তেমন কোন খরচ নেই। যেহেতু আপনাকে চাকরি খোঁজার জন্য সে দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাই বিমান ভাড়া ব্যতীত তেমন কোনো খরচ করতে হবে না। তারপর ও কিছু খরচ আছে যা আমরা নিচে লিস্ট আকারে দেয়ার চেষ্টা করছি
- আবেদন ফি বাবদ খরচ হবে ৭৫ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় ৮ হাজার টাকার মত।
- ৯ মাসের মেডিকেল ইন্সুরেন্স করতে হবে যা বাংলাদেশী টাকায় ৪ হাজার টাকার মত।
- সেদেশে গিয়ে চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের খরচ চালানোর মত টাকা ব্যাংকে জমা আছে তা দেখাতে হবে। যা বাংলাদেশী টাকায় ১০ লক্ষ টাকার মত।
- এবং সর্বশেষ বিমান ভাড়া যত টাকা লাগে। এর বাইরে কোন অতিরিক্ত খরচ নেই।
সুইডেন জব সিকার ভিসা সুবিধা অসুবিধা
প্রত্যেক ভিসার ই কিছু সুবিধা অসুবিধা থাকে এই ভিসা ও এর ব্যাতিক্রম নয়। নিচে আমরা সুইডেন জব সিকের ভিসা সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
সুবিধা – এই বিশেষ সুবিধা হল আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনি সহজে ছেড়ে চলে যেতে পারবেন। প্রথম ৯ মাসের মধ্যে যদি আপনি চাকরি ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সুইডেনে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সাধারণত সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২ বছরের জন্য দেয়া হয়। প্রতি দুই বছর পরপর আপনার চাকরি অবস্থার উপর নির্ভর করে ভিসা রিনিউ করতে পারবেন।
সর্বোপরি আপনি সুবিধার মাধ্যমে গিয়ে সে দেশের স্থায়ী হওয়ার বড় একটি সুযোগ রয়েছে এবং আপনি চাইলে পরবর্তীতে আপনার পরিবারকেও নিয়ে যেতে পারবেন।। আর যেহেতু এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তাই আশা করা যায় আপনি সে দেশে গিয়ে খুব সহজে চাকরি পেয়ে যাবেন।
অসুবিধা – এই ভিসার তেমন কোন অসুবিধা নেই কারন আপনার কাজ জানা থাকলে সেদেশে খুব সহজেই কোন একটি চাকরি পেয়ে যাবেন। তবে কোন কারনে ৯ মাসের মধ্যে চাকরি ব্যবস্থা করতে না পারলে আপনাকে দেশে চলে আসতে হবে। এছাড়াও সুইডেন যাওয়ার আগে ব্যাংকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হয় যা অনেকের জন্য সম্ভব নয়। এর বাইরে তেমন কোন অসুবিধা নেই। কারন অভিজ্ঞতা থাকলে সেদেশ চাকরি পাওয়া অনেক সহজ।
আরো পড়ুন – আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২২ । আয়ারল্যান্ড জব ভিসা আবেদন ও বেতন
সুইডেন ভিসা ক্যাটাগরি
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সুইডেনে বিভিন্ন ভিসায় লোক নিয়োগ হয়ে থাকে। নিচে আমরা সিডেন ভিসা ক্যাটাগরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো
- সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- ফ্যামিলি ভিসা
- সুইডেন জব সিকার ভিসা
সুইডেন জব সিকার ভিসা বিস্তারিত
সর্বশেষ আমরা বলতে চাই যদি কারো স্বপ্ন থাকে ইউরোপের কোন একটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার এবং পরবর্তীতে পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার তাহলে এরচেয়ে ভালো আর কোন সুযোগ আসবে বলে মনে হয় না। উপরে আমরা সুইডেন জব সিকার ভিসা আবেদনের নিয়ম, যোগ্যতা ও খরচ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনার যদি এই দক্ষতা থাকে আর যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে দেরি না করে এখন ই সুইডেন জব সিকার ভিসা আবেদন করে ফেলতে পারেন।
কেমন এমন সুযোগ আর আসবে কি না কে জানে। আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপ্লে দেয়ার চেষ্টা করবো। আশা করছি ব্লগটি কিছুটা হলেও আপনাদের উপকারে এসেছে। ধন্যবাদ
আরো পড়ুন –
- মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা 2023 । মরিশাস ভিসার দাম কত । মরিশাস কাজের ভেতন কত
- সুইডেন জব সিকার ভিসা নতুন আপডেট
ভাই
আপনার অনেক মূল্যবান লেখার জন্য ধন্যবাদ । কিন্তু একটা বিষয় ক্লিয়ার না, সেটা হলো যে , কোনো বিশেষ কাজের ওপর সুদক্ষ ও সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকলেও কি একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হবে??? আমার এক কাজিনের ১০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু পড়াশোনা করেনি, সে আবেদন করতে পারবে???
এ ক্যাটাগরিতে ভিসার আবেদন করলে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট লাগবে। তবে বি অথবা সি ক্যাটাগরিতে অভিজ্ঞতা প্রমান করতে পারলে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট না দেখালেও চলবে।
Hello Sir,
I have completed my MBA from National University of Bangladesh.I have 6 year job experience as a Accounts officer.Can I apply in sweden for job seeker visa.
I will wait for your reply.
Thank you
হ্যালো সাইফুর রহমান। জ্বি, আপনি অবশ্যই চাইলে আবেদন করতে পারেন।
honours pass kore apply korle hobe na??
জ্বি হবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু সাব্জেক্ট এর উপর এই ভিসা দিয়ে থাকে।
আমি মার্কেটিং MBA করে একটি প্রতিষ্ঠানে সেলস মার্কেটিং পদে ৭ বছর ধরে কর্মরত আছি আমি কি আবেদন করলে ভিসা পাবে, পাশাপাশি আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করি।
আমরা শুধুমাত্র বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করে থাকি, ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে হেল্প করা পসিবল না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হচ্ছে আপনি চাইলেই খুব সহজে এই ভিসা নিতে পারবেন। এই ভিসা মূলত আপনার মত অভিজ্ঞ লোকদের জন্য ই।
আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। আমি কি সুইডেনের কোন ভিসার আবেদন করতে পারি।।
না। তবে জব সিকার ভিসা ছাড়া অন্য ভিসা ট্রাই করতে পারেন
সুইডেনের জব সিকার ভিসা ছাড়া অন্যান্য ভিসার জন্য আবেদনের ঠিকানা বা পদ্ধতি সম্পর্কে কোন পরামর্শ দেবেন প্লিজ।।।।
সুইডেনে জব পারমিট পাওয়ার পর আমি কি পরিবারের জন্য আবেদন করতে পারবো?যদি ২ বছরের জব পারমিট দেয়া হয় তবে কি দেশে আসা যাবে?
আমি BBA করেছি ম্যানেজমেন্টে
আর অভিজ্ঞতা বলতে একটা কোম্পানিতে কয়েকবছর প্রধান হিসাবরক্ষক ও অন্য কোম্পানিতে ৫/৬ বছর সেলস এণ্ড মার্কেটিং এর জব করেছি।
আমি কি জব পেতে পারি?
অবশ্যই পাবেন স্যার। বর্তমানে মার্কেটিং সেক্টরে অভিজ্ঞদের ভালো চাহিদা রয়েছে। আপনি ট্রাই করতে পারেন।