পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরি বাইরের খাবারের প্রতি ঝোক দেখা যায়। যার ফলে বেশিরভাগ মানুষেরই পেটের সমস্যায় ভুগতে হয়। পেটে নানাবিধ সমস্যার মধ্যে পেটে গ্যাস হওয়া অন্যতম। তাই প্রতিটি মানুষকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি সবার অনেক ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন – গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা
পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। তবে পেটে গ্যাস হওয়ার অন্যতম কারণ হলো-
- অস্বাস্থ্যকর খাবার মেনু ফলো করা
- বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে সাধারণত পেটে গ্যাস হয়
- অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া
- ফাস্টফুড খেলে
- অতিরিক্ত তেলের জিনিস খেলে
- ধূমপান করলে
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থাকলে
- বদহজমের সমস্যা থাকলে
- মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া
- খাবারে পানির পরিমাণ কম থাকা
- অতিরিক্ত খাওয়া
পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ
পেটে গ্যাস হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় সাধারণটি লক্ষণ গুলো সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি-
- পেটে ব্যথা করা
- পেট ফুলে যাওয়া
- গলা ও বুক জ্বালা করা
- মলত্যাগ করতে সমস্যা হওয়া
- অনিয়মিত মলত্যাগ হওয়া
পেটের গ্যাস দূর করার বিভিন্ন ব্যায়াম
পেটের গ্যাস দূর করার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মাসাজ এবং ব্যায়াম রয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিত জানেনা। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম গুলো হলো-
পেট মাসাজ করা- পেটে গ্যাস হলে পেটের উপর হালকা তেল দিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পেট ম্যাসাজ করলে গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে চলে আসবে এবং পায়ুদারের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দিনে কয়েকবার এই মাসাজ করতে হবে।
মাসাজ করার নিয়ম- ডান হাতটিকে ডান দিকে বুকের খাঁচার হাড়ের নিচে দিকে ধরতে হবে। এরপর গোল গোল ভাবে মাসাজ করতে হবে। এভাবে কয়েকবার করলে দ্রুত পেতে গেছে সমস্যা কমে যাবে।
যোগ ব্যায়াম- গবেষণায় দেখা গিয়েছে এটি পেট ফাঁপা বা পেটের গ্যাসের সমস্যা একদম কমিয়ে দিতে পারে। হাঁটা বা যোগের মতো ব্যায়াম করার ফলে পেটের পেশির ব্যায়াম হয়। এমনকি অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে। এর ফলে পেট থেকে গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারে। কিছুক্ষণ চোখ ব্যায়াম করার পরপরই আপনার নিজেকে হালকা মনে হবে।
হাটা- ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এটা প্রায় আমরা প্রত্যেকেই জানি কিন্তু এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে অনেক কার্যকরী তা হয়তো অনেকেই জানে না। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় রাতে খাওয়ার পর প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত হাটা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে অনেক কার্যকরী।
পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া উপায় যেকোনো সমস্যা দূর করার জন্য অন্যতম। ঘরোয়া উপায়ে পেটের গ্যাস দূর করলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম জানার পাশাপাশি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কেও জানতে হবে।
গরম পানিতে গোসল করা- শীত হোক বা গরম গরম পানিতে গোসল করলে পেটের সমস্যা খুব সহজেই চলে যায়। গবেষণায় দেখা যায় হালকা গরম জল পেটে ব্যথা কমাতে পারে এমনকি দূর করে দিতে পারে গ্যাসের সমস্যা। এছাড়াও পেটে গ্যাস জমতে দেয় না। গরম পানিতে গোসল করলে অন্ত্রের উপর চাপ কমে এমনকি অন্ত্র ভালো থাকে।
ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া- বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই পেট ফাঁপা রোগের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাই প্রতিদিন অবশ্যই নিজের খাবার তালিকায় আরো বেশি করে ফাইবার যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে খাবারে থাকা ফাইবার পেটের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।
প্রতিদিন মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত।
আপেল সিডার ভিনেগার- গ্যাসের সমস্যা দূর করতে অনেকেই আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে জানে না। এটি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকরী। এজন্য খাওয়ার আগে পানি বা চায়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ আপনার সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি নিয়মিত তিনবার পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
দারুচিনি- গ্যাসের সমস্যা দূর করতে দারুচিনি অনেক কার্যকর। এছাড়া পেটের ব্যথা দূর করতেও দারুচিনি অনেক ভালো কাজ করে। দারুচিনি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি কুসুম গরম অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও চায় অথবা দুধে দারুচিনির সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আদা- পেটের গ্যাস এর সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে আদা আদার রস। আদা রস পেটের সমস্যা সহজেই দূর করে দেয়। এছাড়াও আদা চা বা আদা পানি দিয়ে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আরো ভালো ফল পেতে আদার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি গ্যাসের সমস্যার পাশাপাশি বদ হজমে সমস্যা দূর করবে।
পানি- সাধারণত পেটে গ্যাস জমলে বেশি বেশি পানি পান করা উচিত। পানি পেটের পরিপাকতন্ত্র সঠিক ভাবে কাজ করতে সহায়তা করে এবং বদহজমের সমস্যা দূর করে পেটের গ্যাস কমিয়ে দেয়। যার ফলে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করলে পেটে গ্যাস জমে না।
খাবার পর ঘুমানো যাবে না- খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া যাবে না কারণ খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। তাই পেটে গ্যাস হলে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
ডাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা- পেটে গ্যাস হলে যে কোন ধরনের ডাল যেমন মুসুর বুট ছোলা বিল সয়াবিন ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সুগার ও ফাইবার যা হজম সহজে হতে চায় না। এতে করে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে।
তেল জাতীয় খাবার- ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো ধরনের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তেল শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমাতে সাহায্য করে এবং পেটের হজমের সমস্যা করে। তাই পেটে গ্যাস হলে অবশ্যই তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
সবজি- যেসব শাক সবজি সহজে হজম হয়না পেটে গ্যাস হলে সেসব সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক ইত্যাদি উপাদান পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের তৈরি করে।
আরো পড়ুন – ছোট বাচ্চাদের গ্যাসের সিরাপ নাম
কোন ধরনের খাবার খেলে পেটে গ্যাস হয়
পেটের গ্যাসের সমস্যায় যারা ভুগতে থাকে তারাই বোঝে এটি কত যন্ত্রণা দায়ক। যে কোন বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ পাওয়া যায় তবে কিছু খাবার গ্রহণের ফলে পেটের গ্যাস হয়ে যায়। কোন কোন খাবার খেলে পেটে গ্যাস হয় তা জানা থাকলে সেসব খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।
- আঙ্গুর
- মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস
- দই
- আপেল
- ডুবো তেলে ভাজা খাবার
- ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার
- অস্বাস্থ্যকর খাবার
- মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার
- বাসি খাবার
- মিষ্টি কুমড়া
- ডিম
- কোল্ড ড্রিংকস
- মসলা জাতীয় খাবার
- মুলা
- ব্রকলি
- ফুলকপি
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া
- অনিয়মিত খাবার গ্রহন করলে
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার
কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পেটের গ্যাস দূর হয়ে পেটকে ঠান্ডা রাখে এবং পেটের হজম প্রক্রিয়া সহজভাবে কাজ করে।যেসব খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পেটে গ্যাস দূর হয়ে যায় সেগুলো হল-
শসা- শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী একটি উপাদান। এতে রয়েছে লেবানয়েড ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটের গ্যাস কমাতে অনেক সাহায্য করে।
দই- দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এতে করে খাবার দ্রুত হজম হয়। ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলাও থাকে না।
পেঁপে- পেপে তে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে পেটের গ্যাসের সমস্যা খুবই কম হতে দেখা যায়।
কলা ও কমলা- কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। এছাড়াও কলার ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। প্রতিদিন দুটি করে কলা খেলে পেট সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।
ঠান্ডা দুধ- পেটের গ্যাস কমাতে ঠান্ডা দুধের কোন জুড়ি নেই। পাকস্থলের গ্যাস্ট্রিক এসিডকে এটি নিয়ন্ত্রণ করে এসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়।এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে পেটে এসিডিটি হয় না।
জিরা- জিরা পেটের গ্যাস, বমি ,পায়খানা রক্ত, বিকার ইত্যাদিতে অনেক বেশি উপকার করে। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে তিনবার খেলে জ্বর সেরে যায়।
পুদিনা পাতার পানি- এক কাপ পানিতে পাঁচটা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে পেট ফাঁপা বমি ভাব বা পেটের গ্যাস খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
সরষে- পেটের গ্যাস সারাতে সরষে বা সরষে জাতীয় খাবার খুবই কার্যকর একটি উপাদান। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করে খেলে পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয় না।
পেটের গ্যাস দূর করার আরো কয়েকটি খাবার হল- লাউ, কাঁচা পেঁপে, টমেটো, আনার,স, কলা, তরমুজ, পেঁপে।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
আপনি যদি ঘরোয়াভাবে কোন ঝামেলা করতে না চান তাহলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় হিসেবে দোকান থেকে এক প্যাকেট ইনো ENO কিনে একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫ মিনিটের মধ্যেই প্যাটের গ্যাস কিছুটা কমে যায়। প্রাইস রেগুলার প্যাক ১৫ টাকা।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় –
জিরা পানি – দুই চিমটি কাচা জিরার গুড়া এক কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি শরীরে কোন সাইড ইফেক্ট করা ছাড়া খুব দ্রুত গ্যাসের সমস্যা কিছুটা প্রশমিত করে আপনাকে আরাম দিবে।
লবঙ্গ – দুই তিনটি কাচা লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে সাথে সাথে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। লবঙ্গ গ্যাস নিরাময়ে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
আদা – গ্যাসের সমস্যা নিরশনে আদা ও ভালো ভূমিকা রাখে। বেশি সমস্যা হলে হালকা একটু কাচা আদা মুখে দিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার ট্রাই করুন। আশা করছি দ্রুত ই কিছুটা আরাম পাবেন।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না
গ্যাসের সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা। যেমন তেলেভাজা, অতিরিক্ত ঝাল বা মশলা জাতিয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর বাইরে নির্দিষ্ট সময় খাবার গ্রহন করা বিশেষ করে সকালে কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বল করলেই গ্যাস চিরত্রে মুক্তি নিবে।
চলুন দেখে নেয়া যাক সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না –
পানি – সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়া ভালো অভ্যাস। নিয়মিত এটি অনুসরন করলে আশা করা যায় গ্যাসের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
কলা – সকাল বেলা নাশতায় কলা রাখতে পারেন। কেননা কলাতে থাকে পটাশিয়াম যা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে। তাই নিয়মিত কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা অনেকংশ কমে যাবে।
মৌরি – সারারাত পানিতে মৌরি ভিজিয়ে সকালে সে পানি পান করলে গ্যাসের সমস্যার পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধির কাজ করে।
পেটের গ্যাস দূর করার ঔষধ
বর্তমানে বাজারে গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়। বাজারে সবচেয়ে ভালো কিছু গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট হলো-
- ওমেপ্রাজল,
- এসওমেপ্রাজল,
- রেবিপ্রাজল,
- প্যান্টোপ্রাজল,
- ল্যান্সোপ্রাজল,
- সেকলো,
- একসিলক ২০,
- এসুটিন ২০,
- ওপি ২০,
- সার্জেল,
- রেনিটিডিন,
- লোসেক্টিল,
- ম্যাক্সপ্রো।
পেট সুস্থ রাখতে করণীয়
- পেটকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
- বায়ু চেপে রাখা যাবে না
- অধিক পরিমাণে এন্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- অতি নিদ্রা
- অতি জাগরণ
- বেশি বেশি পানি খাওয়া
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- এলার্জিজনিত খাবার থেকে দূরে থাকা
- অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট সেবন না করা
- শাকসবজি খাওয়া
- ভিটামিনযুক্ত ফল খাওয়া
পেটে গ্যাস হলে কি শ্বাসকষ্ট হয়
সাধারনত পেটে গ্যাস হলে শাসকষ্ট হয় না। কারন শাসকষ্ট সাধারনত হার্টের সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। তবে আপনার যদি এজমার সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কিছুটা শাসকষ্ট হলেও হতে পারে।
মন্তব্য
আজকে আমরা পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করছি দৈনন্দিন জীবনে এটি অনেক কাজে লাগবে। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন –