মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল
নামিদামি শহর গুলোর মধ্যে মুম্বাই অন্যতম। বাংলাদেশ থেকে যারা ঘুরতে অথবা চিকিৎসা সহ শপিংয়ের জন্য যায় তারা ভারতের মুম্বাই শহরে ঢু মেরে আসেন। অনেকে মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম এবং মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল এর তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত অনলাইনে খুঁজে থাকেন।
আজকে আমরা তাদের জন্যই মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম এবং এর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন – চেন্নাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম, ঠিকানা ও খরচ
মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন
- আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- হোটেলে কয়দিন থাকবেন তার ওপর ডিপেন্ড করে এডভান্স বুকিং মানি
- রুম সার্ভিস ফি
- দুই কপি ছবি
- এয়ারলাইন্স বা বাস বা ট্রেন এর টিকেট
- হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে হাসপাতালের ডাক্তারের বুকিং রিসিট
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
আরো পড়ুন – কলকাতায় কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম, ঠিকানা ও খরচ
মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেলের তালিকা
itc মারাঠা হোটেল
আইটিসি মারাঠা মুম্বাই শহরের অন্যতম একটি মূল্যবান ৫ তারকা হোটেল। মুম্বাইয়ের সেরা বিলাসবহুল হোটেল গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল থেকে পাঁচ মিনিট এবং অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে অবস্থিত। পাঁচটি পুরস্কার বিজয়ী এই রেস্তোরাঁ রয়েছে বাগান এবং ব্যবসায়ী যাত্রীদের জন্য এটি বিশেষ অবস্থানের জায়গা। এই হোটেলের সেবা খুবই অসামান্য।
ট্যাক্স সহ প্রতি রাতের জন্য এইসব হোটেলের খরচ ১৩ হাজার ৬০০ রুপি।
হায়াত রিজেন্সি
আইটিসি মারাঠা হোটেল মুম্বাই বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত এটি একটি পাঁচ তারকা হোটেল। সমসাময়িক হোটেল গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম। এর ৪০০ টি রুম রয়েছে দুটি রেস্টুরেন্ট একটি বার একটি বেকারি একটি বহিরঙ্গন ফুল বিলাসিতা ফিটনেস সেন্টার এবং ব্যবসা কেন্দ্র আছে। প্রতি রাতে থাকার জন্য ভাড়া ১১৫০০ টাকা দিতে হয়।
ওয়াটার স্টোনস হোটেল
এই হোটেলের সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরিও আছে। এর কক্ষগুলো খুবই সুন্দর। সামুদ্রিক বৃষ্টি বন আগুন পর্বত এবং ক্লাসের দৃষ্টিনন্দন রয়েছে। সুইমিং পুল স্পা সহ গেস্টদের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। ব্রেকফাস্ট এবং ট্যাক্স অন্তর্ভুক্ত সহ প্রতি রাতের জন্য ১০৫০০ রুপি প্রদান করতে হয়।
দা লীলা হোটেল
লীলা হোটেল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল দুইয়ের নিকটতম মধ্যমুখী হোটেল। এখানে থাকলে বেশিরভাগ সময়ে পার্শ্ববর্তী ট্রাফিক গুলোতে আটকে থাকা সময় এডাতে সক্ষম হওয়া যায়। এখানে ১২৫ টি অক্ষর রয়েছে এবং খাবারের রেস্তোরাঁ সহ কফি বার সুইমিং পুল ইত্যাদি রয়েছে ট্যাক্স এবং ব্রেকফাস্ট সহ প্রতি রাতের জন্য নয় হাজার রুপি খরচ করতে হয়।
টি-টোয়েন্টি ফোর ইকো হোটেল
এটি সাধারণত ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত একটি হোটেল। এটি আন্ডেররিস্টের বিমানবন্দর মিট এরেস্টনে কাছে অবস্থিত এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ১০ মিনিটের কম সময় লাগে। হোটেলটি ছাদে রয়েছে সুইমিং পুল এবং খোলাখুলি রেস্টুরেন্ট এবং আকর্ষণীয় শিল্পধারে সজ্জিত বার। ভিজিটররা সপ্তাহের শেষে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বিনামূল্যে পানি এবং ককটেল উপভোগ করতে পারবে।
Tax সহ একটি রুমের জন্য প্রতি রাতে প্রায় আট হাজার রুপি খরচ করতে হয়।
হোটেল সুবহা ইন্টারন্যাশনাল
মুম্বাইয়ের অন্যতম হোটেল গুলোর মধ্যে হোটেল সুবহা ইন্টারন্যাশনাল অন্যতম। আন্তর্জাতিক টার্মিনালের খুব কাছাকাছি অবস্থিত মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় হোটেল গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম। এর রুম গুলো খুবই প্রশস্ত এবং সুসজ্জিত। এখানে বিনামূল্যে বেতার ইন্টারনেট এবং বিনামূল্য এয়ারপোর্ট সেবা পাওয়া যায়।
এই হোটেলে মাল্টি রেস্তোরাঁ এবং একটি জিমনেশিয়াম রয়েছে। এই হোটেলে থাকার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫৫০০ রুপি থেকে শুরু করে আরো ট্যাক্স এবং ব্রেকফাস্ট সহ আরো বেশি লাগতে পারে।
হোটেল লে গ্রেন্ডি
মুম্বাই এর হোটেল গুলোর মধ্যে হোটেল লে গ্রেন্ডি অন্যতম। এখানে সেবকদের আচার-আচরণ মার্জিত এবং আশ্চর্যজনক। মেইন রোডের কাছাকাছি হোটেলটি অবস্থিত। আন্তজাতিক টার্মিনাল থেকে দশ মিনিট এবং অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্ব এটি অবস্থিত। এটি একটি নিরামিষ রেস্টুরেন্ট এবং এর প্রাঙ্গণে কপি শপ আছে।
এখানে বিনামূল্য এয়ারপোর্ট এবং ওয়ারলেস ইন্টারনেট প্রদান করা হয়। ট্যাক্স সহ প্রতিরাতে এই হোটেলের খরচ ৪ হাজার রুপির উপরে।
মুম্বাই হাউস
মুম্বাইয়ের নামিদামি হোটেল গুলোর মধ্যে মুম্বাই হাউস অন্যতম। এটি আন্ধি কুড়াল রোডের একটি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। এখানে অতিথিদের জন্য হোম স্টাইলে ভারতীয় খাবার সরবরাহ করা হয় এবং বিনামূল্যে বেতার ইন্টারনেট রয়েছে। এ হোটেলে থাকার জন্য প্রতিরাতে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ রুপি খরচ করতে হয়।
হোটেল সাহারা স্টার
মুম্বাই বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল একদম পাশেই হোটেল সাহারা অবস্থিত। এটি বাইরে থেকে খুব একটা আকর্ষণীয় নয় তবে ভিতর অসম্পূর্ণ ক্রিয়া স্টেডিয়াম রয়েছে এবং এর ভিতর অনেক সুন্দর সাজানো গোছানো রয়েছে। এখানে একটি ৭৫ গম্বুজ আততায়ী যা খেজুর গাছ হিসেবে রয়েছে। এখানে রেস্টুরেন্ট এবং ফুলের মত সুবিধা রয়েছে।
এখানে হোটেলের ভারতে সবচেয়ে বড় অ্যাকোরিয়াম এবং বিশ্বের একমাত্র ডুবো ব্যক্তিগত ডাইনিং রুম রয়েছে। প্রতি রাতের খরচ প্রায় ১১ হাজার রুপি।
আরো পড়ুন – কলকাতায় কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম, ঠিকানা ও খরচ
মুম্বাই আবাসিক হোটেলের খরচ
ভারতের অন্যতম জাকজমক পূর্ণ শহর গুলোর মধ্যে মুম্বাই অন্যতম। মুম্বাই শহরের হোটেল গুলোতে থাকা খাওয়ার খরচ অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশি হয়ে থাকে। এখানে যদিও বিভিন্ন রেঞ্জের হোটেল পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ হোটেলে সর্বনিন্ম এক হাজার রূপী থেকে শুরু করে ১৫ হাজার রুপি পর্যন্ত একদিনের জন্য লাগতে পারে।
এছাড়াও শহরকেন্দ্রিক এলাকা গুলোর আশেপাশের হোটেল গুলোতে এবং পাঁচ তারকা হোটেল গুলোতে থাকা খাওয়ার খরচ একটু বেশিই হয়। তাই আবাসিক এলাকা থেকে দূরে অবস্থিত হোটেল গুলোতে থাকলে থাকা খাওয়ার খরচ কিছুটা কম হতে পারে।
আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার পূর্বে করণীয়
অনেক সময় মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া নেয়ার চিন্তায় আমরা কিছু ভুল করে ফেলি যা পরবর্তীতে সিকিউরিটি জনিত বেশ ক্ষতি করে ফেলে। এই পর্যায়ে আমরা ভাড়া নেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে এমন কিছু বিষয় আলোচনা করবো।
- যেকোনো জায়গায় আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার পূর্বে সর্বপ্রথম নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেখতে হবে হোটেলে যদি ভাল নিরাপত্তা থাকে তাহলে সে আবাসিক হোটেলে ভাড়া ঠিক করবেন।
- যখন আপনি কোন আবাসিক হোটেল ভাড়া করবেন তখন অবশ্যই ভাড়া করার আগে আশেপাশে মানুষদের কাছ থেকে সে আবাসিক হোটেল সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবেন।
- আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়ার সময় সব সময় মনে রাখতে হবে কখনোই পথ প্রথম ফ্লোর কিংবা দ্বিতীয় ফ্লোর ভাড়া নেওয়া ঠিক নয়। কেননা আবাসিক হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা হলে সবার আগে প্রথম অথবা দ্বিতীয় ফ্লোরে থাকা ব্যক্তিদের উপরই হামলা হবে।
- ভুল করে কখনো আবাসিক হোটেলের অনেক বেশি উপরে তলা ভাড়া নেওয়া যাবে না এতে করে কোন বিপদে পড়লে সাহায্য পৌঁছাতে অনেক দেরি হবে। তাই মাঝে মাঝেই তলার ফ্লোর গুলো ভাড়া নেওয়ার উত্তম।
- যদি আপনি ওর অতিরিক্ত নিরাপত্তা কথাই ভাবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাবল বেডের রুম একাই ভাড়া নিতে হবে। এতে করে নিজের সেফটি বজায় থাকবে।
- আবাসিক ক্ষতি ভাড়া করার সময় হোটেল কর্তৃপক্ষকে আপনার রুম নাম্বার অন্য কাউকে বলতে নিষেধ করবেন।
- কোন হোটেলে উঠেছেন কোন শহরে আছেন সেটা ভুলেও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শেয়ার করবেন না। এতে করে আপনার বিপদ হতে পারে।
- যখন হোটেলে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবেন বা বের হবেন তখন ভুল করেও হোটেলের নাম উচ্চারণ করা যাবে না।
- যদি বাইরের কোন লোক আপনাকে ফলো করে তাহলে আপনি কখনোই আপনার নিজের হোটেলের রুমে আগে ঢুকবেন না।
- আবাসিক হোটেলে ভাড়া নেওয়ার জন্য যে সকল প্রয়োজনে কাগজপত্র বা জিনিসপত্র নিয়ে যাবেন সেগুলো অবশ্যই সাবধানে রাখার চেষ্টা করবেন।
সস্তায় বসবাসের জন্য মুম্বাইয়ের জায়গার তালিকা
মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল এর পাশাপাশি কিছু স্পেশাল যায়গা রয়েছে যেখানে তুলনামূলক কমদামে বসবাস করা যায়। আপনারা সবাই জানেন যে মুম্বাইতে বাড়ি ভাড়া অনেক বেশি। কিন্তু এখন আমরা এমন কিছু যায়গার নাম বলবো যেখানে বাসা ভাড়া তুলনামূলক কম। এবং কম খরচে থাকতে পারবেন।
- গরীবালি ঘাট
- কোপার
- ভিকরলি
- কান্দি বালি
- মালাদ
- কেরলা
- চেম্বুর
- এরোলি
- পাওয়াই
মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল
আজকে আমরা মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি মুম্বাই কম দামে আবাসিক হোটেল আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রতিদিন নতুন নতুন সব আপডেট নিউজ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন –
- চেন্নাই কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম, ঠিকানা ও খরচ
- কলকাতায় কম দামে আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম, ঠিকানা ও খরচ
- খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল ভাড়া করার নিয়ম