কোন কোন পাখি পোষা যায়
বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই পাখি পোষতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন ধরনের পাখি পোষা যায়। পোষা পাখির মধ্যে শালি,ক কবুতর, টিয়া, ময়না, ম্যাকাও, বাবুই আরো রংবেরঙের পাখি অনিকেই শখের বশে পুষে থাকে। আজকে আমরা কোন কোন পাখি পোষা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে একটি আর্টিকেল শেয়ার করব।
কোন কোন পাখি দ্রুত পোষ মানে
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের পাখি পোষা যায়। তবে অনেক পাখি দ্রুত পোষ মানে এবং অনেক পাখি পোষ মানতে কিছুটা সময় লাগে। এদের মধ্যে লরিকেট নামে অস্ট্রেলিয়ান যাতের পাখি পোষার জন্য বিখ্যাত। এ পাখি সহজেই পোষ মানে। দেখতে কালারফুল হয় সবাই এ পাখিগুলোকে বেশ পছন্দ করে
লরিকেট পাখির বৈশিষ্ট্য-
- জাতের পাখি লম্বার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার হয়
- এই পাখির আয়ুষ্কাল ২০ বছর
- এসব পাখিদের ফল এবং ফুলের রস খাওয়াতে হয়
- লরিকেট জাতের পাখি বেবি প্লেয়ার প্রায় ৩০ হাজার থেকে এক লক্ষেরও বেশি টাকায় বিক্রি করা হয়
- পাখির দাম একটু বেশি তবে এ পাখি সহজেই পোষ মেনে নেয়
- বিভিন্ন পোষা পাখির নাম এবং দাম
আরো পড়ুন – খাঁচায় কোয়েল পাখির বাচ্চা পালন করার নিয়ম
কোন পাখি পোষ মানে?
১। বাজরিগার- খাঁচায় পালিত পাখিদের মধ্যে বাজরিগার জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বে রয়েছে। এই পাখি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সব পরিবেশে সহজেই পালন করা যায়। এ পাখির খাবারের খরচ একদম কম। এরা তিন মাস পর পর চার থেকে পাঁচটি করে বাচ্চা দেয়। এই পাখি গোটা পৃথিবীতে ব্যাপক জনপ্রিয়।
দাম- বাংলাদেশে একজোড়া বাজরিগার এর দাম সাধারণত ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার পাঁচশো টাকা পর্যন্ত হয়। এছাড়াও ইংলিশ ও জাপানি জাতের গুলো ১ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
২। জাভা- বাজরিগার এর মতই সহজে পালনের জন্য বিখ্যাত কয়েকটি পাখির মধ্যে একটি হল এই জাভা। প্রচুর পরিমাণে বাচ্চা ফোটায় বলে এদের চাহিদা প্রচুর। শরীরের রং বয়স ভেদে এরা বিভিন্ন দামের হয়। বাংলাদেশে যেসব জাভা পাওয়া যায় তাদের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট জাভা।
দাম- একজোড়া হোয়াইট জাভার দাম ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। সাধারণত ব্ল্যাক জাভার একটি জোড়ার দাম সাধারণত দুই হাজার থেকে তিন হাজার হয়ে থাকে। সিলভার যাবার দামও ২০০০ টাকা হয়।
৩। কোকোটিএল- খাঁচায় লালন পালন করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এই কোকো টি এল। দেখতে সুন্দর এই পাখিটি খুব সুন্দর করে শীষ বাজাতে পারে। চাইলে টিয়া পাখির মত এদেরকেও পোষ মানানো যায়। বাংলাদেশে সাধারণত লুটিনো কোটিএলের পাওয়া যায়।
দাম- কোকোটিয়েলের প্রতি জোড়া দাম হয় সাধারণত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। গ্রেক ও কোটিয়েলের দাম তিন হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা। এছাড়াও পালকোটি এল এর দাম হয় চার থেকে ছয় হাজার টাকা। দাম সবচেয়ে বেশি এল বিনো কোকোটি এল এর। এদের প্রতি জোড়ার দাম পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা।
৪। লাভ বার্ড- খাচায় পালিত আরেকটি পরিচিত পাখি হল লাভ বার্ড। এদের দাম মিউটেশন অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে।
দাম- প্যান্ডেল ব্ল্যাক চিকের দাম হাজার থেকে বারোশো টাকা হয়। পিচ ফেস্ট দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। ফিশারের দাম দুই থেকে তিন হাজার টাকা। গ্রিন অপারিং ফিশার এর দাম ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
৫। ঘুঘু- বর্তমানে অনেকে ঘুঘু পাখিকেও খাচায় পালন করে থাকে। তবে খাচায় লালন পালনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ঘুঘুর ব্রিড ও অস্ট্রেলিয়ান ডাবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
দাম- একজোড়া অস্ট্রেলিয়ান ডাবের দাম এক থেকে দুই হাজার টাকা।
৫। মুনিয়া বা ফিঞ্চ- গ্রামে বসবাসকারী সবাই মোটামুটি তিলা মুনিয়া চিনে। বর্ষার সময় রাতের বেলা পাট বা আঁখ খেতে এ পাখি দল বেঁধে উড়ে বেড়াইয়। অসম্ভব সুন্দর এই পাখিটি চঞ্চল বলে তা ধরাও খাঁচায় পালন নিষিদ্ধ। কিন্তু এর কিছু বিদেশী ব্রিড রয়েছে যেগুলো খাঁচায় পালন করা যায়।
দাম- হোয়াইট ফিঞ্চের দাম প্রতি জোড়া ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। জেব্রা ফিঞ্চ এর দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। গোল্ডেন ফিঞ্চের দাম পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকা। হোয়াইট এর দাম ১০000 থেকে ৩0000 টাকাও হয়।
৬। কনুর- টিয়া পাখির বংশের আরেকটি দামি জাত কুনুর। এটি পৌষ মানা পাখির মধ্যে অন্যতম।
দাম- এদের মধ্যে সানকনোড়ির দাম প্রতি জোড়া ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। রেড ফ্যাক্টর প্রতি জোড়ার দাম ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কনুরের শরীরে লাল রং যত বেশি হবে এর দাম তত বেশি হয়। জান ডে কোন প্রতি জোড়া ৩৩ থেকে ৩৭ হাজার টাকা হয়ে থাকে। আফ্রিকান গ্রে প্যারোটের এক জোড়ার দাম ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ।
৭। রিং মেক প্যারট- আমাদের দেশে কোনুর বংশজাত নানা ধরনের পাখির মধ্যে এটি অন্যতম। এই প্রজাতির মধ্যে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ইন্ডিয়ান রিং নেক প্যারট। তুলনামূলকভাবে এই টিয়ার দাম সবচেয়ে কম। কথা বলার পাখি হিসেবে বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়।
দাম- এই ধরনের একজোড়া সাধারণ টিয়া পাখির দাম পড়বে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ইন্ডিয়ান আলেকজান্ডার প্যারট প্রতি জোড়া দাম তিন থেকে ছয় হাজার টাকা। এছাড়াও বাংলাদেশে পাওয়া যায় যেগুলার দাম একটু বেশি। প্রতি জোড়া ৩৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
৮। আমাজন প্যারট– কথা বলা পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো অ্যামাজন প্যারোট। এই পাখিগুলো অনেক সুন্দর ও খুব ভালো কথা বলতে পারে। এদের মধ্যে অনেকগুলো জাত রয়েছে তবে অরেঞ্জ উইন্ড এমাজন অন্যতম।
দাম- এই পাখির দাম প্রতি জোড়া 70 হাজার থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার হয়ে থাকে। ১ লাখ ২০ হাজার হয় রেড এমাজন। ৯০০০০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
৯। কাকাতুয়া- বিশ্বজুড়ে আরেকটি জনপ্রিয় পাখি হল কাকাতুয়া। পোষা পাখির মধ্যে কাকাতুয়া অন্যতম। এরা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের এবং মানুষের কথা নকল করার জন্য বিখ্যাত। সারাদিন নানা অদ্ভুত হাসি ও বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে মানুষের মনোরঞ্জন ক…
দাম- এদের মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকাও হয়ে থাকে।
১০। কাইট প্যারট- কাইক প্যারট প্রজাতির পাখির দুটো জাত বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ব্ল্যাক হেডেড টাই প্যারেড এর এবং অরেঞ্জ সেটের কেক পায় প্যারট অন্যতম।
দাম- ব্ল্যাকহেড টাইট প্যারটের দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং অরেঞ্জ হেডেড ক্যাডব্যারেটের দাম 2 লাখ 10 হাজার থেকে তিন লাখ টাকা হয়।
১১। ম্যাকাও- পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে দামি এবং রাজকীয় পাখির নাম হলো ম্যাকাও। এর শারীরিক সৌন্দর্য গঠন আকার ও রাজত্ব ভঙ্গিমার জন্য এরা খুবই জনপ্রিয়। ধনশালী ব্যক্তিরা এই ম্যাকাও কিনতে টাকা গুনে না। তবে এদের দাম ও পালন খরচ এতই বেশি জে এরা সব সময় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে।
দাম- সবচেয়ে দামি ম্যাকাও হলো 2000 থেকে 130000 টাকা হয়। এছাড়া সিলভার এর দাম দেড় লাখ থেকে 2 লাখ টাকা। ব্রাউন এর দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। হায়া সিন্স ম্যাকাও সবচেয়ে দামি ম্যাকাও এর দাম ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা।
কবুতর- পোষা পাখির মধ্যে কবুতর আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। গ্রামের কবুতর পালনের পাশাপাশি শহরে এখন অনেকেই ছাদে কবুতর পালন করে থাকে।
দাম- বিভিন্ন জাতের কবুতরের বিভিন্ন ধরনের দাম হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এক জোড়া কবুতরের দাম ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এক থেকে দুই হাজার টাকা ও হয়।
পোষা পাখির খাবার
অধিকাংশ পোষা পাখি সাধারণ খাবার থেকে ক্যালসিয়াম সহ আরো কিছু খনিজ উপাদান ঠিকভাবে পায় না। তাই সঠিক খাদ্য দিতে কাটলো ফিস বোনের টুকরা ও মিনারেল ব্লক দিতে হবে। শুধুমাত্র ধান, গম, জব বা ভুট্টা খাওয়ালে হয় না। শাক সবজি, চীনা বাদাম, কাউন, চিকন ধান ও সূর্যমুখীর বিচি, অ্যালোভেরা রসের মতো খাবার দেওয়াও জরুরী।
আরো পড়ুন – খাঁচায় কোয়েল পাখির বাচ্চা পালন করার নিয়ম
কথা বলা পোষা পাখির নাম
উপরে আমরা কোন কোন পাখি পোষা যায় এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি।এই পর্যায়ে আমরা কথা বলা কয়েকটি পাখির নাম জানবো।
পোষা পাখির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পাখির কথা বলতে পারে বরং একদম মানুষের মত হুবহু নকল করতে পারে। তাদের মধ্যে-আমাজনের অন্যান্য পাখির মতোই ব্লু ফ্রন্ট এর জাতের পাখি অন্যত্মম।ময়না মোটামুটি মাঝারি আকারের কথা বলার পাখি না নীল সোনালী ম্যাকাও, তোতা, কাকাতুয়া, আফ্রিকান গ্রে প্যারট।
কোন পাখি দ্রুত কথা বলা শিখে
পোষা পাখি গুলোর মধ্যে অনেকগুলো পাখি দ্রুত কথা বলা শিখে এবং অনেকগুলো পাখির ধীরে ধীরে কথা বলা শিখে। তবে দ্রুত কথা বলা অনেকটা নির্ভর করে পোষা পাখিকে কতটা ভালোভাবে কথা শেখানো হচ্ছে তার উপর। দ্রুত কথা বলা শিখে এমন পাখি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
- টিয়া
- ময়না
- ম্যাকাও
- শালিক
- কাকাতুয়া
- বাড়িতে কোন কোন পাখি পোষা শুভ
বাড়িতে পাখি পোষার সুবিধা
এবং অসুবিধা বাড়িতে পাখি পোষার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ এবং সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। সুবিধা গুলো হলো-
- অবসর সময় অনেক ভালোভাবে কাটানো যায়
- মন ভালো রাখা যায়
- বাড়ির পোকামাকড় খেয়ে পরিষ্কার রাখে
- একাকীত্ব অনুভব হয় না
- বারান্দার আশেপাশে অন্যান্য পাখিদেরও ভিড় হয়
অসুবিধা-
- পাখিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে যা ছোয়াচে হয় যার ফলে পাখি পালন করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রান্ত হতে পারে।
- পাখির বাসা সবসময় পরিষ্কার না রাখলে দুর্গন্ধ বের হয়
- পোষা পাখি পালন করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়
- সঠিক সময় খাবার পানি না দিলে পাখি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- বাসায় বিড়াল থাকলে পাখি পালন করা উচিত নয়
পোষা পাখির লাইসেন্স করার নিয়ম
বর্তমানে সরকার পোষা পাখি লালন-পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা কেনা বেচা এবং আমদানি রপ্তানি ক্ষেত্রে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। লাইসেন্স না নিলে সর্বোচ্চ এক বছরে কারা দন্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
- পোষা পাখি খামারের ক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে প্রতিটি লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ১ বছর।
- লাইসেন্স দেবে প্রধান ওয়ার্ডের বা প্রধান বন সংরক্ষক।
- লাইসেন্সের নবায়ন ফি লাইসেন্স ফি ২৫ শতাংশ প্রসেস ফি দুই হাজার টাকা। পজিশন প্রসেস ফি দুই হাজার টাকা।
- বছরে পজেশন ফিও ২০০০ টাকা।
- প্রসেসন সনদ নবায়ন ফি পজিশন ফি ২৫ শতাংশ
- পেট শপের ক্ষেত্রে লাইসেন্স ও প্রসেস ফি ৫০০ টাকা। বছরে ফি দুই হাজার টাকা।
- শখের বসে পোষা পাখি লালন পালনকারীদের লাইসেন্স নিতে হবে না স
- রকার যেকোনো সময় লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে
- কোন খামারের লাইসেন্স বাতিল হলে তার পজিশন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাবে
- লাইসেন্সের জন্য দেওয়া বিস্তারিত তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা এবং তাকে সংখ্যা অনুযায়ী স্থান খাঁচার আকৃতি এবং লালন পালনের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করার পরে লাইসেন্স দেওয়া হয়।
- পোষা পাখির রপ্তানির ক্ষেত্রে সাইট্রেট পারমিট গ্রহণ করতে হয়
- পোষা পাখি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি করতে হবে
- আমদানি করা সব পাখি রিং নম্বর দিয়ে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে।
পোষা পাখি সম্পর্কে বাস্তুশাস্ত্র
অনেকেই বর্তমানে বাস্তুশাস্ত্র বিশ্বাস করেন। যার ফলে যারা বাস্তুশাস্ত্র বিশ্বাস করে তাদের জন্য পরামর্শ হলো বাড়িতে পাখি পালন করার পূর্বে কিছু জিনিস মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয় পোষা পাখির খাচা উত্তর বা পূর্ব দিকে রাখলে তারা খুশি এবং আনন্দিত হয়। তারা বিনয়ী হয়।ইতিবাচক শক্তি এবং স্বাধীনতা এই পথের প্রতীক।
- পাখিদের পর্যাপ্ত তাজা বাতাস প্রাকৃতিক আলো এবং একটি খোলা জায়গায় রয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে
- একটি পাখি পাখির খাচা অমানবিক এটি সারা বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে
- দুবাইয়ের লোকেরা ঈগলকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে পছন্দ করে যা ভারতে অস্বাভাবিক। তাদের মানসিক এবং চাক্ষুষ ক্ষমতা উন্নত করতে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মুখ করে রাখা উচিত।
মন্তব্য
আজকে আমরা কোন কোন পাখি পোষা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে উপরে আলোচনা করেছি। কোন কোন পাখি পোষা যায় এ সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতি দ্রুত কমেন্টে রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন –
ময়না পাখি শখ করে খাচার মধ্যে আমার বাসায় পালন করা যাবে কিনা?
নাকি আইন বহির্ভূত?.
বিস্তারিত জানতে চাই