বাংলাদেশে কোন চাকরিতে বেতন বেশি
বাংলাদেশের বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির বেতন সম্পর্কে অনেকেরই ধারণ নেই। কখনো কখনো সরকারি চাকরির চেয়ে প্রাইভেট ফার্মের চাকরি গুলোর বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি ব্যাংকের এমডি সিইও দের বেতন ও সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আজকে আমরা বাংলাদেশে কোন চাকরিতে বেতন বেশি এবং বাংলাদেশের সর্বাধিক বেতনের চাকরিগুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কিছুটা পরিষ্কার ধারণা লাভ করা যাবে।
আরো পড়ুন – অনলাইন ক্যাসিনো খেলে আয় করতে এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি
বাংলাদেশের চাকরি করে সবচেয়ে বেশি বেতন পায় ব্যাংকের এমডি ও সিইওরা। ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ২০২২ সালের দেশের ব্যাংকিং খাতে সরকারি এবং বেসরকারি মিলে ৪৯ টি ব্যাংকের মধ্যে বছরে কোটি টাকার উপরে বেতন পান ৪০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্থাৎ এম ডি ও নির্বাহী কর্মকর্তারা। দেড় কোটি টাকারও বেশি বেতন পান ৯ টি ব্যাংকের এমডি।
১। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতন পান ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার। ২০২২ সালের বেতন ভাতা কাগজ সরকারি এই ব্যান্ডের কাছ থেকে জেনে নিয়েছেন প্রায় তিন কোটি পনেরো লাখ ৫0000 টাকা। হিসেবে তিনি ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে পেয়েছেন ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বেতন ভাতার দিক দিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
২। ২০২২ সালের দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন ভাতা পেয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডিও সিইও আনিস খান। বেতন ভাতা বাবত ব্যাংকটি তাকে পরিশোধ করেছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে তিনি প্রতি মাসে .১৫ লাখ.২৫000 টাকা আর্থিক সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন।
৩। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পেয়েছেন বিসিটি ব্যাংকের এমডিওসিইও সোহেল আর কে হোসেন। গত বছর বেতন পরিশোধ করেছে এক কোটি ৮০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। হিসেবে বেতন ভাতা ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে গড়ে পনেরো লাখ ৬৫ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি।
৪। এরপর চতুর্থ পর্যায়ে আছেন এন আর বি ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন এক কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে তাকে পরিশোধ করেছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
৫। বেতন ভাতা পাওয়ার দিক থেকে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ডঃ মোঃ হায়দার মিয়া রয়েছেন সর্বোচ্চ পঞ্চম স্থানে। গত বছর বেতন ভাতা-বাবদ তিনি ব্যাংক থেকে পেয়েছেন এক কোটি ৭০ লাখ হাজার টাকা। একই সাথে প্রতি মাসে ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে ব্যাংকটি।
৬। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের এমডি কাজী মশিউর রহমান। ২০২২ সালে বেতন ভাতা বাবদ ব্যাংকটি থেকে তাকে দেয়া হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা অর্থাৎ মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রতি মাসে পরিশোধ করতে হয়েছে ১৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন – অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়, কি ভাবে অনলাইনে আয় করা যায়
বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বেতন স্কেল
ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস এইট- ৮২৫০ টাকা থেকে ৮৫০০ টাকা
এসএসসি বা এইচএসসি- ৮৮০০ টাকা থেকে ৯০০০ টাকা
অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট- ৯৩০০ টাকা
assistant teacher- 9700 টাকা থেকে শুরু করে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিসিএস অফিসার- ২২ হাজার টাকা থেকে শুরু কর ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
সংসদ সদস্য- ৫৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত
সচিব মেজর জেনারেল- ৭৮ হাজার টাকা
সিনিয়র সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল- ৮২ হাজার টাকা
তিন বাহিনী প্রধান মুখ্য সচিব মন্ত্রী পরিষদ সচিব- ৮৬000 টাকা
প্রতিমন্ত্রী- ৯২ হাজার টাকা
বিরোধীদলীয় নেতা- ১ লাখ ৫ হাজার টাকা
মন্ত্রী- ১ লাখ ৫ হাজার টাকা
প্রধান বিচারপতি- এক লাখ দশ হাজার টাকা
স্পিকার- এক লাখ বারো হাজার টাকা
প্রধানমন্ত্রী- এক লাখ ১৫ হাজার টাকা
রাষ্ট্রপতি- এক লাখ বিশ হাজার টাকা
বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরির বেতন স্কেল
আইটি ম্যানেজার- ২ লাখ ৭১ হাজার ২৪৪৭ টাকা
মার্কেটিং ম্যানেজার- ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা
প্রফেসর বা লেকচারার- ১ লাখ ৯৭৪৭ টাকা
প্রফেসারী হাই এইচ আর ম্যানেজার- ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫১ টাকা
সফটওয়্যার অ্যাপ ডেভলপার- ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ টাকা
ইঞ্জিনিয়ার- এক লাখ ২৪ হাজার ৭৬৮ টাকা
ডাক্তার- এক লাখ তিন হাজার আটশ ছাপান্ন টাকা
অনলাইন মার্কেটিং প্রফেশনাল- ৯৬৩৭৮ টাকা
আর্কিটেক্ট- ৯৪ হাজার ১২০ টাকা
ম্যানেজার- ৭৮ হাজার ৪২১ টাকা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বেতন এবং কম পরিশ্রমের চাকরি
বর্তমানে বাংলাদেশে এরকম অনেক চাকরি আছে যদিও এসব চাকরির জন্য যোগ্যতার খুব প্রয়োজন এবং এখানে আসতে এক ধাপে আসা যায় না। সবচেয়ে বেশি বেতনের এবং কম পরিশ্রমের আরামের চাকরি হলো যেমন-
- বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি
- প্রধানমন্ত্রী
- স্পিকার
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বা বিভিন্ন বিভাগের প্রধান
- বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান ইত্যাদি
এসব চাকরি সবচেয়ে বেশি বেতনের এবং কম পরিশ্রমে তবে এসব চাকরি পেতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী এগুলো বেশ কঠিন মনে হলে বিসিএস দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি চাকরি
১। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি চাকরি প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস জব। যেটাকে সহজে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সবাই চিনে থাকে। বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করে থাকে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অধীনে প্রশাসনিক কার্যকলাপ ও নীতি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাথে জড়িত এই অবস্থানে সবচেয়ে ভালো মানের বেতন গুলো দেয়া হয়। যা আমরা সাধারণ ভাষায় অনেকেই সচিব বলে থাকি। বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার এমন ২৮ টি ক্যাটাগরি রয়েছে।
২। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশে ডিফেন্স জব বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরি। যদি দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য কিছু করতে চায় বা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে ভালো চিন্তা করতে চায় তাহলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরি করার চিন্তা করা যেতে পারে। এখানে রয়েছে সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় অবস্থান চাকরি হওয়ার ফলে সম্মানের দিক থেকে বেশি এবং ক্ষমতা রয়েছে।
৩। ৩য় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকের চাকরি। এদেশের প্রতিটা বেশিরভাগ ক্ষতিটা মানুষের আকাঙ্খিত চাকরিতে সর্বোচ্চ মানের স্যালারি এবং পেনশন সুবিধাসহ অন্যান্য টপ লেভেলের চাকরির মতোই এই ব্যাংকের চাকরিগুলো।এখানে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি রয়েছে যেমন- বাংলাদেশ সরকারি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ, ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড। এসব ব্যাংকে চাকরি ক্যারিয়ারের জন্য অনেক উন্নত।
৪। চতুর্থ অবস্থায় রয়েছে চিকিৎসা বা সেবা দানকারী চাকরি অর্থাৎ ডাক্তার হওয়া। এই সরকারি চাকরিতে ভালো মানের বেতন ভাতা এবং পেনশন থাকে অনেক সম্মানজনক অবস্থান। এখানে সরকারি হাসপাতালে চেম্বার এর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল সহ ব্যক্তিগত চেম্বার করলে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
৫। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বিজ্ঞানী অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত যে সমস্ত বিজ্ঞানীরা ভালো অবস্থানে রয়েছে তারা নিউক্লিয়ার রিসার্চ ও বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করে থাকে। এছাড়াও দেশের সাথে দেশের বাইরে বিভিন্ন সংস্থার সাথেও কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
৬। ষষ্ঠ অবস্থানে শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যা জ্ঞানের সেবা দানকারী ভক্ত। চাকরি এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির সহ যেকোনো জায়গায় নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো অবস্থান ধরে রাখা যায় এবং অনেক বেশি সেলারিও পাওয়া যায়। বিসিএস পাশ করলে ভালো বেতন পাওয়া আরো সহজ হয়।
বেতন এবং ক্যারিয়ারের দিক থেকে দেশের সেরা ১০ টি চাকরি
ডাটা এন্ট্রি অ্যাসিস্ট্যান্ট- জিপিআর এবং এফ দি স্ট্যান্ড হচ্ছে এমন দুটি ওয়েব এপ্লিকেশন যা এ মিলিনিয়ামের শুরুতে ডাটা এন্ট্রি অ্যাসিস্ট্যান্টরা যে ধরনের কাজ করত সেই কাজ সহজ ভাবে করে ফেলে কম্পিউটার কিভাবে মানুষের জায়গা দখল করছে এটি তার আরেকটু উদাহরণ। তবে এই ক্ষেত্রে যদি আপনি এ ধরনের কাজে আগ্রহী হন তাহলে দক্ষতা কাজে লাগাতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেতনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৯0 হাজার টাকা।
হিসাবরক্ষক- ডাটা এন্ট্রি অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মত একজন ভালো হিসাব রক্ষককে জানতে হবে বাজেট ব্যবস্থাপনার জন্য কি করে বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন এবং সফটওয়্যার যেমন এক্সেল কুইক বুকস এবং মিড ডট কম ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে হিসাবরক্ষকের সম্ভাব্য বেতন ৯০০০০ বাংলাদেশি টাকা।
ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট- ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সরকারি এজেন্সি বা কর্পোরেশনের মত ব্যাংক ও ঠিকাদার নিয়োগ করে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল চাকরি কাজ অনেকটা সিস্টেম এর মত ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট। সব সময় মার্কেট, ট্রেন্ড, অর্থনৈতিক তথ্য গবেষণা এবং কম্পিউটার মডেল তৈরি করে এবং এখানে বেতনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ১২৪০০০ হাজার টাকা।
ট্রেড ট্রেডার্স সাইড বাই সাইড এবং হেজবার্ড রিডিং- এ কাজগুলো খুব বেশি বর্তমানে প্রচলিত। এই কাজের জন্য এমবিএ না থাকলেও সমস্যা হয় না। ফিনান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে ট্রেডিং এর জন্য লোকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে বেতনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হলো একলাখ চল্লিশ হাজার টাকা।
অনলাইন মার্কেটিং চাকরি- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে খুব বেশি জনপ্রিয়। আজকাল বক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্যই অনলাইন খুব বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বিলিয়ন বিলিয়ান স্বপ্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী রয়েছে তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে কাজে লাগানো যেতে পারে এবং বেতনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৫0 হাজার টাকা।
ব্লগার- বর্তমানে দেশের অনেকেই সৃজনশীল বা ভিন্নধর্মী কিছু করতে পছন্দ করে। তবে নিজের জন্য এখানে একটি ব্লগ পেইজ খোলা যেতে পারে। হাজার হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে সেটি করেছেন নিজস্ব ওয়েবসাইট চালাতে অনেক বেশি স্বাধীনতা পাওয়া যায় এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপনের জায়গা রেখে স্পন্সার পোষ্ট লিখে বিভিন্ন মাধ্যমে ওয়েবসাইটে লিংক দিয়ে উপার্জন করা যায়। এক্ষেত্রে বেতনের সম্ভাবনা ক্ষমতা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা।
এসইও কনসালটেন্ট- সোশ্যাল মার্কেটিং এর মত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনলাইনে ব্যবসা আরেকটি উপায়। দক্ষতা আরো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর কিন্তু যদি করি প্রোগ্রামিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জ্ঞান থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজে লাগানো উচিত। সে ক্ষেত্রে বেতনের সম্ভাব্য সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মোবাইল অ্যাপ ডেভলপার- এক্ষেত্রে একটি অংশ মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ সম্পর্কিত এবং অংশটি অন্য কোন বিশেষ কাজের জন্য অ্যাপ নিয়ে কাজ করে অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রে মোবাইল এবং স্মার্ট ফোন প্রযুক্তির বিকাশের কারণে মোবাইল অ্যাপ ডেভলপাররা তাদের টেকনিক্যাল ডিজাইনের দক্ষতা কাজে লাগানোর অনেক সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে বেতনের সম্ভাব্য সংখ্যা এক লাখ বিশ হাজার টাকা।
ইনফ্লুঅ্যানসার- বর্তমানে এটি খুব বেশি জনপ্রিয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ী কেন্দ্র গুলকে মানুষের কাছে হাইলাইট করার জন্য এই ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেদের ফলোয়ারদের কাজে লাগায়। এক্ষেত্রে তারা প্রতি লাইভের জন্য তাদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগে এই ক্ষেত্রে লাইফের জন্য তারা প্রায় ২0 থেকে ৫0000 টাকা পর্যন্ত চার্জ করে থাকে। যদি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে আজকেই নিজের নামে একটি পেজ খুলে বিপ্লব ব্যবসায়ী পেজগুলোকে হাই লেট করার জন্য কাজ করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে তরুনদের কিছু জনপ্রিয় চাকরি
- মার্কেটের ফুল স্টাইক
- ডেভলপার
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ইন্টেরিয়র ডিজাইনার
- ইভেন্ট প্ল্যানার
- রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরে চাকরি
- অনলাইন বিজনেস
- আইনজীবী
- ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
- হিউম্যান রিসোর্স
- ম্যানেজার
- স্থপতি
- উদ্যোক্তা
- ইউটিউবার
মন্তব্য
আজকে আমরা বাংলাদেশে কোন চাকরিতে বেতন বেশি এসে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও বাংলাদেশের চলমান চাকরির বিভিন্ন সেক্টর গুলো নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটা আপনাদের ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়া এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমরা অতি শিঘ্রই আপনাদের কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন – অনলাইনে ভিডিও দেখে আয় করতে এখানে ক্লিক করুন