গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা
পূর্বে ধারণা করা হতো শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষের শেষ বয়সে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় এবং এই সমস্যাটা শুধুমাত্র বয়সের কারণেই হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে গবেষণায় দেখা গেছে অনেক কম বয়সি বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী মানুষেরও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। পূর্বে ধারণা করা হতো গ্যাস্ট্রিকের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই কিন্তু বর্তমানে ডাক্তাররা বলছেন আগে থেকেই যদি লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনা যায় এবং ঘরোয়া কি চিকিৎসা করা যায় তাহলে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমাদের আজকের আলোচনার গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা -গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ ও চিরতরে কমানোর উপায় নিয়ে। বাংলাদেশের ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষেরই কমবেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা না জেনেই দোকান থেকে কিছু কম দামি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিনে খাই।সাময়ীকভাবে গ্যাস্ট্রিক চলে গেলেও বাস্তবে এটা উপকারের পরিবর্তে আরো ক্ষতি করতে পারে। তাই আজকে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং দেখাবো কিভাবে এই সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক কেন হয়
গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে আমাদের জানতে হবে গ্যাস্ট্রিক কি এবং গ্যাস্ট্রিক কেন হয়। সাধারনত আমরা যখন কোন খাবার খাই তা আমাদের পাকস্থলী তে যাওয়ার পর পাকস্থলী থেকে এক ধরনের এসিড নির্গত হয় খাবারটি পরিপাক করার জন্য। খাবার হজম হয়ে যাওয়ার পর খাবার এবং অ্যাসিড উভয় একসাথে নিচের দিকে চলে যায়। কিন্তু কোন কারণে যদি এমন হয় যে খাবার নিচে চলে গেল কিন্তু কিছু এসিডের কিছু অংশ নিচে না গিয়ে উপরের দিকে চলে আসে তখন আমাদের গলা জ্বালাপোড়া করে। এবং এটাকেই আমরা গ্যাস্ট্রিক, এসিডিটি বা কেউ কেউ আলসার বলে থাকি। অর্থাৎ পরিপাক ক্রিয়া যে অ্যাসিড নির্গত হয় তার কিছু অংশ নিচে না গিয়ে উপরের অংশ জমে যাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষন কি
গ্যাস্ট্রিক এমন একটি রোগ যার লক্ষণ সবাইকে বলতে হয়না গ্যাস্ট্রিক হলে খুব সহজেই বুঝতে পারা যায় যে আপনার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে। তারপরেও কিছু কমন লক্ষণআছে যা দেখে খুব সহজে আপনি বুঝতে পারবেন এই সমস্যাটা গ্যাস্ট্রিকের। কারণ অনেক সময় পেট ব্যথা, কিংবা বমি বমি ভাব হওয়ার মতো লক্ষণগুলো অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও হতে পারে তাই আমরা কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করবো যা দেখলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে এর লক্ষনগুলো দেখে নেয়া যাক।
- পাকস্থলীর উপরের অংশে থেকে শুরু করে গলা পর্যন্ত জ্বলা।
- পেট ফাঁপা মনে হওয়া এবং খাবারের রুচি কমে যাওয়া।
- ঘন ঘন গরম ঢেকুর আসা।
- মলদ্বার দিয়ে গ্যাস বের হওয়া ও মলে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়া।
- দাঁত ব্রাশ করার পরেও মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া।
- বমি বমি ভাব হওয়া।
- পেটে এবং বুকে হালকা চিনচিন ব্যথা অনুভব হওয়া।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়ার উপায়
যেমনটা আমরা বলেছি গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব। গ্যাস্ট্রিক এমন একটি রোগ যা শুধুমাত্র ঔষধ দিয়ে সম্পূর্ন ভালো করা যায় না। সম্পূর্ন ভালো করতে চাইলে আপনার লাইফস্টাইলে পরিবর্তন করতে হবে। তাই ডাক্তারের সাজেশন দেন শুরুতেই ঔষধ না খেয়ে ঘরোয়াভাবে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করুন এবং নিজের লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন করুন। এতে করে লম্বা সময়ের জন্য এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা মোট ৯ টি ঘরোয়া উপায়ে বলছি যে গুলো ফলো করলে আপনার গ্যাসটিকে সমস্যাটি স্থায়ীভাবে ভালো হবে।
একবারে বেশি খাবার না খাওয়া – একবারে বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে খাবার হজমে সমস্যা হয় এবং পাকস্থলি ভরা থাকায় গ্যাস উপরে উঠার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন একবারে বেশি খাবার না খেয়ে কিছু সময় পর পর অল্প খাবার খেতে।
সময়মত খাবার খাওয়া – সময় মত খাবার গ্রহনের চেষ্টা করুন। আমাদের শরীরের নিজের একটি বায়োলজিকাল ক্লক আছে। আপনি যদি ২ টার সময় দুপুরের খাবার খান তাহলে শরীর ২ টার সময় এসিড ক্ষরনের জন্য পাকস্থলিকে প্রস্তুত করবে। কিন্তু কোন কারনে দেরি করে খাবার খেলে ওই এসিড পাকস্থলি থেকে গ্যাস্ট্রিককের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই সময়ে খাবার গ্রহন করতে।
আপনার জন্য কোন খাবার সমস্যা হয় খুজে বের করুন – অনেকের যেমন ইলিশ মাছ কিংবা গরুর মাংসে এলার্জি থাকে ঠিক তেমনি নির্দিষ্ট কিছু খাবারে কারো গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ এমন হতে পারে আপনার শরীরের নির্দিষ্ট কয়েকটি খাবার পরিপাকে সমস্যা হয় তাই আপনার জন্য কোন খাবারটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে সেটা খুঁজে বের করুন। তবে সাধারণভাবে ডুবো তেলে ভাজা খাবার কিংবা বেশি মসলাজাতীয় খাবার গ্রহণ করা ঠিক নয়। কেননা এই সমস্ত খাবার পরিপাকের সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে।
রাতের খাবার আগে আগে খেয়ে নিন – ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। যেমনটা হাদিসেও নবী করিম সাঃ রাতের খাবার দ্রুত খেয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি হচ্ছে রাতের খাবার গ্রহণের পর তা হজম হতে কিছু সময় প্রয়োজন হয় কিন্তু আপনি যদি খাবার গ্রহণের পরপরই শুয়ে পড়েন তাহলে পাকস্থলীর অবস্থানের কারণে কিছুটা উপরে উঠে আসতে পারে। যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাই। অবশ্যই ঘুমানোর ২/ ৩ ঘণ্টা আগে খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন এবং রাতের খাবার দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করুন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না।
ঘুমানোর বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করুন – এই পদ্ধতিটি যাদের খুব বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাদের জন্য। ঘুমানোর সময় কোমরের উপরের অংশ অর্থাৎ পিঠ এবং মাথা একটু উঁচু রাখার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র বালিশ দিয়ে মাথা উচু করা নয় বরং তোষকের নিচে পিঠের অংশ কিছু অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে উঁচু রাখার চেষ্টা করুন। পাকস্থলী থেকে শুরু করে মাথা অংশ একটু উচু থাকলে সাধারণত গ্যাস গলার দিকে আসতে পারে না এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিছুটা কম দেখা দেয়। যারা গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে চান এটা তাদের জন্য ভালো একটি অপশন হতে পারে।
ওজন বেশি হলে ওজন কমান – শরীরের ওজন বেশি হলে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন অতিরিক্ত ওজন শুধুমাত্র গ্যাস্ট্রিক নয় শরীরের বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে বিশেষ করে। বয়স বেশি হওয়ার সাথে সাথে সমস্যাটি আরো তীব্র আকার ধারণ করে। আপনার যদি ওজন বেশি হয় তাহলে আজই ওজন কমানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিন। ওজন কমানো নিয়ে আমরা লিখে রেখেছি চাইলে পোস্টটি পড়তে পারেন।
ধূমপান করবেন না – তামাকজাত দ্রব্য গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম প্রধান একটি কারণ। খেয়াল করে দেখবেন আপনার আশেপাশেই যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি হয় তারা জীবনের কোনো না কোনো এক সময় অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করতেন। তাই আপনি যদি ধূমপান করার বদঅভ্যাস থাকে তা আজও ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
আস্তে আস্তে খাবার খান – আমরা অনেকেই খাবার খেতে বসলে দ্রুত খেয়ে উঠে যাই কিন্তু আমাদের খাবার বড় একটা অংশ শুধুমাত্র মুখে পরিপাক হয়। মুখের লালা ছাড়া ওই নির্দিষ্ট খাবার পরিপাক হতে পারে না। তাই দ্রুত খাবার গ্রহন করলে কিছু অপরিপাক খাবার পাকস্থলিতে যায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।
অধিক পরিমান পানি পান করুন – গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি পান করা। বিশেষ করে খালি পেটে পানি পান করার গ্যাস্ট্রিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আশা করা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
গ্যাস্ট্রিক এর চিকিৎসা
উপরে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি নিয়ম গুলো ফলো করলে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় আপনাকে জানতে হবে কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। নিচে আমরা কয়েকটি লক্ষণ বলার চেষ্টা করছি যেগুলো দেখলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
কোন কোণ লক্ষন দেখা দিলে ডাক্তার দেখাবেন
- ওজন কমে গেলে।
- খাবার গিলতে সমস্যা হলে।
- বমি ভাব ও খাবারের রুচি কমে গেলে।
- পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া ও যথেষ্ট দূর্গন্ধ হলে।
- পেটে চাকার মত শক্ত অনুভব হলে।
- আয়রনের অভাব জনির রক্তি শূন্যতা দেখা দিলে।
গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ
বাজারের লোসেকটিল, এন্টাসিড, সেক্লোর মত শত শত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে খুব সহজেই যে কোন দোকান থেকে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিনে খেতে পারেন। তবে আমাদের সাজেশন থাকবে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কেনার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার আপনার রোগ এবং শরীরে ধরনের ওপর নির্ভর করে কোন ঔষধটি সবচেয়ে ভালো হতে পারে তা সাজেস্ট করবেন।
এছাড়া উপরে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছি। শুরুতেই গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ না খেয়ে উপরের গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো ফলো করার চেষ্টা করুন। এবং আপনার লাইফ স্টাইলে পরিবর্তনের চেষ্টা করুন তাহলে কোন ঔষধ ছাড়াই লম্বা সময় গ্যাস্ট্রিকের থেকে মুক্তি পাবেন আশা করি।
- আরো পড়ুন – খুব সহজে ওজন কমানোর উপায়
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
উপরে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি এ নিয়মগুলো ফলো করলে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে। তার পরেও আমরা এখন কিছু স্পেশাল ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো আপনি ফলো করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কখনোই হবে না।
- নিয়মিত টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। টকদই শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এতে করে খাবার দ্রুত হজম হয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
- চায়ের সাথে আদা, দারচিনি, এলাচ এর মত জিনিসগুলো মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে হজমশক্তি ভালো থাকবে
- অতিরিক্ত গরম জিনিস খাওয়া ঠিক নয়।
- ডুবো তেলে ভাজা জিনিস এড়িয়ে চলুন।
- অতিরিক্ত মসলাজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- খালি পেটে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে দুই গ্লাস পানি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে পাকস্থলী সুস্থ থাকবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে ঠিক হয়ে যায়।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
সাধারণত গ্যাস্ট্রিক হলে পেটে ও বুকে ব্যথা হয়। পেট এবং বুকের কোন স্থানে ব্যথা হবে তা নির্ভর করে গ্যাস্ট্রিকের ধরন ও কতটা মারাত্মক তার উপর। সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের কারনে পেট ফাঁপা হয় এবং পেটের নিম্নাংশ ব্যথা করে এবং মাঝে মাঝে বুকের ডান পাশে চিনচিন ব্যথা করতে পারে। এছাড়াও গলাব্যথা এবং গরম ঢেকুর আসা গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম প্রধান একটি কারণ একটি লক্ষণ দেখে আপনি খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার গ্যাস্ট্রিক হয়েছে। উপরে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো ফলো করতে পারেন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে
গ্যাস্ট্রিক হলে খাবার খাওয়া যাবে না এটা অনেকেরই ভুল ধারণা। গ্যাস্ট্রিকের সাথে খাবার খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। তবে খাবার খেতে হবে নির্দিষ্ট ও পরিমিত। অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এবং কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকতে পারে। যেমন অনেকের কাঁচা ফল খেলে সমস্যা হতে পারে কিংবা অনেকের অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন খাবারের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি তা এড়িয়ে চলবেন।
তবে সাধারণভাবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার না খাওয়াই উত্তম যায় সবার জন্যই ক্ষতিকর যেমন অতিরিক্ত ডুবো তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মসলা দিয়ে রান্না করা কোন খাবার, অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার। একসাথে অধিক পরিমাণে পেট ভরে খাওয়া উচিত নয় এতে করে হজমের সমস্যা হয় এবং ব্যষ্টিক তৈরি হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা
গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ ও চিরতরে কমানোর উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে। ভালো লাগলে আপনার বন্ধু’ এবং প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট নিয়মিত আপডেট করে থাকি এবং অন্যান্য পোস্ট গুলা পড়তে পারেন। ধন্যবাদ