১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায়
অনেক সময় নিজের অসাবধানতার ফলে অথবা অনিচ্ছাকৃত সত্ত্বে অনেকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তাই এ অবস্থায় বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে থাকেন। সাধারণত বাচ্চা তিন মাস পর্যন্ত এবরশন করানো যায় এর পরবর্তীতে সময়ে বাচ্চা নষ্ট করা সম্ভব হয় না। অর্থাৎ জীবনের ঝুকি থাকে। আজকে আমরা ১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায় এবং বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন – বাচ্চাদের পায়খানার রাস্তায় চুলকানি হলে করনীয়
বাচ্চা নষ্ট করার নিরাপদ গর্ভকালীন সময়
সাধারণত গর্ভকালীন সময়ে অনেকেই অনিচ্ছাকৃত ভাবে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। যার ফলে বাচ্চার রেস্পন্সিবিলিটি নিতে প্রস্তুত নয় বলে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতে চান। তবে ১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায় জানার আগে বাচ্চা নষ্ট করার নিরাপদ সময় সম্পর্কে জানা দরকার। বাচ্চা নষ্ট করতে হলে গর্ভে কালীন এক থেকে তিন মাসের মধ্যে বাচ্চার এবরশন করতে হয়।
এক থেকে তিন মাস এর সময় কোন জটিলতা না থাকলে খুব সহজেই গর্ভপাত করানো যায়। কিন্তু এর পরবর্তী সময়ে গর্ভপাত করলে মা এবং শিশু দুজনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমনও হতে পারে গর্ভবতী মা আর কখনো গর্ভধারণ করতে পারবেন না। বা মারাও যেতে পারেন।
আরো পড়ুন – বাচ্চা পেটে আসার দোয়া
বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট এর নাম
১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায় এর মধ্যে বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট অন্যতম। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বেবি এবরশন এর জন্য বা গর্ভপাতের জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার পাওয়া যায়। সাধারণত প্রথমবার প্রেগনেন্সিতে অথবা কোন জটিল প্রেগনেন্সির সময় এখনো ট্যাবলেট জীবনে মাধ্যমে গর্ভপাত করা উচিত নয়। এতে করে গর্ভবতী মহিলার প্রাণনাশের ঝুঁকি থাকে।
যদি বাচ্চা নিতে অপ্রস্ত হয় তাহলে অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অতঃপর গর্ভপাত করানো উচিত। তবে বাজারে বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট এর মধ্যে প্রেগনট 200 mg tablet অন্যতম।
প্রেগনট 200 mg tablet –এই ট্যাবলেট নারীদের সহজে গর্ভপাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রায় সাত সপ্তাহ বা পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত এই ওষুধটি নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। এই ওষুধের আরেকটি নাম হল ইউ ৪৮৬।
Misoprostol- অনেক ক্ষেত্রে এই একটি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বাচ্চার গর্ভপাত হয়ে যায়। আবার ডাক্তার অনেক সময় প্রথমে ট্যাবলেটটি সেবন করতে বলবেন এবং তার পরবর্তীতে মেসোফ্রাস্ট্রল খেতে বলবেন। মাইসোপ্রস্টল ট্যাবলেট টি সেবন করার কিছুক্ষণ পরবর্তী সময়ে মেসোপত্র ট্যাবলেটটি সেবন করতে বলা হয়। এটা আপনার শরীরে রক্ত স্রাব উৎপন্ন করে এবং গর্ভপাত করার প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করে। এই ট্যাবলেট ব্যবহারে সাধারণত ৯৫% সফলতা দেয়া হয়।
Mm kit- সাধারণত বাচ্চা নষ্ট করার জন্য গর্ভবতী নারীরা প্রথম ১৫ দিনে এই ট্যাবলেট টি সেবন করতে পারেন। এই ট্যাবলেটটি সর্বোচ্চ ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহের মধ্যে খেতে হবে। এর বেশি সময় হয়ে গেলে আর এটির শরীরে কাজ করবে না।
Isovet 200- সাধারণত গর্ভকালীন সময় এক মাসের বাচ্চার নষ্ট করার ঔষধ গুলোর মধ্যে এই ওষুধটি অন্যতম। এই ওষুধটির তিনটি ট্যাবলেট একই সাথে সেবন করতে হবে। তাহলে অতি শীঘ্রই বাচ্চা নষ্ট হওয়ার কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যাবে। আরো কিছু ট্যাবলেট এর নাম হল-
- Norix
- Cytomis kit
- Tyclab 625
- Mifepristone
বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট কতটা কার্যকর
সাধারণত বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট গুলো গর্ভপাত করতে ৯৯% কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতি ১00 জনারই মধ্যে নয়জন নারী বর্তমানে অনিচ্ছাক্রিত গর্ভধারণ করে থাকে। তাই বাজারের ভালো ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট সেবন করার মাধ্যমে খুব সহজে গর্ভপাত করানো যায় এবং সঠিকভাবে সেবন করলে ওষুধের কার্যকর ক্ষমতা লক্ষ্য করা যাবে।
তবে বাচ্চা নষ্ট হলেও ডীএনসি করতে হয়।
আরো পড়ুন – ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার রুচির ঔষধ
বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অনেক মহিলাই যখন এই ট্যাবলেট সেবন করেন তখন এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন। সাধারণত গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার পর বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। যেমন-
- স্তনের ফোলা ভাব
- মাথা ব্যথা
- বিরক্তি
- মেজাজ খিটখিটে
- বমি বমি ভাব
- পিরিয়ডের অনিয়মিত স্রাব
- অতিরিক্ত ব্লিডিং
- পেটে ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায়
বিশেষ করে যখন প্রথমবার এই বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট সেবন করা হয় তখন এসব সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুন – দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার ঔষধের নাম
বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট গ্রহণের স্বাস্থ্যঝুকি
বাঁচা নষ্ট করার ট্যাবলেট গুলো বেশিরভাগই মহিলাদের জন্য স্বাভাবিকভাবে নিরাপদ। তবে অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট গ্রহণ করলে বিভিন্ন জটিলতা শরীরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেটা হলো-
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট হওয়া
- ডিপ ভেরি থ্রম্ব সিরিজ
- হৃদপিণ্ডে হঠাৎ আক্রমণ
- উচ্চ রক্তচাপ
- প্রেসার উঠানামা করা
ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই আপনার ডাক্তার আপনার পূর্বের চিকিৎসা ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে আপনার ট্যাবলেট এর মাত্রা কেমন সে সম্পর্কে বলে দিবেন।
বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর পিরিয়ড হয়
সাধারণত বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর ৪০ থেকে ৪২ দিন পর ডেলিভারি ব্লিডিং বন্ধ হয়। তেমনি বাচ্চা নষ্ট করার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ডেলিভারি ব্লিডিং হতে পারে। এর পরবর্তী সময়ে পিরিয়ড নিয়মিত না হলে অবশ্যই একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে দেখাতে হবে। তা নাহলে পরবর্তীতে মা হওয়া যাবেনা।
বাচ্চা নষ্ট করার সম্পর্কে ইসলাম
ইচ্ছাকৃত ভাবে বাচ্চা নষ্ট করা বর্তমানে সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ সম্পর্কের কারণে অথবা অনেক প্ল্যান ছাড়া প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে বাচ্চা নষ্ট করে থাকে। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভপাত করে এর মধ্যে কোন কারণ না থাকে তাহলে একটি সম্পূর্ণ হারাম। বাচ্চা যে অবস্থায় বা যতদিন না হোক না কেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বাচ্চা হত্যা করা কে সম্পূর্ণ হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন তাই আমাদের উচিত এই পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা।
যেসব খাবার খেলে গর্ভপাত হয়
- আনারস
- পেঁপে
- আঙ্গুর
- এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট
১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায়
আজকে আমরা ১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায় আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মন্তব্য অথবা মতামত পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমরা অতি শীঘ্রই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রতিদিন নতুন নতুন সব আপডেট ইনফরমেশন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন –
১৪ বছরের মেয়ের ১ম বার ১ মাসের গরভপাত করার
ঔষধ কি এবং নিরাপদ গরভপাত এর সহজ পদ্ধতি কি
,,
বয়সে যেহেতু কম এটা অনেক রিষ্কি হতে পারে। আপনি দয়া করে একবার অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন।
আপনি কোন ধর্মের অনুসারী জানি না। এই ধরণের টিপস না দিলেও পারেন। শরুতে বাচ্চা নষ্ট করার টিপস দিয়ে পরে বলতেছেন ” ইচ্ছাকৃত ভাবে বাচ্চা নষ্ট করা বর্তমানে সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ সম্পর্কের কারণে অথবা অনেক প্ল্যান ছাড়া প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে বাচ্চা নষ্ট করে থাকে। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভপাত করে এর মধ্যে কোন কারণ না থাকে তাহলে একটি সম্পূর্ণ হারাম। বাচ্চা যে অবস্থায় বা যতদিন না হোক না কেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বাচ্চা হত্যা করা কে সম্পূর্ণ হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন তাই আমাদের উচিত এই পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা।” এই পোস্টটি সরিয়ে নিলে অনেক খুশি হতাম। যাইহোক আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুক।
প্রিয় রাসেল ভাই, আমি একজন মুসলিম। আমরা শুধুমাত্র বিভিন্ন বিষয়ে ইনফো শেয়ার করে থাকি। কোনভাবেই এটা আমারা বাচ্চা বা ভ্রুণ নষ্ট করার পক্ষে না। তারপর ও আমরা সামনে এইসব খেয়াল রাখবো ইনশাআল্লাহ।