মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে
বাংলাদেশ থেকে প্রবাসগামী ভাইদের বড় একটি অংশ প্রতিবছর কাজের জন্য মালয়েশিয়া যান। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে গত তিন বছর মালেয়েশিয়ার ভিসা বন্ধ ছিলো। সব জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য পুনঃরায় মালেশিয়ার ভিসা চালু করা হয়েছে।
তাই অনেকেই মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে, মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও মালয়েশিয়া কাজের বেতন নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে আর্টিকেল। আশা করি মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে লিখাটি পাঠকগন মনোযোগ দিয়ে পড়লে উপকৃত হবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে 2023?
বিগত তিন বছর ধরে বিভিন্ন জটিলতার কারনে বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়া ভিসা বন্ধ ছিলো। কিন্তু সব জটিলতা কাটিয়ে ১৯ জানুরারি ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ মালেশিয়ার ভিসা চালু করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে যারা অপেক্ষায় ছিলেন তারা মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসা
ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই একে বিশেষভাবে বানানো হয়। এই ভিসার মাধ্যমে এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারে। মালয়েশিয়ার কাজের উদ্দেশ্যে চলে যান তাহলে আপনাকে জবের জন্য যে ভিসা আছে সেটির জন্য আবেদন করতে হবে।
আবার মালয়েশিয়ার ভিসার কয়েক ধরনের রয়েছে। বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে সেসব ভিসা হয়। প্রায় ১৫ ধরনের মালয়েশিয়ার ভিসা রয়েছে। তবে নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী মালয়েশিয়ার ভিসার নাম দেয়া হলো-
- স্টুডেন্ট বা ছাত্র ভিসা
- এন্ট্রি ভিসা
- মেডিকেল ভিসা
- এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার ভিতরে যে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ ছিল সেটা কিন্তু মূলত অবৈধ সিন্ডিকেট এর কারনে। আর এটাকে বন্ধ করতেই মূলত তৎকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিগত তিন চার বছর ধরে বাংলাদেশ হতে লোক নেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি যাদের কাছে কোনো কার্ড ছিল না। তাদেরকে ধরে ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, তাহলে এখন কেন মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশীদের প্রতি দয়া দেখিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা খুলে দিয়েছে?
হ্যাঁ ঠিক তাই কিন্তু এর পিছনে একটি কারণ রয়েছে আর সেটা হলো , বর্তমান সময়ে এখন মালয়েশিয়াতে দক্ষ জনবলের অনেক অভাব রয়েছে। আর তাই সেই দেশে বর্তমানে এখন প্রচুর দক্ষ জনবলের দরকার। আর তাই তারা বর্তমান সময়ে কোন মানুষ থেকে লোক নেওয়া শুরু করেছে। ফলে মালয়েশিয়া কাজের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করে দেওয়া হয়েছে। আসুন তাহলে এখন জেনে নেই যে কোন কোন কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় লোক নেওয়া হবে সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত।
কৃষি ক্ষেত্রে
আপনারা অনেকেই জানেন যে মালয়েশিয়াতে পাম গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়ে থাকে। আর পাম গাছ থেকে কিন্তু মূলত পাম অয়েল উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। আর এই কাজের জন্য প্রচুর এক্সপেরিয়েন্স থাকা মানুষদের এখন সেই দেশে দরকার।
নির্মাণ শ্রমিকের দরকার রয়েছে
২ নাম্বার হল মালয়েশিয়ায় যে ওদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করার যে কাজ আছে। সেখানে নির্মাণ শ্রমিক যারা রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে বর্তমানে এখন।
সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে
তিন নাম্বারে যে বিষয়টি রয়েছে সেটা হল মালয়েশিয়ায় অনেক সেবামূলক ক্ষেত্র রয়েছে যেমন ,হোটেল, রিসোর্ট গুলো আছে সেখানে কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে লোক নিয়েছে বর্তমানে এখন তারা। কারণ গত দুই বছর করোনাকালীন সময় দুর্যোগের জন্য যে তাদের ক্ষতির পরিমাণটা হয়েছে বা ক্ষতি হয়েছে। সেটাকে ঠিক করার জন্য বা সেটাকে নতুন করে আবার শুরু করার জন্য কিন্তু ব্যবসা গুলো বা রিসোর্ট এর ব্যবসা গুলো রয়েছে, সেগুলোকে নতুন করে তারা শুরু করতে চাচ্ছে।
আর তাই এই কাজগুলোর জন্য দক্ষতা রয়েছে এরকম এর কর্মী তাদের দরকার বর্তমানে এখন । আর তার সাথে কিন্তু তাদের গৃহকর্মীও দরকার হয়ে থাকে। বিশেষ করে মহিলা গৃহকর্মী মালয়েশিয়াতে অনেক বেশি পরিমাণে দরকার হয়ে থাকে ।
বর্তমান সময় কিন্তু এখন এই সেক্টর গুলোতে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমানের শ্রমিক মালয়েশিয়াতে নেওয়া হবে।
কয়েক দিন আগে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী একটা আইন পাস করে দিয়েছে। যেখানে বলে দেওয়া হয়েছে যে তারা বাংলাদেশ থেকে 2023 সালের উপরে যে সেক্টর গুলোতে আলোচনা করলাম সেগুলোতে তারা প্রচুর পরিমাণে কর্মী নিয়োগ দিবে। আর এই কাজ তাড়াতাড়ি করবে 2023 সালের শুরুর দিকে থেকেই শুরু করে দিবে, বলে জানা গিয়েছে।
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং
মালয়েশিয়া আর বাংলাদেশের ভিতরে একটা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। আর যেটাকে মূলত বলা হয়ে থাকে g2g। এই g2g চুক্তির ভিত্তিতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে লোক তারা নিবে।
G2G কি?
G2G হল Government to Government। এখানে কোনো তৃতীয় ব্যক্তি বা কোন দালাল যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মালয়েশিয়ান গভারমেন্ট আর বাংলাদেশ গভারমেন্ট তারা যৌথভাবে কর্মী নিয়োগ দিবে। G2G (Government to Government) সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কারা যেতে পারবে ?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই G2G (Government to Government) চুক্তির আওতায় কারা মালয়েশিয়া যেতে পারবেন? আর এর সহজ এবং একমাত্র উত্তর হল মালয়েশিয়ায় আমি আপনি সকলেই যেতে পারবো এখানে কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ আপনার বৈধ কাগজ পত্র থাকলেই কোন ঝামেলা ছাড়া এই চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়া যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে ?
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন যে ইউরোপীয় কান্ট্রিতে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে নূন্যতম এইচএসসি সার্টিফিকেট থাকা লাগবে। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, মালয়েশিয়া সরকার জানিয়ে দিয়েছেন যে আপনি যদি শুধু মাত্র অষ্টম শ্রেনী পাস করেন তাহলেই আপনারা মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। অর্থাৎ, যারা বাংলাদেশ থেকে যারা অষ্টম শ্রেণী পাস করছে তারা এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে, বাংলাদেশের যে দুইটা সংস্থা আছে BMET ও BOESL এই দুইটি সংস্থার মাধ্যমে দুই থেকে তিন মাস ট্রেনিং নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন।
আর তার সাথে আমি উপরে যে সেক্টরগুলোর কথা বললাম সেই সেক্টরগুলোর উপরে যদি আপনাদের আগে থেকেই দক্ষতা বা আপনাদের যদি আগে থেকে দক্ষতা বা কোনো এক্সপিরিয়েন্স থাকে তাহলে কিন্তু আপনাদের কোন ট্রেনিং নেওয়ার দরকার হবে না। আপনারা কিন্তু সেই এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট দিয়ে আপনারা যথাসময়ে রেজিস্ট্রেশন করে তারপরে মালয়েশিয়া চলে যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত?
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এর ঘোষণা মতে শীগ্রই মালয়েশিয়াতে যার সব থেকে কম বেতন তার ও কাজের বেতন হিসেবে নির্ধারণ করা হবে , 1 হাজার 200 রিঙ্গিত। আর যেটা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় মনে করুন যে , 24 হাজার 420 টাকার সমপরিমাণ।
মালয়েশিয়া জব ভিসা অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে যে কাজ করতে যাবেন এটার সেলারি শুরু হবে শুধু বাংলাদেশী টাকা দিয়ে। যদি হিসাব করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে 24000 দিয়ে শুরু করা হবে। আর তারপর আস্তে আস্তে আপনাদের এক্সপেরিয়েন্স ও আপনাদের উপরে নির্ভর করে। এটা কিন্তু আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে মানে 50 থেকে 60 হাজার টাকার মতো বাড়তে পারে।
একটা কথা অবশ্যই সব সময় মনে রাখবেন যে, একজন নির্মাতা শ্রমিকের বেতন এবং আর একজন হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিকের বেতন কিন্তু কখনোই একই হারে বা সমান হবে না। কাজের ভিত্তিতে বেতন পাওয়ার কিন্তু একটা পার্থক্য রয়েছে। আর সেটা কিন্তু সব জায়গাতেই বাংলাদেশেও আশা করি যে এই বিষয়টা আপনারা অনেকেই জানেন।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৩
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে তা উপরে আলোচণা করেছি। এখন জানব ভিসার দাম। সাধারণত বিমানের টিকেটের দাম এর চাইতে ভিসার দাম অনেকটা বেশি। ভিসার দাম বিভিন্ন কাজের উপর বা সরকারের ভাবে ফ্রি ভিসা নিচ্ছে কিনা তার উপর নির্ভর করে। তবে মালয়েশিয়ার কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সেটা নিয়ে ভিসার দাম নির্ভর করে থাকে। তবে সবচেয়ে কমদামী ভিসা হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা তাদের ভিসার দাম ৫ লাখ টাকার মত খরচ হয়।
ভিসা বানাতে খরচ কত হবে তা নির্ভর করে এজেন্সির উপর। তাছাড়া সাধারণত যে কোন ভিসা দাম পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মধ্যে হয়। এছাড়াও একেক রকমের ভিসা একেক ধরনের হয় নিচে কয়েকটি ভিসার খরচ সম্পর্কে জানানো হলো-
- মালয়েশিয়া কাজের ভিসার দাম- ৫ লাখ টাকা
- ফ্যাক্টরি ভিসার দাম- ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা
- মালয়েশিয়ার কৃষি ভিসার দাম- তিন লক্ষ টাকা
- স্টুডেন্ট বা ছাত্রদের- দুই লক্ষ টাকা
- মেডিকেল ভিসার দাম- তিন লক্ষ টাকা
- বিজনেস ভিসার দাম- ৫ লক্ষ টাকা
- টুরিস্ট ভিসার দাম- ৪ লক্ষ টাকা।
মালয়েশিয়া সরকারি ভিসার দাম কত
বর্তমান সময়ে কোন সবার মনে যে প্রশ্নের সবথেকে বেশি আছে সেটা হলো যে,মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসার খরচ কত। মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসার খরচ। অর্থাৎ, পাসপোর্ট তৈরি করা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া পর্যন্ত কিন্তু সমস্ত কিছু বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব নিয়েই করবে।
আর তাই সেজন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য টোটাল খরচ পড়বে পাসপোর্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে মালয়েশিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত শুধু মাত্র 30 হাজার টাকার মতো। অবাক হয়ে গেলেন তো! ওয়েলস ও বিএমইটির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়া, ফিংগার দেওয়া, মেডিকেল করা এর ওপরে ট্রেনিং, এরপর আপনাদের পাসপোর্ট এর খরচ সবকিছু মিলিয়ে কিন্তু 30,000 টাকার মতো খরচ পড়বে।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্লেনের ভাড়া 30 থেকে 35 হাজার টাকার ভিতরে। তাহলে এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকার ভিতরে কিভাবে সম্ভব ?
উত্তরে আমি আপনাদের সাথে বলবো যে, বর্তমান সময়ে এখন মালয়েশিয়ায় প্রচুর পরিমানের লোকজনের দরকার সেখানে কাজ করার জন্য প্রচুর লোকের দরকার সেই জন্যই নিবে। অর্থাৎ খোদ মালয়েশিয়ান সরকার আপনাদেরকে প্লেন ভাড়া দিয়ে নিয়ে যাবে! আর যখন আপনারা G2G মাধ্যমে লোক বিদেশে আসা-যাওয়া করে তখন কিন্তু আর প্লেন ভাড়া করে যাওয়া লাগে না। তারাই কিন্তু আপনাদের প্লেনের ভাড়া দিয়ে তাদের দেশে নিয়ে যাবে। আশা করি যে এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন।
মালয়েশিয়ার ভিসা কত দিনে পাবেন
আপনারা যদি মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে আপনাদের এই মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রথম অবস্থাতে দুই বছরের জন্য বরাদ্দ করা থাকবে। তারপরে যদি আপনারা আপনাদের কাজ পরিবর্তন করে বা মালিকানা পরিবর্তন করে সেখানে আর ও বেশি থাকতে চান তাহলে কিন্তু সেটা ও করতে পারবেন । তখন আপনাদেরকে এই বিষয়টাকে এক্সচেঞ্জ করে নেওয়া লাগবে। অর্থাৎ আপনাদের ভিসার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে নিতে হবে।
মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
মালয়েশিয়া ভিসা বানানোর পর এটি অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে চেক করে জানতে হবে যে আপনার মালেশিয়ার ভিসার কি অবস্থা বর্তমানে রয়েছে। কেননা বর্তমানে অনেক দালাল এবং এজেন্সি আছে যারা মালয়েশিয়া ভিসা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে থাকে।
তাই আপনার ভিসা টি আসল বা অনুমোদিত কিনা তা জানতে একটু অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। সেখানে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে অনলাইন থেকে ভিসা চেক করা যাবে।
প্রথমে গুগল থেকে https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus এই লিংক ভিজিট করতে হবে। এটি হচ্ছে মালয়েশিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে ভিসা পাসপোর্ট এবং যাবতীয় কাজ এর তথ্য পাওয়া যায়। তিন ভাবে ভিসা চেক করা যায়।
১। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার জন্য ভিজিট করুন-
https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus
২। অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য- eservices.imi.gov.my/myimms/PRAStatus ভিসিট করতে হবে।
৩। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার জন্য কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে সার্চ করে সকল কর্মীদের তালিকা বের করা যাবে। এখানে অনেকগুলো ভিসা তালিকা দেওয়া থাকবে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং নাম অনুসারে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া বিমানের টিকিটের মূল্য
মালয়েশিয়া ভিসার পাশাপাশি আপনাকে পাসপোর্ট বানাতে হবে। মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য আপনাকে বিমানের টিকেট কাটতে হবে। টিকিটের মূল্য সাধারণত নির্ভর করবে বিমানের উপরে এবং আপনি কোন ধরনের টিকেট কাটতে চাচ্ছেন তার ওপর। সাধারণত ৩0000 থেকে ৫0000 টাকা বিমান ভাড়া নেয়া হয়।
এই বিমান ভাড়াই টিকেটের দাম। এ সম্পর্কে ভিসা এবং পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে থেকে শুরু করা হবে
বাংলাদেশ হতে মালয়েশিয়া এর সমঝোতা স্বাক্ষর করা হবে ২০২3 সালের ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ মাসের দিকে। আর এখানে কিন্তু মূলত কিছু আমলাতান্ত্রিক বিষয় রয়েছে যেমন মনে করুন,এগুলো যখন কমপ্লিট হয়ে যাবে, খনই কিন্তু দেখা যাবে যে মালয়েশিয়ার ভিসা চালু হয়ে যাবে। আশা করা যায় যে দুই দিন মাস পর যখন এই কাজের পোস্টগুলো সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, তখনই মানুষের যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। আর আপনাদের ভিতরে যাদের পাসপোর্ট নেই তারা এখনি পাসপোর্ট করে ফেলুন।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে
আজকে আমরা মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের কোণ মন্তব্য মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্টে জানান। আমরা অতি শীঘ্রই রিপলাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুনঃ
- জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম, আশারায়ে মুবাশশারা
- এবছর ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- হুন্ডি কি? হুন্ডি কিভাবে করে? বিস্তারিত জানুন
- এলার্জি জনিত চুলকানির মলম ও ক্রিমের নাম
Very nice post. I just stumbled upon your blog and wished to say that I’ve really enjoyed surfing around your blog posts. In any case I’ll be subscribing to your rss feed and I hope you write again very soon!