আপনার চাকরি কেন হচ্ছে না ?
জীবনে সফল হতে হলে আমাদের প্রথমেই যে কাজটি করতে হয় তা হলো নিজের জন্য পারফেক্ট ক্যারিয়ার বেছে নেওয়া লক্ষ্য নির্ধারণ করা গেলে আমাদের কি কি কাজ করতে হবে এবং কিভাবে করতে হবে আমরা তার একটা ফ্লাটে তৈরি করিনি কিন্তু ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি যখন চাকরি করা কি বেছে নিবেন তখন সঠিক পরিকল্পনার পাশাপাশি আপনাকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ সময়ের সাথে সাথে চাকরি পাওয়ার পূর্বশর্ত গুলো যেমন বদলে গেছে তেমনি যোগ্য মেধাবী ও প্রফেশনালদের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে তাই আমাদের দেশের সীমিত চাকরির বাজারে একটা ভালো চাকরি পেতে হলে ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি প্রয়োজন কিছু বাড়তি যোগ্যতা ক্যারিয়ার হিসেবে আপনিও যদি চাকরি করা কি বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে এই ভিডিওটি আপনার জন্যই বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটা ভালো চাকরি পাওয়া আপাতদৃষ্টিতে বেশ কঠিন মনে হলেও মেধা কৌশল ও সঠিক উপায়ে প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে।
আপনার চাকরি কেন হচ্ছে না ?
চাকরির ক্ষেত্রে সহজেই একটা পারফেক্ট সুযোগ খুঁজে পাওয়া সম্ভব তাই ক্যারিয়ার গঠনের শুরুতেই নিজেকে আরও যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন কিন্তু কখনো কখনো কিছু সহজ বিষয় অবহেলার কারণে আমরা আমাদের পছন্দের চাকরিটি হাতছাড়া করে ফেলি আমাদের আজকের ভিডিওটি এমনই কিছু সহজ বিষয় নিয়ে যেখানে আপনার দেওয়া বাড়তি প্রচেষ্টা আপনাকে এনে দিতে পারে আপনার পছন্দের চাকরি চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে একটা ভালো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিৎ এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি আমরা অনেক সময় পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের চাপে নিজেদের সময় দেওয়া থেকে বিরত থাকি কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এবং নিজেকে আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে নিজেকে সময় দেওয়া খুবই জরুরি তাই নিজেকে সময় দিন আপনার পছন্দ অপছন্দ।
দুর্বলতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখুন আপনি শিক্ষাজীবন শেষে কোন ক্ষেত্রে চাকরি করতে চান সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনি যত বেশি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন উদ্যোগী হবেন আপনার মেধা ব্যবহারের ক্ষমতা ও কৌশল তত বৃদ্ধি পাবে মনে রাখবেন আপনার স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেকের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে তাই এখনই নিজেকে প্রস্তুত করুন একটা ভালো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ চাকরির ক্ষেত্রে সবসময়ই একজন যোগ্য প্রার্থী কেই বেছে নেওয়া হয় তাই লক্ষ্য স্থির করার পর ধৈর্যসহকারে অর্থপূর্ণ কাজ আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য রূপে গড়ে তোলা প্রয়োজন এক্ষেত্রে আপনি যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটি বিষয় যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন microsoft-office অটোক্যাড ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ের উপর পোস্ট করে নিজেকে তৈরি করতে পারেন।
প্রতিনিয়ত যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুই আপডেট হচ্ছে তাই সব সময় নতুন কিছু জানার এবং শেখার চেষ্টা করুন প্রতিদিনের কাজে বাইরে একটু বাড়তি কাজ আপনাকে নতুন বিশ্ব এর যোগ্যতা এবং দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে চাকরির ক্ষেত্রে আপনি যত বেশি জায়গায় আবেদন করবেন তত বেশি আপনার চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে কিন্তু অনেকেই আছেন যারা দেশকে কম দেখে বা কাজের ধরন পছন্দ না হলে চাকরি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন না ক্যারিয়ারের শুরুতেই সব বিষয় প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয় এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রথম একটি চাকরি পেয়ে যান তাহলে এরপর আপনার পছন্দমত অন্য চাকরির জন্য আবার চেষ্টা করতে পারেন এবার ধরুন আপনি একটি সাথে বেশ কয়েকটি চাকরির অফার পেয়ে গেলেন তখন আপনি কি করবেন কোন চাকরি টি বেছে নিবেন যেহেতু এটি আপনার ক্যারিয়ার শুরু করার প্রথম ধাপ তাই আপনাকে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য ভালোভাবে ফিট হয় এমন একটি চাকরি বেছে নিতে হবে চাকরির যদি আপনার মনের মত না হয় কিংবা আপনার কাজের ক্ষেত্রে কম্ফোর্টেবল না হয় তাহলে বেশি দিন সেখানে কাজ করতে পারবেন না তাই নিজেকে সময় দিন আপনি চাকরিটি করতে চান তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আপনার পছন্দের চাকরিটি বেছে নিন।
আপনার কোম্পানিতে মাত্র একজন লোক দরকার তখন আপনি কি করবেন এক্ষেত্রে আপনার অফিসের কলিগ বন্ধু কিংবা ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাইকে বলবেন এই কাজের জন্য আপনাকে একজন লোক খুঁজে দিতে এটাই হলো চাকরির নেটওয়ার্ক প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটা নেটওয়ার্ক থাকে যার নেটওয়ার্ক যত শক্তিশালী তার জন্য যেকোনো কাজ ততই সহজ একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করুন যেন আপনার এবং নিয়োগকারীদের নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ তৈরি হয় নেটওয়ার্ক তৈরি করার পাশাপাশি যোগাযোগ স্থাপন করাটা জরুরি এ ক্ষেত্রে আপনি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন লিংকডইন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইমু ভাইবার এর মাধ্যমে সব সময় সবার সাথে সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারেন অনেকেই আছেন যারা সিভি তৈরি করার সময় নিজের যোগ্যতা এবং দক্ষতা গুলো ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই সিভি তৈরি করার সময় লক্ষ্য রাখবেন।
যেন আপনার সিভি নিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবার নিয়োগকারীদের জন্য আপনাকে ওভারস্মার্ট মনে না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার যদি সিজিপিএ কম থাকে তাহলে কোয়ালিফিকেশন এর আগে আপনার পূর্বের চাকরি অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখুন কিন্তু যদি অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে কোয়ালিফিকেশন এর ডিটেলস এলিপেন পড়াশোনার বাইরে আপনি কোন কোন কাজে দক্ষ সেগুলো আপনার ছবিতে উল্লেখ করুন আপনার যোগ্যতা গুলো তুলে ধরুন রেফারেন্স এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অথবা যে প্রতিষ্ঠানে আপনি আবেদন করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচিত কারও নাম উল্লেখ করতে হবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা লিখিত পরীক্ষা 3 হয়েও ইন্টারভিউ বোর্ড থেকে বারবার তাদের ফিরে যেতে হয় মনে রাখবেন প্রথমবারই হয়তো আপনি আপনার কাঙ্খিত চাকরি পাবেননা তাই হতাশ হবেন না বরং বারবার ইন্টারভিউ দিন আপনি যতবার প্রশ্নের সম্মুখীন হবে ততই আপনার কথা বলার দক্ষতা এবং পার্সোনালিটি বাড়বে আপনাকে সবসময় আপনার পছন্দের চাকরি টি পেতে সাহায্য করবে জীবনে সফল হতে হলে চেষ্টা পরিশ্রম আর অধ্যবসায় এর বিকল্প নেই তবে।
অনুযায়ী সফল হতে হলে আপনাকে কিছু কৌশল শিখতেই হবে আশা করি এই বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকলে একদিন আপনিও পেয়ে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের চাকরিটি তাই আত্মবিশ্বাসী হোন সতর্ক থাকুন এবং বারবার চেষ্টা করতে থাকুন তাহলে সাফল্য একদিন আপনার দ্বারে ও কড়া নাড়বে পোস্ট টি ভাল লাগলে like’ দিন কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন এবং আগামী পর্বে কোন বিষয়ের উপর পোস্ট দেখতে চান সেটা এখনই কমেন্ট করে জানান।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আমাদের সাইটের সাথে থাকবেন নতুন নতুন পোস্ট পেতে। আমার আর অন্যান্য পোস্ট:
কিভাবে বাজে অভ্যাস গুলো আপনার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে
যে কোন প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করুন :
ধন্যবাদ